রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
ছাতক (সুনামগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলায় সুরমা নদীর ভয়াবহ ভাঙন এখন মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। রাস্তা-ঘাট, ফসলী জমি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা সুরমা নদীর ভাঙ্গনের কবলে পড়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন হাজারো পরিবার। গত ১২ফেব্রæয়ারি পানি সম্পদ মন্ত্রী বরাবরে ভাঙন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে একটি লিখিত আবেদন করা হয়েছে। দোয়ারাবাজার উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ও ছাতকস্থ জাবা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর আলম ও কালারুকা ইউনিয়নের মুক্তিরগাঁও হরিশপুরের সাবেক মেম্বার নূরুল হকের দেয়া আবেদনকে পানি সম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহা-পরিচালক বরাবরে প্রেরণ করেছেন। আবেদনে বলা হয়, ছাতকের কালারুকা ইউপির মক্তিরগাঁও, পৌরসভার বৌলা, দোয়ারাবাজার উপজেলার নইনগাঁও, মাঝেরগাঁও, মাছিমপু, মুরাদপুর, মাস্টারপাড়া, আমবাড়িবাজার, কাটাখালীবাজার, সোনাপুর, নূরপুরসহ সুরমা নদীর তীরবর্তী বসতবাড়ি, রাস্তা-ঘাট, স্কুল, মাদরাসাসহ বিভিন্ন স্থাপনা ভয়াবহ ভাঙনের কবলে পড়েছে। বিশেষ করে মুক্তিরগাঁও-ছাতক সড়ক দিয়ে মুক্তিরগাঁও আটগ্রামসহ কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার পারকুল, টুকেরগাঁও, শিবপুর, পুটামারাসহ অন্যান্য গ্রামের লোকজন দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে থাকেন। কিন্তু এসড়কটি সুরমার ভয়াবহ ভাঙনে বিলীন হওয়ায় এ সড়কে প্রায় ৬মাস থেকে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এভাবে দোয়ারাবাজার উপজেলা পরিষদের প্রশাসনিক দফতরগুলো নদী ভাঙনের কবলে পড়েছে। ২০১৬সালের ২১নভেম্বর ও ২০১৩সলের ২১অক্টোবর সিলেট বিভাগীয় কমশিনার বরাবরে নদী ভাঙনরোধের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে পৃথক দু’টি আবেদন করা হয়। ২০১৩ সালের আবেদন করেন হরিশপুর গ্রামের মানিক মিয়া ও বৌলা গ্রামের জয়নাল আবেদীন রফিক। এটি সুনামগ জেলা প্রশাসকের (এসএ) শাখা ছাতক উপজেলা ভূমি অফিসের মাধ্যমে একটি তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে এর সত্যতার ব্যাপারে নিশ্চিত হন। প্রতিবেদনে বলা হয়, সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের রাজস্ব শাখার স্মারক নং০৫.৬০.৯০০০.০৮.১২.১২১.১৩-৩১৬২(২), তাং ১৪.১১.২০১৩নং ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয়ের স্মারক নং-১৮৯৮, তাং ১৭.১১.২০১৩ইং মুলে মুক্তিরগাঁও ও বৌলা এলাকায় সুরমা নদীর ভাঙনের ব্যাপারে বলা হয়, ছাতকের ২১৯নং জেএলস্থিত পূর্ব কামারগাঁও মৗজা ও ২২৫নং জেএলস্থিত নিজগাঁও মৌজার নদীর তীরবর্তী ফসলী জমি ভেঙে ধীরে ধীরে নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। এক্ষেত্রে নদীর ভাঙন রোধ করা একান্ত আবশ্যক। এছাড়া টুকেরগাঁও গ্রামের চরজাগা অংশ কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার আওতাধীন ভূমি। যাহা খনন করা হলে এলাকাবাসীর মতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ফসলী জমি রক্ষা পাবে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়। পরে ২০১৪ সালের ১৬জুন জেলা প্রশাসক মহোদয় এ প্রতিবেদনটি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে প্রেরণ করলে এর কোন অগ্রগতি হয়নি। সম্প্রতি পানিসম্পদ মন্ত্রী বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহা-পরিচালক বরাবরে প্রেরণ করেছেন। মন্ত্রী মহোদয়ের দেয়া নির্দেশ যেন কালের গর্ভে বিলীন হয়ে না যায় এ প্রত্যাশাই করছেন এলাকাবাসী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।