Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাঁধ কেটে দেয়ায় ঠিকাদারের মাথায় হাত

| প্রকাশের সময় : ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

আক্তারুজ্জামান বাচ্চু, সাতক্ষীরা থেকে : আশাশুনিতে স্থানীয় লোকজন এক ঠিকাদারের দেয়া বাঁধ কেটে দিয়েছে। গত শনিবার বিকালে আশাশুনি উপজেলার চাম্পাফুল ইউনিয়নের জগদীশকাটি গ্রামে গোলঘেসিয়া খালে এ ঘটনা ঘটে। এতে ওই ঠিকাদারের মাথায় হাত উঠেছে। মেসার্স সালেহা এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটর মোঃ আবুল কালাম  রাতে কান্নাজড়িত কণ্ঠে সাংবাদিকদের জনান, কালিগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার কর্তৃক দরপত্র আহ্বান করা হয়। দরপত্রে গোলঘেসিয়া খালের উপর ৬০ ফুট দৈর্ঘ্যরে সেতু নির্মাণ বাবদ ৫৬ লাখ ৮৯ হাজার ১০৬ টাকা মূল্য ধরা হয়। দরপত্রের উদ্ধৃতির দর ছিল ৫% নিম্নদর। কার্য সম্পাদনের সময়সীমা ছিল ৬০ দিন। তিনি লটারির মাধ্যমে উক্ত কাজের জন্য ঠিকাদার নির্বাচিত হন। গত ০৫/০২/২০১৭ তারিখ থেকে কাজ শুরু করেন। এমতাবস্থায় সেখানে পাইলিং ও বাঁধ দিয়ে আনুমানিক ৮ থেকে ৯ লক্ষ টাকা ব্যয় করার পর গত শনিবার দুপুরে স্থানীয় ঘুসড়ী গ্রামের মৃত লুৎফর রহমান মোড়লের ছেলে সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল লতিফ মোড়ল স্থানীয় বেশ কিছু লোকজন নিয়ে নির্মিত বাঁধটি কেটে দেয়। ঠিকাদার আরও জানান, ওই খালের ওপরে সেতু নির্মাণ করতে না দেয়ার জন্য একটি মহলের ষড়যন্ত্রে লতিফ মোড়লের নেতৃত্বে এমন ধরনের ক্ষয়ক্ষতি করা হয়েছে। তিনি বিষয়টি কালিগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও সদস্য সচিব শাহরিয়ার মাহমুদ রনজুকে জানিয়েছেন বলে সাংবাদিকদের জানান। একই সাথে বিষয়টি চাম্পাফুল ইউপি চেয়ারম্যান আ.লীগ নেতা মোজাম্মেল হককেও জানিয়েছেন। ঠিকাদার আবুল কালাম সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষতিপূরণসহ ন্যায় বিচার প্রার্থনা করেছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাহরিয়ার মাহমুদ রনজু বলেন, বিষয়টি তিনি জেনেছেন। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ মোড়ল এ প্রতিবেদককে জানান, নদীর দু’পাশে বাঁধ দিয়ে মাঝখানে ঢালাই দিয়ে কালভার্ট ব্রিজ নির্মাণ হলে নদীটি ভরাট হয়ে যাবে এমন ধারণা করেই উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ সাহেবের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এবং তার উপস্থিতিতেই বাঁধটি কেটে দেয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে ঠিকাদার আবুল কালাম ওয়াহেদ সাহেবের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি হয়ত কিছু আর্থিক সুবিধা দিতে পারেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ