Inqilab Logo

সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

পরিবহন ধর্মঘটে বেনাপোল বন্দর অচল শত শত পাসপোর্ট যাত্রী আটকা,বন্দরে মাছ পিঁয়াজসহ কোটি টাকার পণ্য নষ্ট হচ্ছে

| প্রকাশের সময় : ১ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বেনাপোল অফিস : পরিবহন ধর্মঘটের তৃতীয় দিনে বেনাপোল বন্দর সম্পূর্ণ অচল হয়ে পড়েছে। বন্দরে আটকা পড়ে কোটি টাকার ওষুধ, মাছ ও পিঁয়াজজাতীয় পণ্য নষ্ট হচ্ছে। হাজার খানেক ট্রাক ও ট্রাক চেসিস খালাসের অপেক্ষায় যত্রতত্র পড়ে আছে বন্দরের বাইরে। ভারত থেকে আসা শত শত পাসপোর্ট যাত্রী আজো বেনাপোল চেকপোস্টে আটকা পড়ে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। অনেকেই পরিবহন কাউন্টার, টার্মিনাল, বিভিন্ন হোটেলসহ খোলা আকাশের নিচে অবস্থান নিয়েছেন। রোগীরা অসহায় অবস্থায় পরিবহন কাউন্টারে আশ্রয় নিয়েছেন। পরিবহন শ্রমিকরা রাস্তার রাস্তায় লাঠিসোটা নিয়ে ব্যারিকেড দেয়ায় ভয়ে অনেকেই বেনাপোল ছেড়ে যেতে চাইছে না। ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ থেকে আসা ট্রাকচালক কে বাসাই জানান, ধর্মঘটের কারণে গত তিন দিন ধরে তার মাছের ট্রাক খালি হচ্ছে না। তার মাছ নষ্ট হয়ে গেছে। দুর্গন্ধ ছড়াতে শুরু করেছে। নিজের কাছে পয়সা নেই অন্য চালকদের কাছ থেকে লোন করে খাওয়া-দাওয়া করতে হচ্ছে। পারমোজিত সিংহ নামে অপর এক ভারতীয় ট্রাকচালক জানান, তিনি পিঁয়াজের ট্রাক নিয়ে গত চার দিন ধরে বন্দরে অবস্থান করছেন। তারও পিঁয়াজ নষ্ট হওয়ার পথে। নষ্টের ভয়ে তিনি ট্রাকের ত্রিপল খুলে দিয়ে আলো-বাতাস লাগাচ্ছেন। ভারত থেকে আসা হার্টের রোগী উজ্জল কুমার ঘোষ জানান, তিনি ২৫ দিন পর ভারতে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরছেন। ধর্মঘটের কারণে তিনি তার বাড়ি নাটোরে ফিরতে পারছেন না। তিনি তার এক আত্মীয়কে খুলনা থেকে অ্যাম্বুলেন্স পাঠাতে বলেছেন। যদি অ্যাম্বুলেন্স আসে তাহলে বাড়ি ফিরবেন, তা না হলে পরিবহন কাউন্টারে আশ্রয় নেবেন। কাস্টমস কমিশনার শওকাত হোসেন জানান, পরিবহন ধর্মঘটে রাজস্ব আদায়ে বড় ধরনের প্রভাব পড়েছে। যেখানে প্রতিদিন ১৪-১৫ কোটি টাকা রাজস্ব আয় হওয়ার কথা সেখানে প্রতিদিন ১-২ কোটি টাকার রাজস্ব আয় হচ্ছে। কাস্টমস সূত্র জানায়, গত তিন দিনে বেনাপোল বন্দর থেকে প্রায় ৪০ কোটি টাকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে সরকার। ধর্মঘট চললেও বেনাপোল বন্দর দিয়ে দু’দেশের মধ্যে আমদানি বাণিজ্য সচল রয়েছে। বন্দর থেকে পণ্য লোড না হওয়ার কারণে বন্দর সড়কের দুই পাশে শত শত ট্রাক আটকা পড়েছে। ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ চেম্বারের বন্দর সাব-কমিটির চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান জানান, ধর্মূঘটের কারণে তার ৭-৮টি অক্সিজেনবাহী ৪০ ফুট ট্যাংকার আটকা পড়েছে। অক্সিজেনের অভাবে হাসাপাতালসহ শিল্প কলকারখানায় ভয়াবহ অক্সিজেন সঙ্কট দেখা দিচ্ছে। রে ভারতীয় ট্রাকচালকরা দিনের পর দিন আটকে থাকায় তারা বন্দর অভ্যন্তরে রান্না করে খাওয়া-দাওয়া করছে। বিভিন্ন কুরিয়ার সার্ভিসের গাড়ি আটক করে পথে পথে হয়রানি করছে পরিবহন শ্রমিকরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পরিবহন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ