ইবি ভিসির অফিসে তালা, অডিও ক্লিপ বাজিয়ে আন্দোলন
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালামের অডিও ফাঁসের ঘটনায় তৃতীয় দিনেও ভিসি
ভাষা আন্দোলন ও গৌরবময় স্বাধীনতার স্মৃতি ধারণ করে স্বগৌরবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। বিশ^বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের পূর্ব পাশে চার একর জমির উপর ঐতিহাসিক এই স্থাপত্য কর্মটি অবস্থিত। মূল স্থাপনার সাথে উন্মুক্ত মঞ্চ, সমৃদ্ধ শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালা, ক্যাফেটেরিয়া, বাগান ও সবুজ চত্বর সংযুক্ত। স্থাপনাটির মূলে রয়েছে ১২ ফুট উঁচু ষড়ভুজ প্লটফর্মের উপর ৫৬ ফুট উঁচু স্তম্ভ। শূন্যের দিকে উন্মুক্ত এই স্তম্ভ আমাদের বিহঙ্গের মত স্বাধীন হতে শিখায়। শহীদ মিনারের ভিত্তি মঞ্চে পৌঁছানোর জন্য রয়েছে কতগুলো সিঁড়ি। ১৯৬৪ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ভাষা শহীদের শ্রদ্ধা নিবেদনের লক্ষ্যে বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্ররা সর্ব প্রথম কলা ভবনের দক্ষিণে এটি নির্মাণ করেন। পরবর্তীতে ১৯৬৫ সালে বিশ^বিদ্যালয়ের নির্বাচিত ছাত্র সংসদের প্রতিনিধিদের প্রচেষ্টায় এটি পূর্ণাঙ্গ রূপ লাভ করে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময় পাকিস্থানী হানাদার বাহিনী শহীদ মিনারটি ভেঙে ফেলে। দেশ স্বাধীনের পর বাংলা ১৩৭৯ সালের ২৬ বৈশাখ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবর রহমান বর্তমান স্থানে পুনরায় ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
পঞ্চাশ বছরের বেশি পুরনো এই শহীদ মিনারটি বিশ^বিদ্যালয়ের সকল জাতীয়, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক কর্মকা-ের কেন্দ্রবিন্দু। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে সকল জাতীয় দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি এই বেদিতে অর্পিত হয়। প্রতি বছর একুশে ফেব্রুয়ারিকে ঘিরে এই শহীদ মিনারকে সাজানো হয় বর্ণিল সজ্জায়। বিভিন্ন সংগঠন আয়োজন করে দিনব্যাপী নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। শিক্ষার্থীরা রাত জেগে আল্পনা আঁকে আর নানা ফুলে অপরূপ সাজে সাজায় এই শহীদ মিনারকে। যা দেখলে মনের ক্যানভাসে ভাসতে থাকে শহীদদের সেই বীরত্বগাথা আত্মত্যাগ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।