বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বান্দরবান থেকে স্টাফ রিপোর্টার : বিদ্যুতের আলোতে আলোকিত হলো অবহেলিত দুর্গম থানচি উপজেলা। এটি বান্দরবানের সীমান্তবর্তী থানা। জেলা শহর থেকে ৮৮ কি.মি. দূরে যার অবস্থান। থানচি উপজেলা সদর থেকে মায়ানমার ও ভারত সীমান্ত স্পর্শ করতে আরো ১০০ কি.মি. পাড়ি জমাতে হবে। চারদিকে শুধু অরণ্য। যোগাযোগ ব্যবস্থা উপজেলা সদর পর্যন্ত ভাল থাকলেও অন্যান্য এলাকায় যেতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। স্বাধীনতার ৪৬ বছরে এখানে বিদ্যুৎ ছিল না। পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী ও বান্দরবান আসনের এমপি বীর বাহাদুরের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা, সূদুরপ্রসারী পরিকল্পনায় অনুন্নত পাহাড়ী জনগোষ্ঠী স্বপ্নের বিদ্যুৎ পেল। গতকাল ১ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বান্দরবানের দুর্গম থানচি উপজেলায় উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বিদ্যুৎ লাইন উদ্বোধন করেন। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ তাজিং ডং (বিজয়), ডিম পাহাড়সহ মন মাতানো প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যরে এলাকা থানচি উপজেলার জনগণ বিদ্যুৎ পেয়ে খুবই খুশী। বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বান্দরবানের ৭টি উপজেলার মধ্যে ৬ উপজেলায় বিদ্যুৎ থাকলেও একমাত্র থানচি উপজেলায় বিদ্যুতের আলো ছিল না। দুর্গম এলাকা ও ব্যয়বহুল হওয়ার কারণে স্বাধীনতার ৪৬ বছরেও এখানে বিদ্যুৎ পৌঁছেনি। এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২৫ কোটি টাকা।
অনুষ্ঠানে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী পার্বত্য এলাকায় বিদ্যুতের জন্য ৫৫০ কোটি টাকা, সোলারের জন্য ২৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। তিনি বলেন, অবহেলিত থানচি উপজেলায় যত উন্নয়ন হয়েছে সবগুলো প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে হয়েছে। এই বিদ্যুতের ফলে প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয়ের ডিজিটাল মিশন আরেক ধাপ এগিয়ে গেল। বান্দরবানের জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক-এর সভাপতিত্বে ভিডিও কনফারেন্স অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বান্দরবান সেনাবাহিনীর ব্রিগেড কমান্ডার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল যোবায়ের সালেহীন, পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা, বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল জাকির হোসেন, পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়, বান্দরবান পৌর মেয়র মোঃ ইসলাম বেবী, জেলা পরিষদ সদস্য ল²ীপদ দাশ, থানচি উপজেলা চেয়ারম্যান ক্যহ্লাচিং মার্মাসহ সরকারের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।