Inqilab Logo

বুধবার, ২৯ মে ২০২৪, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

রহস্যজনক কারণে ২০ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না করায় বাড়ছে অসন্তোষ

| প্রকাশের সময় : ১ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

রায়পুর (ল²ীপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : ল²ীপুরের রায়পুর উপজেলা সরকারি হাসপাতালকে ঘিরে গড়ে উঠা চিহ্নিত সেই অবৈধ দোকান ও স্থাপনাগুলো মেয়রের নির্দেশের পরও রহস্যজনক কারণে উচ্ছেদ করছে না প্রশাসন। এসে অসন্তোষ দেখা দিয়ে ডাক্তার, কর্মচারী ও স্থানীয়দের মাঝে। এছাড়াও পৌর মেয়র আইনশৃংখলা সভায় সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে ওই দোকানগুলো উচ্ছেদের নির্দেশ দিলেও আড়াই মাসেও টনক নড়েনি। হাসপাতালের প্রবেশমুখে সড়ক ও জনপথের রাস্তা এবং খাল দখল করে প্রায় আট বছর ধরে ২০টি দোকান তুলে ভাড়া দিয়ে আসছেন স্থানীয় কয়েক প্রভাবশালী ব্যক্তি। এতে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় রোগী ও স্বজনদের। জানা যায়, গত বছরের ১২ নভেম্বর উপজেলা আইনশৃংখলা সভায় উপজেলা চেয়ারম্যান ও মেয়র বিষয়টি সকলের দৃষ্টি আর্কষণ করে অবৈধ দোকানগুলো উচ্ছেদের জন্য রেজুলেশন করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ওসিসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। তার কয়েকদিন পর উপজেলা ভ‚মি অফিসের কানুনগো’র মাধ্যমে সরেজমিনে গিয়ে অবৈধ দোকানগুলোর বিষয়ে সংবাদের সত্যতা পান এবং তা চিহ্নিত করে তালিকা করে আসেন। কিন্তু রহস্যজনক কারণে গত আড়াই মাসেও তা উচ্ছেদ বাস্তবায়ন হয়নি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন দখলদার জানান, পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করে প্রশাসনের লাভ হয়েছে। কারণ উপজেলা ভূমি অফিসের কানুনগোসহ কয়েকজনকে মোটা অংকের টাকার বিনিময় বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে। তাইতো উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ রয়েছে। তবে কানুনগো তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগটি অস্বীকার করেছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিল্পী রানী রায় বলেন, সরকারি হাসপাতালের সামনে অবৈধ দোকনগুলো সরিয়ে ফেলার জন্য দখলদারদের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। পরে তাদের মধ্যে আরমান নামের একজন এক সপ্তাহে দোকানগুলো সরিয়ে ফেলবে বলে লিখিতভাবে অঙ্গীকার করছেন। কিন্তু নির্দেশ অমান্য করার বিষয়টি জেলা প্রশাসক স্যারকে জানানো হয়েছে। কাউকে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করার বিষয়টি আমার জানা নেই। প্রসঙ্গত, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আকবর হোসেন আরমানের ভাই আকরাম হোসেন, রুমান হোসেন, উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি বদরুল আলম জিন্না, তার দুই ভাই জহির আলম মুন্সী, হাসপাতালের কর্মচারী ফেরদৌস আলম মুন্সীসহ বিভিন্ন ব্যক্তি এসব দোকান নির্মাণ করে ভাড়া দিচ্ছেন ও কিছু দোকান নিজে ব্যবসা গড়ে তুলছেন। আগে যৌথবাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগ দুইবার দোকানগুলো উচ্ছেদ করেছিল। তার কয়েক মাস পরেই ফের স্থানটি সেমিপাকা, কিছু কাঁচা দোকান করে দখল করে তারা। দোকান উচ্ছেদে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বারবার আবেদন জানিয়ে কোনো লাভ হচ্ছে না। হাসপাতালে ঢোকার মুখটিও সংকুচিত হয়ে পড়ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ