Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মূর্তিকে ন্যায় বিচারের প্রতীক মনে করলে ঈমান থাকবে না-অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ

গ্রিক মূর্তি অপসারণ দাবিতে কাল ঢাকায় গণমিছিল

| প্রকাশের সময় : ২ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে স্থাপিত মূর্তিকে ন্যায় বিচারের প্রতীক আখ্যায়িত করে তা অপসারণের আন্দোলনকে সমালোচনা করে সরকারের ২/৩ জন মন্ত্রী মুসলমানদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ। তিনি বলেন, ন্যায় বিচারের প্রতীক কখনও মূর্তি নয়। আল্লাহ ও তার নাযিল করা কুরআন হচ্ছে ন্যায় বিচারের প্রতীক। আল্লাহ ন্যায় বিচারের সকল পদ্ধতি পবিত্র কুরআনে লিপিবদ্ধ করেছেন। কারণ মূর্তির বাক শক্তি ও বোধ শক্তি নেই। কাজেই মূর্তির বিরুদ্ধে আন্দোলনকে স্বাধীনতা বিরোধী আখ্যা দেয়া কোনভাবেই মেনে নেয়া হবে না। মূর্তিকে ন্যায় বিচারের প্রতীক মনে করলে কোনো মুসলমানের ঈমান থাকবে না, সে মুশরিক হয়ে যাবে। মহাসচিব বলেন, মূর্তি মুসলমানের কোন সং¯কৃতি নয়, এটা হিন্দুয়ানী সংস্কৃতি। ইসলামী দৃষ্টিকোন থেকে মূর্তি বানানো বা সংরক্ষণ ও সম্মান করা হারাম। ইসলাম এসেছে মূর্তি ভাঙ্গার জন্যই। কাজেই ৯২ ভাগ মুসলমানের চিন্তাচেতনা বিরোধী মূর্তি স্থাপন কোনোভাবেই মেনে নেয়া হবে না। অবিলম্বে মূর্তি অপসারণ না করলে সর্বত্র আন্দোলন গড়ে উঠবে। তিনি বলেন, এদেশে সব ধর্মের লোক বাস করে বলে মন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন তার প্রতিবাদ করে মহাসচিব বলেন, যার যার ধর্ম পালনে কোন মুসলমান বাধা দেয়নি। কাজেই ৯২ ভাগ মুসলমানদের চিন্তাচেতনা বিরোধী মূর্তি চাপিয়ে দেয়া যাবে না। ন্যায় বিচারের প্রতীক হিসেবে মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে তাহলে কি অতীতে ন্যায় বিচার বলেন মূর্তির প্রতি কারো ভালোবাসা থাকলে সে ব্যক্তিগতভাবে তার ঘরে কিংবা তার নিজস্ব আঙ্গীনায় স্থাপন করলে কারো কোন আপত্তি থাকার কথা নয়। কাজেই সংষ্কৃতিমন্ত্রীকে মনে রাখতে হবে তার সরকার দেশবাসীর কাছে নির্বাচনী ইশতেহারে শরীয়াহ বিরোধী আইন করবে না বলেই ক্ষমতায় এসেছে। এখন শরীয়াহ বিরোধী কাজ করে তার সপক্ষে সাফাই গেয়ে নিজের ঈমান বিসর্জন দিবেন না। অবিলম্বে মূর্তি অপসারণ করতে হবে। মূর্তি অপসারণের দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ৩রা মার্চ শুক্রবার বাদ জুম্মা রাজধানীতে গণমিছিলের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। গণমিছিলে ঈমানদার জনতাকে শরীক হওয়ার আহŸান জানানো হয়েছে।
গতকাল বিকেলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মজলিসে আমেলা (কার্যনির্বাহী পরিষদ)-এর এক জরুরী সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ