Inqilab Logo

বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাজধানীতে ভয়াবহ অগ্নিকাÐে জুতা কারখানা পুড়ে ছাই

| প্রকাশের সময় : ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মৃধাবাড়ির সামাদনগরে অবস্থিত জুতা কারাখানা ক্ল্যাসিক সুজে গতকাল ভয়াবহ অগ্নিকাÐের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে পুরো কারখানাটি। নিশ্চিত না হলেও কারখানায় থাকা দাহ্য (কেমিক্যাল) পদার্থ থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসের ১৬টি ইউনিট তিন ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। সরু রাস্তা এবং কারখানার আশপাশে পানির ব্যবস্থা না থাকায় আগুন নেভাতে বিলম্ব হয়। এ ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক।
কারখানার শ্রমিক আকবর হোসেন বলেন, সকাল বেলায় কারখানার সবাই নিজ নিজ কাজে ব্যস্ত। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কারখানার কারখানার বাম পাশের একটি স্ত‚প থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। প্রথমে কারখানার পানি দিয়ে আগুন নির্বাপণের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু সময় গড়ার সাথে সাথে ধোঁয়া বাড়তে থাকে। তখন কারখানার প্রায় ৭০ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী দ্রæত বের হয়ে আসেন। তাৎক্ষণিক ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের বিভিন্ন স্টেশন থেকে মোট ১৬টি ইউনিট দ্রæত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। দীর্ঘ তিন ঘণ্টা পর ফায়ার কর্মীরা আগুন নেভাতে সক্ষম হন। কারখানার মালিক জুয়েল ও নোবেল নামে আপন দুই ভাই। ঘটনার সময় তারা কারখানার বাইরে ছিলেন। কারখানাটিতে দুই শিফটে দেড় শ’ শ্রমিক কাজ করেন। নুতন পুরাতন মিলে ২২টি মেশিন ছিল। এর মধ্যে আটটি মেশিনে জুতার সোল তৈরি হতো। কারখানা লাগোয়া আরেকটি কারখানায় ওই সোল দিয়ে জুতা তৈরি করা হয়। স্থানীয় বাজারসহ বড় বড় কয়েকটি কোম্পানির জুতাও এই দুই কোম্পানিতে তৈরি করে সরবরাহ করা হত। বিশেষ করে কারখানাটিতে বাটা জুতার কাজও করা হতো।
ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন) মেজর শাকিল নেওয়াজ বলেন, কারখানায় আগুন নেভানোর কোনো ব্যবস্থা ছিল না। প্রশিক্ষিত জনবলও নেই। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতেও তাদের বেগ পেতে হয়েছে। কারণ, কারখানার প্রবেশের রাস্তাটি এত সরু যে, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি সেখানে ঢুকতে পারছিল না। এরপর কারখানায় প্রচুর রাসায়নিক পদার্থ রাখায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লেগেছে। তবে প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। তদন্তের পর বোঝা যাবে। কারখানাটি এমন স্থানে অবস্থিত যার আশপাশে পানির কোনো ব্যবস্থা নেই। শুধু ফায়ার সার্ভিসের পানি দিয়ে আগুন নেভাতে হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ