Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের কোয়ার্টার অবৈধ দখলদারদের কব্জায়

| প্রকাশের সময় : ৩ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

চাঁদপুর জেলা সংবাদদাতা : চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের কোয়ার্টারে বহিরাগত এক শ্রেণীর ব্যক্তি ভাড়া দিয়ে কিংবা অন্যত্র বিক্রি করে মোটা অংকের বাণিজ্য করে চলছে। এ অবস্থা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসলেও সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিরা কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। উপরšুÍ পাউবোর নির্লিপ্ততায় বাসাবাড়ি নানা ব্যক্তির হাত বদল নিয়ে হচ্ছে ঝগড়া এমন কি মারামারিও। চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের অধীনে ফরিদগঞ্জ, রায়পুর ও রামগঞ্জে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিভিন্ন শ্রেণীর বাসা-বাড়ি, ওয়ার্কশপ দিনের পর দিন এভাবেই বেদখলে রয়েছে। চাঁদপুর, হাইমচর, ফরিদগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর, রামগঞ্জ ও রায়পুর উপজেলার বৃহৎ অংশ নিয়ে গঠিত দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সেচ প্রকল্প যা চাঁদপুর সেচ প্রকল্প নামে পরিচিত। জনবল সংকটের পাশাপাশি অর্থাভাবে এ সেচ প্রকল্পের বিশাল এলাকা নিয়ন্ত্রণহীন হওয়ায় বেদখলের ঘটনা ঘটছে। এই প্রকল্পের মধ্যে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য যেসব আবাসিক কোয়ার্টার ও রেস্ট হাউস রয়েছে তার দুই-তৃতীয়াংশ এখন বহিরাগতদের দখলে। প্রকল্পের রায়পুর, রামগঞ্জ ও ফরিদগঞ্জে স্থাপিত কোয়ার্টারগুলোতে বসবাসকারীরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বাসা ভাড়া নেয়ার বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করেই সেখানে বসবাস করে আসছেন। রহস্যজনক কারণে ২০১৫ সালের পর থেকে ঐসব বাসার নিবাসীদের কাছ থেকে ভাড়া আদায় বন্ধ রয়েছে। এর ফলে সরকার বিপুল অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে। পূর্বে বেড়িবাঁধের সাথে থাকা বিশাল বরোফিট খাল ও জলাশয় লিজ দেয়া হতো। তাও দীর্ঘদিন যাবত বন্ধ রয়েছে। রামগঞ্জ ও রায়পুরে পাউবোর রেস্ট হাউস এখন সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ডে পরিণত হয়েছে। রায়পুর, রামগঞ্জ ও ফরিদগঞ্জে পাউবোর বিভিন্ন ধরনের প্রায় ৪০টি কোয়ার্টারে বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার বহিরাগতরা বসবাস করে আসছে। এদের একজন কৃষি উপসহকারী আ. মান্নান রামগঞ্জের ডি টাইপের একটি কোয়ার্টারে দীর্ঘ একযুগ ধরে আছেন। কিভাবে থাকছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি যেহেতু কৃষি বিভাগে চাকুরি করি সেহেতু কৃষি বিভাগ ও পাউবোর মধ্যে বাসা বরাদ্দ নিয়ে চিঠি চালাচালি হচ্ছে। তারপরও যে সিদ্ধান্ত হয় আমি তা মেনে নেব। একইভাবে ফরিদগঞ্জ উপজেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম কাজলের স্ত্রীর নামে আবেদন করা একটি বাসায় দীর্ঘদিন তিনি দখলে আছেন। উপরšুÍ তিনি পাউবোর ইউনিট ওয়ার্কশপ দখল করে তাতে এলপি গ্যাসের গোডাউন হিসেবে ব্যবহার করছেন। এ বিষয়ে রফিকুল ইসলাম কাজলের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, ‘বাসা ভাড়া আমরা পর্যায়ক্রমে পরিশোধ করছি। ওয়ার্কশপটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়েছিল এবং অন্যরা দখল করে নিতে চেয়েছিল। আমি এটিকে সংস্কার করে ব্যবহার করছি। তাছাড়া এটি আমাকে বরাদ্দ দেয়ার জন্য মাননীয় এমপি মহোদয় একটি ডিও লেটার দিয়েছেন।’ চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান লিজ বন্ধ থাকার ফলে নানা সমস্যার কথা স্বীকার করেন। তিনি জানান, চাঁদপুর সেচ প্রকল্পে বিভিন্ন কোয়ার্টার খালি পড়ে থাকলে কোয়ার্টারের জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে যায়। আবার কোনো প্রকার রাজস্ব আদায় ছাড়া কোয়ার্টারগুলো বেদখলে থাকা এটাও ঠিক নয়। বিষয়টি ঊর্ধŸতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে কিভাবে একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালার আওতায় এনে সরকারের রাজস্ব আদায় করা যায়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ