Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

যমুনার চরাঞ্চলে মরিচের বাম্পার ফলন কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক

| প্রকাশের সময় : ২ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

সৈয়দ শামীম শিরাজী, সিরাজগঞ্জ থেকে : সিরাজগঞ্জ সদর ও কাজীপুর উপজেলার যমুনার চরাঞ্চলে এবার মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে কৃষকদের চোখে-মুখে আনন্দের হাসি ফুটে উঠেছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জমি থেকে মরিচ তুলে বাজারজাতকরণে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক ও কৃষাণিরা। গৃহস্থদের বাড়ির উঠানগুলো এখন লাল মরিচে ঢাকা। যমুনা নদীর সদর উপজেলার কাওয়াখোলার চর, মেছড়ার চর, কাজিপুর উপজেলার নাটুয়ারপাড়া, চরগিরিস মুনসুর নগরসহ যমুনা নদীর পূর্বপাশে অবস্থিত বিভিন্ন চর ঘুরে এ দৃশ্য দেখা গেছে। কাজীপুর কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, সোনামুখী, চালিতাডাঙ্গা, মাইজবাড়ী, কাজীপুর সদর, শুভগাছা, খাসরাজবাড়ী, নাটুয়ারপাড়া, তেকানী, নিশ্চিন্তপুর, চরগিরিশ ও মনসুরনগর ইউনিয়নের চরাঞ্চলে এবার ব্যাপক মরিচের চাষ হয়েছে। উৎপাদিত এসব মরিচ ক্রয়-বিক্রয়কে কেন্দ্র করে নাটুয়ারপাড়া চরে গড়ে উঠেছে বিশাল মরিচের হাট। এ হাট থেকে মরিচ ক্রয় করে ব্যবসায়ীরা রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করছেন। এবং কাজীপুর চরাঞ্চলের উৎপাদিত লাল মরিচই বগুড়ার লাল মরিচ নামে দেশের নামিদামি কোম্পানিগুলো সংগ্রহ করে তা বাজারজাত করে আসছে বলে স্থানীয় কৃষবিদ জানান। ওইসব চর ঘুরে দেখা যায়, কৃষকরা খেত থেকে মরিচ তোলা ও মরিচ খেত পরিচর্যার কাজে এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। আবহাওয়া অনুক‚ল থাকায় এবার মরিচের বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষকরা। ইতোমধ্যে জেলার বাজারগুলোতে নতুন মরিচ উঠতে শুরু করেছে। শ্রম মজুরি বেড়ে যাওয়ায় এবার মরিচ চাষে উৎপাদন খরচও বেড়েছে। তারপরও বাজারে মরিচের ভালো দাম পাওয়ায় এ অঞ্চলের কৃষকরা এখন খুশি। ভালো দাম পাওয়ায় মরিচ চাষিরা এবার বেশ লাভবান হবেন বলে আশা করছেন কৃষক ও কৃষি কর্মকর্তারা। নাটুয়ারপাড়া চরের মরিচ চাষি আব্দুল কুদ্দুস বলেন, এবার চরে ব্যাপক হারে মরিচ চাষ করেছি। ফলন ভালো হয়েছে। ঝড়-বৃষ্টিও নেই। কাঁচামরিচের যেমন দাম পেয়েছি, তেমনি শুকনো মরিচের দামও গত বছরের তুলনায় বেশি পাব বলে আশা করছি। এব্যাপারে কাজীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মামুনুর রহমান জানান, চরাঞ্চলের কৃষকরা এবার মরিচ চাষে ভাগ্য পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখছেন। চলতি মৌসুমে এক হাজার ৪১০ হেক্টর জমিতে ৯ হাজার ৮১৫ জন কৃষক মরিচের আবাদ করেছেন। ফলন ভালো হওয়ায় প্রতি হেক্টরে ১.৬ মেট্রিক টন মরিচ উৎপাদিত হলে মোট দুই হাজার ৩৯৭ মেট্রিক টন মরিচ এবার উৎপাদন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এতে করে কৃষকরা বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ