Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সেই বিন্দু মাসী নরসিংদীর ডিবি পুলিশের হাতে

| প্রকাশের সময় : ২ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

সরকার আদম আলী, নরসিংদী থেকে ঃ অবশেষে বহুল আলোচিত বিন্দু মাসী খ্যাত লেডি কিলার হাজীপুর ইউপি মেম্বার রেখা বেগম ধরা পড়েছে। দীর্ঘ দিন পালিয়ে বেড়ানোর পর গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নরসিংদী ডিবি পুলিশ মাদক সম্রাজ্ঞী রেখা বেগমকে তার বাসা থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। বিন্দু মাসীকে গ্রেফতারের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর এলাকার জনমনে স্বস্তির বাতাস বইতে শুরু করেছে।
জানা গেছে, বিন্দু মাসী ও তার ছেলেরা অত্যন্ত ঠাÐা মাথার খুনি হিসেবে এলাকার পরিচিত। সে নরসিংদী সদর উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার হবার সুযোগে সে এলাকায় গড়ে তুলেছে মাদক ব্যবসার এক বিশাল নেটওয়ার্ক। ভারতীয় ‘ঘাতক’ মুভির বিন্দু মাসীর মত তারও রয়েছে অবৈধ ব্যবসা, রয়েছে ব্যবসার ডিফেন্ডার হিসেবে এক শক্তিশালী কিলার বাহিনী। রয়েছে গডফাদারসহ দুই কিলার পুত্র ও আশপাশে এক ভয়াবহ পারিপার্শ্বিকতা। তার মেয়ের জানাই শহীদের বিরুদ্ধেও রয়েছে একাধিক খুনের মামলা। ইয়াবা ব্যবসার বিরোধিতা করায় এই লেডি কিলার রেখা বেগম তার পুত্র ও তার বাহিনী নিয়ে নিজে উপস্থিত থেকে সুজন নামে এক যুবককে ঠাÐা মাথায় কুপিয়ে এবং গুলি করে হত্যা করেছে। বাদী পক্ষ এব্যাপারে দায়েরকৃত এজাহারে তার নাম দিয়েছে রেখা বেগম ওরফে মক্ষীরানী ওরফে বিন্দু মাসী।
ইয়াবা ব্যবসার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয় দড়িপাড়া গ্রামের হানিফের পুত্র সুজন। সে রেখা বেগম ওরফে বিন্দু মাসীর ইয়াবা ব্যবসার বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় সমালোচনা করলে বিন্দু মাসী রেখা বেগম তার প্রতি মারাত্মক ক্ষিপ্ত হয়। ক্ষিপ্ত হয় ইয়াবা ব্যবসার গডফাদাররাও। আর এরই ফলশ্রæতিতে গত ২৪ জানুয়ারী রাতে সুজনকে তার ছেলে সন্ত্রাসী কামাল ও তার বাহিনীর মাধ্যমে ডেকে নিয়ে বীভৎসভাবে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে। বিন্দু মাসী নিজে উপস্থিত থেকে তার ঘাড়, মাথা, শরীরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে অর্ধশত আঘাত করে। এতে হাতের আঙ্গুল কেটে বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। দুই পায়ের রগ কেটে ফেলা হয়। এরপর মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য সুজনের উরু ও এবং বুকে আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে। এ অবস্থায় ৪ দিন ঢামেক হাসপাতালের আইসিইউতে মৃত্যুর সাথে লড়ে সুজন মারা যায়। এ ব্যাপারে সুজনের বড় ভাই সুমন বাদী হয়ে রেখা বেগম ওরফে বিন্দু মাসীকে প্রধান আসামী করে ১৪ জনের বিরুদ্ধে নরসিংদী সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ