বাংলাদেশের জনজীবন ও অর্থনীতিতে ফারাক্কা বাঁধের বিরূপ প্রতিক্রিয়া
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রবাহিত গঙ্গার ওপর নির্মিত ভারতের ফারাক্কা বাঁধের প্রতিক্রিয়া যেমন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক
জাহাঙ্গীর আলম : লেখার শুরুতে মেঘনাদবধ কাব্যের সেই পংক্তিটির উদ্ধৃতি না দিয়ে পারছি না। এতক্ষণে অরিন্দম কহিল বিষাদে...। এর উপলক্ষ হচ্ছেন আমাদের শিক্ষামন্ত্রী। তিনি ১৫ সালের পাবলিক পরীক্ষাগুলোর হাল দেখে বাস্তব সত্য বুঝতে পারেন এবং যথারীতি প্রকাশও করেন তা সংবাদ মাধ্যমে। নৈর্ব্যক্তিকের সমস্যা তিনি ধরতে পেরেছেন এবং তা উঠিয়ে দেয়ার চিন্তাও প্রকাশ করছেন। বিলম্ব হলেও এ জন্য মন্ত্রী মহোদয়কে ধন্যবাদ জানাই। সাথে স্মরণ করতে চাই যে, জাতীয় উন্নয়ন কর্মকা-ে ধারকরা বিদেশি ফরমূলাগুলোর প্রায়োগিক সমস্যা অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে যেমন দেখা যায়, ঠিক তেমনি শিক্ষাক্ষেত্রে নৈর্ব্যক্তিক অভিক্ষা পশ্চিমা শিক্ষা গবেষকদের একটি মহৎ উদ্যোগ। অথচ অধিকাংশ শিক্ষকও নৈর্ব্যত্তিকের মূল অর্থ জানেন না, এমন কি এই নিবন্ধকারও শিক্ষা বিষয়ে ¯œাতক ডিগ্রি অর্জনের আগে এর উদ্দেশ্য বুঝতে পারেনি। নৈর্ব্যক্তিক অভিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে নিরপেক্ষ মূল্যায়ন। সঠিক উত্তর হলে পূর্ণ নম্বর। এতে পরীক্ষকের ব্যক্তিমর্জি প্রয়োগ করার সুযোগ নাই। কিন্তু স্থান ও পাত্রভেদে প্রয়োগফল ভিন্ন যা হচ্ছে আমাদের দেশে। নৈর্ব্যক্তিক যেখানে থেকে প্রচলিত হয়েছে সেই পশ্চিম দুনিয়ায় ছাত্ররা নকল করতে পারেÑএকথা কল্পনাতিত। যে দেশ দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কলংক রচনায় অভ্যস্থ, সেই দেশে শিক্ষার্থীদের ফেরেশতা ভাবার অবকাশ কোথায়। হয়তো কিছু ফেরেশতা ছিল বা বানানো যেত। কিন্তু শতভাগ পাস এবং এ+ এর অর্থহীন নেশার কবলে আক্রান্ত শিক্ষক সমাজ বর্তমান সময়ে কচি প্রাণগুলোকে কলুষিত করছেন হাতে নকল ধরিয়ে দিয়ে। লজ্জার মাথা খেয়ে শিক্ষক ছাত্রকে নকল সরবরাহ করে এহেন পরীক্ষার ফলাফলে তৃপ্তির হাসি সবার মুখে। অথচ নৈতিক আয়নায় এ হাসি কদর্য বৈকি। বিশেষত পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণীতে নতুন আমদানি করা পাবলিক পরীক্ষাগুলোতে পরীক্ষা জালিয়াতি চরম রূপ ধারণ করেছে। আগে থেকেই সনদ অর্জনের অভিলাস বা সনদ বাণিজ্য শিক্ষাঙ্গনকে কলুষিত করে আসছিল। পিএসসি ও জেএসসি সনদ দুটি দূষণকে বাড়িয়েছে মাত্র। অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, পিএসসি ও জেএসসি পরীক্ষার্থীদের কার্যকর টেস্ট পরীক্ষা নেয়া যায় না। কারণ টেস্ট বলতে কোন বাছাই নয়, সবাই পাবলিক পরীক্ষায় যাবে। ক্রমে এসএসসি পর্যায়েও সে অবস্থা। টেস্টের পূর্ণ গুরুত্ব কমে গেছে। এমনকি অনেক স্কুল পিএসসি প্রবেশপত্র দেখে ভর্তি করে নেয় ষষ্ঠ শ্রেণীতে ফলাফল প্রকাশের আগে। এতেই প্রমাণিত হয় পরীক্ষা দুটি কত গুরুত্বহীন। অভিভাবকরাও এতে বিরক্ত। নয়া দিগন্তের (৩০ ডিসেম্বর ’১৫) প্রথম পাতায় একটি বড় নিউজ ছাপা হয়েছে এই শিরোনামেÑ ‘ঐঝঈ-র ছাত্র ঐব এবং ঝযব-এর পার্থক্য বুঝে না’ এই নিবন্ধকারের অভিজ্ঞতা হচ্ছে, মাধ্যমিক ছাত্রদের অনেকেই চৎবঢ়ড়ংরঃরড়হ কী বুঝে না, ঐধাব-এর অর্থ জানে শুধু আছে।
আওয়ামী সরকারের আমলে যেসব উন্নতি হয় তার সাথে যোগ হয় নকলের উন্নতিও। আর তা শুধু একবার নয়। স্বাধীনতার পর ’৭২ সালের অভিজ্ঞতাও সবার জানা। কারণ তখন পরীক্ষার হলে নকলের রাজত্ব কায়েম ছিল। বাহানা ছিল যুদ্ধের কারণে ছাত্ররা লেখাপড়া করতে পারেনি। এ সুযোগে পাস শতভাগে পৌঁছেছিল প্রায়। কিন্তু ফল এই হলো যে, দৈনিক ইত্তেফাকে একটি কার্টুন ছাপা হয়েছিল এরূপÑ ‘অধ্যক্ষের কার্যালয়ে গরু প্রবেশ করছে ভর্তির জন্য মুখে পাস সার্টিফিকেট’। সেইদিনের কার্টুন নিয়ে কোনো মন্তব্য হয়নি। বরং কলেজে ভর্তির জন্য ফার্স্টডিভিশন আর চাই না শিরোনামে উক্ত পত্রিকায় মজার প্রতিবেদন ছাপা হয়েছিল।
সম্প্রতি জেডিসি পরীক্ষায় একটি মাদরাসা থেকে যে ছাত্রটি সবচেয়ে বখাটে ও অমনোযোগী সেও এ+ পেয়েছে। কিন্তু প্রথম সারির শিক্ষার্থীরা অনেকেই এ+ পায়নি। ফলাফলের এহেন ভারসাম্যহীনতা মেধাবী ও ভালো ছাত্রদের উদ্যমকে বাধাগ্রস্ত করেছে। এসব কারণে নকল প্রবণতা ও প্রশ্নপত্র ফাঁসের কলঙ্ক ঘোচাতে হবে কঠোর হাতে। এজন্য পরীক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তন অপরিহার্য। নকল সহায়ক নৈর্ব্যক্তিক অভিক্ষা কিছুতেই বিশ নম্বরের অতিরিক্ত থাকতে পারবে না। তাও টিক বা বৃত্ত ভরাটের নিয়ম বাদ দিয়ে বহুনির্বাচনীর পরিবর্তে সঠিক উত্তর পরীক্ষার্থী স্মৃতি থেকে লিখে দিবে। বহুনির্বাচনীর নামে পরীক্ষার্থীকে দ্বিধায় ফেলার অর্থ হয় না। জানা থাকলে উত্তর লিখে দেবে এতে নকলের প্রবণতা কমবে। সিলেবাস মন্থনে বাধ্য করতে যারা নৈর্ব্যক্তিক অভিক্ষাকে উত্তম হাতিয়ার ভাবেন, তাদের খেদমতে আরজ এই যে, নৈর্ব্যক্তিক-এর অভিক্ষা দ্বারা কোন মৌলিক জ্ঞান অর্জন হয় না। যেমন ‘স্মৃতিসৌধ’ বিষয়ক অনুচ্ছেদটি থেকে নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন হচ্ছে সৌধটি কোথায় অবস্থিত? সবাই জানে এটা সাভারে। মাধ্যমিক পর্যায়ের জন্য এটা কোনো প্রশ্ন হয় না। কাজেই এ ধরনের প্রশ্ন বিশটির অতিরিক্ত করা দরকার নেই।
নৈর্ব্যক্তিকের মতো ইংরেজিতে ঠড়পধনঁষধৎু ঃবংঃ বলতে যে অভিক্ষা তাও নকল বান্ধব অভিক্ষায় পরিণত হয়েছে আমাদের এই অভাগা দেশে। শব্দজ্ঞান অর্জিত হয় না মোটেই। এরচেয়ে বরং পুরোনো নিয়মে চধরৎং ড়ভ ড়িৎফ ও চযৎধংব দিয়ে বাক্য গঠনের অভিক্ষা শব্দ শিখনে অধিক সহায়ক। বাক্য গঠন নিঃসন্দেহে সৃজনশীল। এর পরিবর্তে অন্যের খাতা দেখে শব্দ বসালে শব্দজ্ঞান বাড়বে কীভাবে?
আরেকটি মহৎ উদ্দেশ্য সৃজনশীল পদ্ধতি সফল হতে পরবে না, যদি প্রশ্নমান ও মূল্যায়ন যথার্থ না হয়। অবশ্য শতভাগ পাসের মহৎ উদ্দেশ্য সাধনে এটা সহায়ক। যে পরীক্ষার্থী বই না পড়ে পরীক্ষা দিতে আসে তার জন্য খাতা ভরে লেখার একটা আসল উপায় হচ্চে সৃজনশীল নামের সিস্টেম, পরীক্ষার্থীদের অনেকেই এ সিস্টেমকে উত্তর লেখার প্রধান মাধ্যম মনে করে বা ধরে নেয়। যেহেতু মূল্যায়ন নির্দেশিকায় আছে, লেখা থাকলে খাতায় নম্বর দিতে হবে, ভুল ধরা যাবে না; অতএব পাস ঠেকায় কে? পড়ায় অমনোযোগীদের জন্য এটা আরও সুখের বিষয় হয়ে উঠেছে। কিন্তু মাঝখানে উত্তরপত্র মূল্যায়ন জটিল করেছে। সৃজনশীলতা সফল করতে হলে সিস্টেম ছাড়া মূল বিষয়ের উপর প্রাথমিক দক্ষতামূলক প্রশ্ন সংযোজন করা যেতে পারে যেমনটা গণিতে করা হয়।
আমরা বলে আসছি, সিলেবাস বলতেই দিন দিন রদবদলের বর্জ আঁটুনি। পাঠ্যক্রম স্ফীতির চাপে শিক্ষার্থীর শোচনীয় অবস্থা রবীন্দ্র গল্পের হতভাগ্য তোতাপাখিটির মতো। জোর করে বিদ্যা শিখাতে যার পেটে বইয়ের পাতা ঢুকিয়ে মারা হয়। তথ্য প্রযুক্তি, কর্মমুখী শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে কতটি বই অতিরিক্ত চেপেছে শিশুদের কাঁধে। কিন্তু এগুলো পড়া বা পড়ানোর সময় দুই মাস বছর থেকে কাটা গেছে পিএসসি ও জেএসসি-এর সুবাদে। পরীক্ষাকেন্দ্রগুলোতে এসএসসিসহ কয়েকটি পাবলিক পরীক্ষার সুবাদে দুই মাসের অধিক শ্রেণীকার্যক্রম স্থগিত থাকে। এ ধরনের হাজারো কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সিলেবাস শেষ করা সম্ভব হয় না।
অতীত থেকে অভিজ্ঞতা নিয়ে বলা যায় রদবদল মানেই উন্নতি প্রমাণিত হয় না। তাই বারবার বদলানো হয় পাঠ্যক্রম। ইংরেজি পাঠ্যক্রম প্রায় প্রতিবছর পরিমার্জিত হয়ে বর্তমানে বেশ প্রশংসনীয় নমুনায় পৌঁছেছে বলা যায়। প্রাইমারি স্তরে ইংরেজি পাঠ্য বইগুলো এতিম চেহারায় নেই এখন, বরং মানসম্পন্ন কমিউনিকেটিভ পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়েছে। মাধ্যমিক স্তরে সিভি ও গ্রাফিক অনুচ্ছেদ লেখা প্রশ্নের অন্তর্ভুক্ত করে পাঠ্যক্রম বাস্তবমুখী করা হয়েছে। তবে বজ্র আঁটুনি না বললেই নয় এটাকে।
আগে থেকেই রচনা লেখার জন্য একাধিক বিষয় থাকতো। এ বছর থেকে এসএসসি বা দাখিলের ইংরেজিতে ঊংংধু লেখার জন্য শুধুমাত্র একটি বিষয় থাকছে। এতে রচনা লেখার বা শেখার আগ্রহ হ্রাস করা হয়েছে মাত্র। কারণ একটি বিষয় শিখে কমন পড়া দায় ভেবে অনেকেই এ প্রশ্নটি এড়িয়ে যাবার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। কাজেই শিক্ষার্থীদের শেখার আগ্রহ বৃদ্ধির জন্য রচনা লেখার প্রশ্নে একাধিক বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হোক। সেই সাথে পরীক্ষা কেন্দ্রগুলো নিয়ন্ত্রণের জন্য অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের দায়িত্ব দেয়া হোক, এতে নকলের দৌরাত্ম হ্রাস পেতে বাধ্য।
শিক্ষার যেমন বিকল্প নেই, তেমনি এর সাথে রাজনৈতিক দুর্গন্ধ মিশ্রণ মোটেই শুভ নয়। ছাত্রদের অধ্যায়ন ও শিক্ষকদের একনিষ্ঠ পাঠদানই শিক্ষাক্ষেত্রে সফলতার একান্ত উপায়। এক্ষেত্রে কোনো বাণিজ্যিক তৎপরতাও শিক্ষার মহৎ উদ্দেশ্যকে ব্যাহত করে। এই দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীর উপচে পড়া ভিড়ও শিক্ষা সাফল্যের আরেকটি অন্তরায়। এদেশে স্কুলে কোনো ক্লাসে শিক্ষার্থীর সংখ্যা শতাধিক এ কথা শুনে পশ্চিমা শিক্ষাবিদ বলতেই চমকে উঠেন বিস্ময়ে। যদিও এদেশে ষাট জন ক্লাস সীমিত রাখার নির্দেশনা, কিন্তু তা সম্ভব হয় না প্রায় সব প্রতিষ্ঠানে। এতে যে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে তা সবার মুখেই শুনা যায়। কিন্তু এ জন্য করণীয় কী, তা কেউ বলছে না, শহরের ভালো মানের স্কুলগুলোতে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে বাছাই করার একটি প্রক্রিয়া চালু আছে আর বাকি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দরজা খোলা কেউ ফিরে না খালি হাতে। বরং যত পারা যায় ছাত্র ভর্তি চলে, পাঠদান সম্ভব কিনা চিন্তা কেউ করে না, তাই প্রাইমারি সমাপনী পরীক্ষার ফল প্রকাশের আগেই সুপ্রতিষ্ঠিত স্কুলগুলো ছাত্র সংগ্রহের অভিযানে নেমে পড়ে। এহেন অবস্থায় সরকার ছাত্র ভর্তির ব্যাপারে একটি সীমা টেনে দিতে পারে জনবল অনুযায়ী। কেননা অনেক কলেজ বিশেষ করে মাদরাসাগুলো চরম ছাত্র সংকটে আক্রান্ত। অথচ এসব প্রতিষ্ঠানে বিপুল সরকারি অর্থ ব্যয় হচ্ছে। ছাত্রে ঠাসা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে ছাত্রচাপ ঐসব খালি প্রতিষ্ঠানে সরানো যেতে পারে এতে ছাত্র শিক্ষক উভয়ই লাভবান হবে। কেননা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যতই নামকরা হোক, পাঠদান ক্ষমতা একটি সীমিত ব্যাপার। কাজেই প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর ভারসাম্য থাকা দরকার। কিন্তু দুঃখজনক সত্য হচ্ছে এই নিয়ে কেউ ভাবে বলে মনে হয় না। মাদরাসাগুলোতে বিশেষ করে ইবতেদায়ী শাখায় ছাত্র স্বল্পতা বলার মতো নয়। বর্তমানে স্বল্পতার মূল কারণ হচ্ছে ছাত্র বৃত্তি। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সব শিক্ষার্থীর জন্য উল্লেখযোগ্য বৃত্তি চালু করা হয়েছে। কিন্তু ইবতেদায়ী শাখার জন্য এর প্রয়োজন মনে করা হয় না। ফলে টাকা যেদিকে শিক্ষার্থী সেদিকে। সরকারি করুণার দৃষ্টি এদিকে বর্ষিত হলে সংকট অনেকটা কেটে যেত। অতএব মাদরাসার ইবতেদায়ী শিক্ষার্থীদের জন্য উপবৃত্তি চালু করা হোক অবিলম্বে। এ আবেদনকে যদি বাড়তি কিছু মনে করা হয় তাহলে স্মরণ করা দরকার যে, মাদরাসার সিলেবাসে স্কুল কলেজের মতো বাংলা ইংরেজিতে ২০০ নম্বর বাড়তি চাপানো হলেও ঈর্ষণীয় ফলাফল অব্যাহত রয়েছে বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষায়, এমনকি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাগুলোতেও মাদরাসার ছাত্রদের মেধার পরিচয় পাওয়া যায় প্রায় সব সময়ই।
য় লেখক : শিক্ষাবিদ
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।