Inqilab Logo

মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নলক‚প অপারেটরের দৌরাত্ম্যে কৃষকদের বাড়ছে ক্ষোভ

| প্রকাশের সময় : ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

তানোর (রাজশাহী) উপজেলা সংবাদদাতা : রাজশাহীর তানোরে ‘বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ’ বিএমডিএর গভীর নলক‚পের এক অপারেটরের বিরুদ্ধে, ক্ষমতার অপব্যবহার, স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে ও নীতিমালা লঙ্ঘন করে ওই অপারেটরকে নিয়োগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্কিমের কৃষকরা। অভিযুক্ত অপারেটরের অপসারণ ও স্কিমের কৃষকের মতামতের ভিত্তিতে অপারেটর নিয়োগের দাবিতে কৃষকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। চলতি বছরের ১২ ফেব্রæয়ারি রোববার স্কিমভুক্ত কৃষকরা অপারেটরের বিরুদ্ধে বিএমডিএর নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, তানোরের পাচন্দর ইউপির জেল নম্বর ৭০ ও ৮৯৯ নম্বর দাগে অবস্থিত গভীর নলক‚পের অপারেটর হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় শামসুজ্জামান ওরফে ডালিমকে। কিন্তু ডালিম রাজশাহী শহরে অবস্থান করায় কৌশলে ও নীতিমালা লঙ্ঘন করে বড় অংকের অর্থের বিনিময়ে মাসুদ রানাকে সহকারী অপারেটর হিসেবে নিয়োগ করেছেন। এদিকে অপারেটরের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে মাসুদ রানা স্কিমের কৃষকদের রীতিমতো শোষণ করে চলেছেন। তিনি কারণে-অকারণে নানা অজুহাতে কৃষকদের কাছে থেকে সেচ চার্জ আদায়ের নামে রীতিমতো চাঁদাবাজি করছেন। আর তার চাহিদামতো অর্থ দিতে অসম্মতি জানালে বা প্রতিবাদ করলেই ওই কৃষকের জমিতে সেচ দেয়া বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। সেচ নীতিমালা লঙ্ঘন করে কৃষকের কাছে থেকে বিঘা প্রতি ২০০০ টাকা করে সেচ চার্জ আদায় করা হচ্ছে। আবার বৈদ্যুতিক মটর মেরামতের জন্য সহকারী প্রকৌশলীকে ঘুষ দেয়ার নাম করে কৃষকদের কাছে থেকে প্রায় ৩০ হাজার টাকা আদায় করা হলেও সেই টাকা মাসুদ রানা আত্মসাৎ করেছেন। এছাড়াও নীতিমালা লঙ্ঘন করে স্কিমের বাইরের ‘কমান্ড এরিয়া’ প্রায় ৩০ বিঘা জমিতে সেচ দেয়া হচ্ছে, এ জন্য প্রতি বিঘায় কৃষকের কাছে থেকে আড়াই হাজার টাকা করে সেচ চার্জ নেয়া হচ্ছে। কৃষক হাবিবুর রহমান ও জামিলুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, সাব অপারেটর মাসুদ রানা কৃষকদের জিম্মি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। তারা বলেন, স্কিমের কৃষকের মতামতের ভিত্তিতে অপারেটর নিয়োগ অথবা সমিতির মাধ্যমে গভীর নলক‚প পরিচালনার জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছেন। কিন্তু রহস্যজনক কারণে কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। এ ব্যাপারে অপারেটর শামসুজ্জামান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি এলাকায় না থাকায় নলক‚প চালানোর দায়িত্ব পালন করছেন মাসুদ রানা তবে তাকে সহকারী অপারেটর হিসেবে নিয়োগ করা হয়নি। এ ব্যাপারে মাসুদ রানা বলেন, কৃষকদের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির কারণে কৃষকরা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিল, তবে সেটা মিটমাট হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে বিএমডিএ তানোর জোনের সহকারী প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম বলেন, এক জনের নামে অপারেটর নিয়োগ নিয়ে অপরজনকে দিয়ে নলক‚প পরিচালনা করা বেআইনি। তিনি বলেন, এ বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ