রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
কলারোয়া (সাতক্ষীরা) উপজেলা সংবাদদাতা : ৫০ শয্যার হাসপাতালে কলারোয়ার আড়াই লাখ মানুষের চিকিৎসা সেবায় ৬ জন ডাক্তার নিয়োজিত রয়েছে। ফলে কলারোয়া হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যবস্থা মুখ থুবড়ে পড়েছে। জানা গেছে, কলারোয়া হাসপাতালে ডাক্তারের পদ রয়েছে ৩৪ জনের। এরমধ্যে একের পর এক বদলি হয়ে যাওয়ার কারণে ২৫ ডাক্তারের পদ খালি হয়ে পড়েছে। আর কলারোয়া হাসপাতালে কর্মরত ৯ ডাক্তারের মধ্যে হাসপাতালের প্রধান স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রফিকুল ইসলাম চিকিৎসার জন্য ২ মাসের ছুটিতে ভারতে রয়েছেন। জুনিয়র কনসাল্টেন্ট (অর্থ) ডা. প্রবীর ডেপুটেশনে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে কর্মরত। এমওডিসি ডা. মেহেরুল্যাহ পরীক্ষার ছুটি নিয়ে ঢাকায় রয়েছেন। বাকি কর্মরত ৬ জন ডাক্তারের মধ্যে পর্যায়ক্রমে ৩ শিফটে ইমারজেন্সিতে ডিউটির জন্য ২ জন ডাক্তার বিশ্রামে থাকেন। এছাড়া ডাক্তার শরিফুল ইসলাম টানা ২ দিন ইমারজেন্সিতে ডিউটি করে সপ্তাহের বাকি ৫ দিন রংপুরে নিজস্ব ক্লিনিকে যেয়ে প্রাইভেট ব্যবসা করেন। ফলে হাসপাতালে ৬ জন ডাক্তার থাকলেও কলারোয়ার মানুষকে ৩ জন ডাক্তারের চিকিৎসা সেবা নিয়ে সšুÍষ্ট থাকতে হয়। ডাক্তার সংকটে জাইকার অর্থায়নে পরিচালিত গর্ভবতী মাতাদের সিজারিয়ান অপারেশন কার্যক্রম ৯ মাস যাবত বন্ধ রয়েছে। এছাড়া হাসপাতালের দ্বিতীয় শ্রেণির ২৬ পদের মধ্যে ২ পদ শূন্য রয়েছে। তৃতীয় শ্রেণির ১২১ পদের মধ্যে ৪০ পদ শূন্য রয়েছে। ৪র্থ শ্রেণির ২৫ পদের মধ্যে ৬ পদ শূন্য হয়ে পড়েছে। অর্থাৎ হাসপাতালে ২০৬ জন কর্মকর্তা কর্মচারীর মধ্যে ৭১ পদ শূন্য রয়েছে। ফলে নেই আর নেই নিয়ে কলারোয়া হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা মুখ থবড়ে পড়েছে। ১৮/২০ কিলোমিটার দূর থেকে রোগী এসে ডাক্তারের অভাবে ঘণ্টার পরে ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে। ফলে অনেকে চিকিৎসা নিতে বেসরকারি ক্লিনিকে যেতে হচ্ছে। কলারোয়া হাসপাতালে ডাক্তার না পাওয়া গেলেও বিভিন্ন অঞ্চলের হাসপাতালের ডাক্তাররা কলারোয়ায় বেসরকারি ক্লিনিক, নাসিং হোম, বেসরকারি প্যাথোলজি এবং ফার্মেসিতে এসে গলাকাটা ফিস নিয়ে চিকিৎসা দিচ্ছে। এসব ডাক্তারারা বেসরকারি ক্লিনিক, নাসিং হোম, বেসরকারি প্যাথোলজি এবং ফার্মেসির স্বার্থ রক্ষায় বিপুল পরিমাণের নি¤œমানের ওষুধ প্রেসক্রিপশন এবং একরাশ পরীক্ষা-নিরীক্ষা দিয়ে পার্সেন্টেজ হিসাব মোটা টাকা আয় করছে। ফলে অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং ওষুধের ভারে কলারোয়ার গরীব জনসাধারণ ধুকে ধুকে নিঃস্ব হয়ে পড়ছে। এছাড়া ওষুধ কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ থাকায় ডাক্তাররা হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের বাইরের ওষুধ কিনতে বাধ্য করছে। হাসপাতালে সরবরাহ থাকা ওষুধ অনেক রোগীকে দেয়া হয় না বলে অভিযোগ রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।