Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

শ্রীপুরে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে গণধর্ষণ

| প্রকাশের সময় : ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

শ্রীপুর (গাজীপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : গাজীপুরের শ্রীপুরে চাকরির প্রলোভনে এক নারী গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। গত শনিবার উপজেলার বরমী ইউনিয়নের সাতখামাইর এলাকার ডাকাইত ভিটার গভীর গজারি বনে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার ২০ ঘন্টা পর গতকাল রবিবার দুপুরে শ্রীপুর থানা পুলিশ ধর্ষিতাকে স্থানীয় ইউপি সদস্য হারুন অর রশিদের নিকট থেকে উদ্ধার করে। জনতার হাতে আটক ধর্ষক ডালেশ্বর গ্রামের রাশেদুল (২১), সেলিম (২৩) ও রফিকুল (২২) স্থানীয় ইউপি মেম্বারের উপস্থিতিতে দৌড়ে পালিয়ে যায়। ভিকটিম ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, পার্শ্ববর্তী গফরগাঁও উপজেলার সতের বাড়ি গ্রামের শহিদুলের কন্যা (২০) ও সোহরাবের কন্যা (১৮)’র সাথে ধর্ষকরা ১০/১২ দিন যাবত মোবাইল ফোনে চাকরির প্রলোভন দিয়ে আসছে। শনিবার ঐ দুই নারী চাকরির আশায় ডেমু ট্রেনে শ্রীপুর রেলস্টেশনে আসলে ধর্ষকরা সিএনজি যোগে চাকরি দেয়ার নাম করে তাদেরকে সাতখামাইরের ডাকাইত ভিটার গজারী বনে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে যুবকরা দু’নারীকেই ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় এক নারী (২০) জঙ্গল থেকে দৌড়ে বের হয়ে আসে। তিন ধর্ষক অপর নারী (১৮) কে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ডাকচিৎকার শুনে বেলা আড়াইটার দিকে স্থানীয় লোকজন দুই নারীকে উদ্ধার করে। এসময় লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়। ঘটনার পর থেকে প্রায় ২০ ঘণ্টা নির্যাতিতা ওই দু’নারী ইউপি সদস্য হারুন অর রশিদের হেফাজতে ছিল। এলাকাবাসী জানায়, রবিবার সকালে স্থানীয় মেম্বার হারুন অর রশিদের মধ্যস্থতায় স্থানীয় ভাবে শালিস বৈঠকের সময় ধার্য্য থাকলেও ধর্ষনকারীরা উপস্থিত হয়নি। খবর পেয়ে শ্রীপুর থানার এস.আই শহিদুল হক মোল্লা প্রায় ২০ ঘণ্টা পর নির্যাতিতা দু’নারীকে ইউপি সদস্য হারুনুর অর রশিদের নিকট থেকে উদ্ধার করে। ইউপি সদস্য হারুন অর রশিদ বলেন, তিনি ঘটনাটি ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা কিংবা শালিস বৈঠকেরও ব্যবস্থা করেননি। মেয়েদের অভিভাবক এলেই তাদেরকে থানায় পাঠানোর জন্য অপেক্ষা করছিলেন। শ্রীপুর মডেল থানার এস.আই শহিদুল হক মোল্লা জানান, খবর পেয়ে তিনি ইউপি সদস্য হারুনের নিকট থেকে ওই দুই নারীকে উদ্ধার করেন এবং ইউপি সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসেন। শ্রীপুর মডেল থানার ওসি আসাদুজ্জামান জানান, দু’নারীর মধ্যে একজন ধর্ষিত হয়েছে, মামলার প্রস্তুতি চলছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ