Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সরাইলে পুকুর ভরাটকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের আশঙ্কা

| প্রকাশের সময় : ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) উপজেলা সংবাদদাতা : সরাইলে মাছ চাষের শতবর্ষী একটি পুকুরে ভরাট নিয়ে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে প্রাণহানির ঘটনা। সরেজমিন জানা যায়, উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের দেওবাড়িয়া গ্রামের শাখাইতি মৌজার ৯৭৪ দাগের ২১৬ শতাংশ আয়তনের পুকুরটি বংশপরম্পরায় ভোগ-দখলে রয়েছেন গ্রামের শতাধিক পরিবার। ওই গ্রামের বাসিন্দা হাবিবুর রহমান ও তার লোকজন পুকুরের সাড়ে ১০ শতাংশ ভূমির মালিক। গ্রামবাসীর অভিযোগ এক সময় হাবিবুর রহমান মাছ চাষের জন্য মালিক পক্ষকে বছরে ছয় লাখ টাকা দিয়ে পুকুরটি বন্ধক নিতেন। তিন বছর ধরে তাকে আর পুকুরটি দেয়া হচ্ছে না। এতে তিনি ক্ষব্ধ হন। হাবিবুর রহমান ২০১৪ সালের নভেম্বর মাসে একটি বণ্টননামা দলিল দেখিয়ে পুকুরে তার ২৯ শতাংশ ভূমি রয়েছে বলে দাবি করেন। দলিলটিতে সম্পাদনের তারিখ রয়েছে ১৯৮১ সাল। ৩৫ বছর আগের সম্পাদন করা দলিল দেখিয়ে হঠাৎ ২৯ শতাংশ ভূমির মালিকানা দাবি করায় গ্রামবাসীর সন্দেহ হয়। ফলে এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। এ নিয়ে ইতোমধ্যে গ্রামে একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। হাবিবুরের এই বণ্টননামা দলিল বাতিলের জন্যে হানিফ মিয়া বাদী হয়ে ২০১৪ সালে আদালতে দেওয়ানি মামলা দায়ের করেন। এতে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে হাবিবুর রহমান ২০১৫ সালে হানিফ মিয়াসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে আটটি মামলা দায়ের করেন। এর মধ্যে ২০১৫ সালের ১৪ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় দ্রুত বিচার আইনে একটি, সরাইল থানায় ২০১৫ সালের ২ মার্চ চাঁদাবাজির, ওই বছরের ২২ মার্চ মাছ চুরির, এরপর ১১ নভেম্বর ঢাকার রমনা থানায় অপহরণ এবং ৪ ডিসেম্বর মতিঝিল থানায় অর্থ আত্মসাতের মামলা দায়ের করেন। এসব মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। এ সব মামলা ছাড়াও উভয়পক্ষের আরও পাঁচটি মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এ অবস্থার মধ্যে দুই মাস ধরে হাবিবুর রহমান মেঘনা নদীতে ড্রেজার বসিয়ে পুকুরে মাটি ফেলে ভরাট করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। গ্রামবাসীর অভিযোগ পুকুরটি ভরাট করা শুরু হলে পুকুরে থাকা তাদের প্রায় ৩০ লাখ টাকার মাছ মরে যাবে। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ইউএনও সৈয়দা নাহিদা হাবিবা তার দপ্তরে উভয়পক্ষকেই হাজির করেন। সেখানে হাবিবুর রহমান অঙ্গীকার করেন আদালতের রায় না হওয়া পর্যন্ত তিনি পুকুর ভরাট করবেন না। গ্রামবাসীর অভিযোগ এরপরও ১৮ ও ২০ ফেব্রুয়ারিতে হাবিবুর রহমান মাটি ভরাটের চেষ্টা চালান। এতে গ্রামে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ বিষয়ে হাবিবুর রহমান বলেন, পুকুরে আমার ২৯ শতাংশ জায়গা রয়েছে। আমার জায়গা ভরাট করতে গেলে তারা বাঁধা দেয়। এ জন্য তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছি। এ ব্যাপারে ইউএনও সৈয়দা নাহিদা হাবিবা বলেন, এ বিষয়ে শিগগির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ