রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
কলারোয়া (সাতক্ষীরা) উপজেলা সংবাদদাতা : কলারোয়ায় আওয়ামী লীগের ১৯ বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীকে মনোনয়নপত্র জমার সুযোগ দেয়া হয়েছে। কিন্তু বেধড়ক সন্ত্রাসী তৎপরতার মুখে মনোনয়নপত্র সংগ্রহকারী ৫ বিএনপি নেতাকে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার জন্য রির্টানিং অফিসারের কার্যালয়ের ধার কাছে যেতেও দেয়া হয়নি। প্রতক্ষ্যদর্শী সূত্র জানায়, উপজেলা সদরে অবস্থিত সহকারী রির্টানিং কার্যালয় সমূহে প্রবেশের সকল রাস্তাগুলোয় ক্ষমতাসীন দলের উপজেলা নেতৃবৃন্দ ও মনোনীত প্রার্থীরা সদলবলে অবস্থান নিয়ে তল্লাশি শুরু করে। যাতে অন্য কেউ বিরোধী দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র ভিতরে না নিতে পারে। সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে অনেকের খুঁজে বেড়ানো বা বাড়িতে হামলা ভাঙচুরের মত সন্ত্রাসী তৎপরতার মাধ্যমে বিএনপি নেতাদের মনোনয়ন জমায় বিরত রাখা হয়। এরমধ্যে কলারোয়ার ৬নং সোনাবাড়িয়া ইউনিয়নে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলামের বাড়ি ভাঙচুর ও হামলা করে মনোনয়ন জমা দান থেকে বিরত রেখে ক্ষমতাসীন দলের মনোনীত প্রার্থী মনিরুল ইসলাম একক প্রার্থী হিসাবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ করে নিয়েছে। ১২নং যুগিখালী ইউনিয়নে ক্ষমতাসীন দল মনোনীত প্রার্থী রবিউল হাসানের বিরুদ্ধে ক্ষমতাসীন দলের বিদ্রোহী প্রার্থী ওজিয়ার রহমান মনোনয়নপত্র জমার সুযোগ দেয়া হলেও বিএনপি মনোনীত প্রার্থী উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ম সম্পাদক বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলামকে সন্ত্রাসী তৎপরতার মাধ্যমে রির্টানিং অফিসের ধারে যেতে দেয়া হয়নি। ৩নং কয়লা ইউনিয়নে আ’লীগ মনোনীত প্রার্থী মহিদুর রহমানের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ নেতা শেখ ইমরান হোসেন, ওয়াকার্স পাটির সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফকে মনোনয়নপত্র জমার সুযোগ দেয়া হলেও উপজেলা বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান আঃ রকিবকে বেধড়ক সন্ত্রাসী তৎপরতার মুখে কেনা মনোনয়ন জমা দেয়ার কথা ভুলে যায়। ৮নং কেরালকাতা ইউনিয়নে আ’লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান স.ম মোরশেদ আলীর বিরুদ্ধে আ’লীগ নেতা আব্দুল হামিদ সরদার ও আ’লীগ নেতা ফারুক হোসেনকে মনোনয়নপত্র দাখিলের সুযোগ দেয়া হলেও উপজেলা বিএনপি’র সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল ইসলামকে মনোনয়নপত্র দাখিলের জন্য রির্টানিং অফিসের ধারে যেতে দেয়া হয়নি। এদিকে ১২নং দেয়াড়া ইউনিয়নের ক্ষমতাসীন দলের মনোনীত প্রার্থী মনোনীত প্রার্থী মাহবুবর রহমান মফের বিরুদ্ধে আ’লীগ নেতা মেহেদী মাসুদকে মনোনয়নপত্র জমার সুযোগ দেয়া হলেও সহকারী রির্টানিং অফিসার সদরুল আনামের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময় উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে দেয়াড়া ইউপি চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা ইব্রাহিম হোসেনের মনোনয়নপত্র কেড়ে নেয়া হয়। এ ব্যাপারে অভিযোগের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন থেকে মনোনয়নপত্র উদ্ধারের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার নির্দেশ দিলেও তা উদ্ধার সম্ভব হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।