Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় পর্যায়ে মেন্টাল অ্যারিথমেটিক প্রতিযোগিতা অংশ নিচ্ছে ১৬শ’র বেশি শিক্ষার্থী

| প্রকাশের সময় : ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : আলোহা আয়োজিত জাতীয় পর্যায়ের মেন্টাল অ্যারিথমেটিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে এক হাজার ৬০০ এর বেশি শিক্ষার্থী। রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটিতে (বিআইসিসি) দশম জাতীয় পর্যায়ের এই অ্যাবাকাস ও মেন্টাল অ্যারিথমেটিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। প্রতিযোগিতায় সারাদেশের ৩০০টি স্কুল থেকে এক হাজার ৬৩৩ জন শিক্ষার্থী এবং ভারতের ত্রিপুরা আলোহার ৪৪ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। ২০০৮ সাল থেকে বাংলাদেশে এ ধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছে আলোহা বাংলাদেশ। শিশুরা কতো দ্রæত ও নির্ভুলভাবে সমাধানে পৌঁছাতে পারে এটা পরীক্ষার উদ্দেশেই প্রতিযোগিতাটি আয়োজিত হয়। প্রতিযোগিতাটিতে অংশগ্রহণকারীদের পাঁচ মিনিটের মধ্যে ৭০টি জটিল গাণিতিক সমাধান করতে বলা হয় এবং বেশির ভাগ শিক্ষার্থীই উল্লিখিত সময়ের মধ্যে নির্ভুলভাবে গাণিতিক সমাধান করে।
এদিন বিকেলে প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয় যেখানে নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা অতিথিদের সামনে তাদের দক্ষতার প্রদর্শন করে। প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন আলোহা মেন্টাল অ্যারিথমেটিকের প্রেসিডেন্ট এবং মালয়েশিয়া অ্যাবাকাস ও মেন্টাল অ্যারিথমেটিক অ্যাসোসিয়েশন সেক্রেটারি (এমএএমএএ) লোহ মুন সাঙ।
এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আলোহা বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আলী হায়দার চৌধুরী। এ ছাড়াও সেশন চেয়ারম্যান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলোহা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান সাইফুল করিম এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন আলোহা বাংলাদেশের পরিচালক সমোহাম্মদ শামসুদ্দিন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সার্বিকভাবে এ কর্মসূচি মস্তিষ্কের মানোন্নয়নে অ্যারিথমেটিক শেখার প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে। স্কুলশিক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত পাঠক্রম হিসেবে দু’বছরব্যাপী এ কর্মসূচি আটটি পর্যায়ে বিভক্ত। প্রতিটি পর্যায়ের সময়কাল তিন মাস। এ কর্মসূচিতে শিশুদের আঙুল ব্যবহার করে ১ থেকে ৯৯ পর্যন্ত যোগ-বিয়োগের কার্যক্রম শেখানো হয়। আঙুলের কৌশল রপ্ত করার পর তাদের অ্যাবাকাস শেখানো হয়। অ্যাবাকাস ব্যবহার করে শিশুরা যোগ-বিয়োগ, গুণ, ভাগ, রুট, স্কয়ার রুট, দশমিক ও শতাংশের মতো জটিল গাণিতিক হিসাব দ্রæতগতিতে ও নির্ভুলভাবে সমাধান করতে শিখে। পরবর্তীতে, শিশুদের আঙুল অথবা অ্যাবাকাস ব্যবহার না করে মস্তিষ্কের পূর্ণ ক্ষমতা ব্যবহারের মাধ্যমে জটিল গাণিতিক হিসাব করতে শেখানো হয়। তারা কল্পিত অ্যাবাকাস ব্যবহার করে জটিল গাণিতিক সমস্যা সমাধান করতে শেখে। প্রতিযোগিতায় সর্বমোট ১৯৯ জনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। সর্বোচ্চ ৭০ নম্বরে ৭০ পেয়েছেন মোহম্মদ রহিম হাসান, আফিয়ান শাফি দৃঢ়, সারাফ ইসলাম নুহিল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয়


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ