Inqilab Logo

বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

সোনারগাঁও জাদুঘরের সামনে নতুন করে ফুটপাত দখল, বিড়ম্বনায় দর্শনার্থীরা

| প্রকাশের সময় : ১ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশের একমাত্র লোকশিল্প ফাউন্ডেশন (সোনারগাঁও জাদুঘর) ঘরের সামনের রাস্তা ও প্রবেশদ্বারে দু’পাশে ফুটপাতে নতুন করে ভ্রম্যমাণ দোকানপাট বসায় বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন জাদুঘরে আগত দর্শনার্থীরা। জাদুঘরের রাস্তার সামনের ফুটপাত দখল করে দোকান বসায় সামনের সড়ক দিয়ে নির্বিঘে যানচলাচল করতে পারছে না। ফলে এখানে সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট। দর্শনার্থীরাও জাদুঘরে প্রবেশের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হচ্ছেন। প্রশাসন বেশ কয়েকবার মোবাইল কোর্টের মাধ্যম্যে এ জায়গা দখলমুক্ত করলেও স্থানীয় একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করে এসব দোকান পুনরায় বসিয়ে দিচ্ছে। এতে করে দর্শনার্থীদের বিড়ম্বনার পাশাপাশি সোনারগাঁ জাদুঘরে সৌন্দর্যও নষ্ট হচ্ছে। এ নিয়ে দর্শনার্থীদের অভিযোগের শেষ নেই। এছাড়া স্থানীয় প্রশাসনের আইনশৃঙ্খলা সভায়ও বিষয়টি একাধিকবার আলোচিত হয়েছে। জাদুঘর কর্তৃপক্ষও পৌরসভাকে কয়েকদফা লিখিত অভিযোগ করেছে। কিন্তু স্থায়ীভাবে এর কোনো সমাধান হয়নি। ছুটির দিনগুলোতে এখানে যানজট নিরসনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেও হিমশিম খেতে হয়। যেখানে এমনি যানজটের কারণে দর্শনার্র্থীদের বিড়ম্বনা পোহাতে হয় সেখানে নতুন করে ফুটপাত দখল করে দোকান নির্মাণ যানজটকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিচ্ছে। প্রাচীন বাংলার রাজধানী সোনারগাঁ দেশবাসীর কাছে যেমনি পরিচিত তেমনি বহির্বিশ্বেও এর খ্যাতি বিদ্যমান। যার ফলে কোরিয়ার ইয়াং ওয়াং নামক একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান জাদুঘরের বড় সর্দার বাড়িটি তাদের আর্থায়নে নতুন করে সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে। সেই লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের সামনে আগত দর্শনার্থীদের দুঃসহ যানজটের কবলে পড়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। এ ব্যাপারে স্থানীয় শিক্ষাবিদ ড. নূরে আলম জানান, যেখানে যানজট নিত্যদিনের নিয়মে পরিণত হয়েছে, সেখানে নতুন করে ফুটপাত দখল হয়ে যাচ্ছে তা মেনে নেয়া যায় না। এখনো এসব অবৈধ ফুটপাতের দোকানগুলোকে সরিয়ে ফুটপাত দখলমুক্ত করতে প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন। তা না হলে সোনারগাঁয়ের গৌরব রচিত ইতিহাস দেখতে আসা দর্শনার্থীরা যানজটে অতিষ্ঠ হয়ে সোনারগাঁয়ে ঐতিহাসিক স্থান দেখা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে। এব্যাপারে সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহীনুর ইসলাম জানান, জাদুঘরের সামনের কোনো ফুটপাত আমার নজরে আসেনি। জাদুঘর কর্তৃপক্ষ আমার কাছে অভিযোগ করলে আমি ব্যবস্থা নেব। এব্যাপারে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক রবিন্দ্র গোপ বলেন, সোনারগঁাঁও জাদুঘর একটি ঐতিহাসিক স্থান। এটাকে যানজটমুক্ত রাখা সবারই দায়িত্ব। ফুটপাত দখলমুক্ত রাখতে তিনি প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ