বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সিলেট অফিস : প্রতারণার মাধ্যমে হাজার কোটি টাকার তারাপুর চা-বাগানের ভূমি আত্মসাতের মামলায় সিলেটের ব্যবসায়ী রাগীব আলী ও তার ছেলে আব্দুল হাইসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করা হবে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি। সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম সাইফুজ্জামান হিরো আজ বৃহস্পতিবার মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হলে রায়ের এই দিন ঠিক করে দেন।
এর আগে গত ২ ফেব্রুয়ারি ওই চা-বাগানের বন্দোবস্ত নিয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক (চিঠি) জালিয়াতির মামলায় রাগীব ও তার ছেলে হাইকে চারটি ধারায় মোট ১৪ বছর কারাদণ্ডের রায় দেয় আদালত।
সেই রায়ে কারাদণ্ড ছাড়াও দুই আসামিকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা; অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
আর ২৬ ফেব্রুয়ারি জানা যাবে প্রতারণার মামলায় এই দুইজন ছাড়াও অন্য চারজনের কি সাজা হবে।
আদালতের অতিরিক্ত পিঁপিঁ মাহফুজুর রহমান জানান, প্রতারণার মামলায় ৩৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ২২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। সাক্ষগ্রহণ সমাপ্ত ঘোষণা করা হয় গত ২ ফেব্রুয়ারি।
“বৃহস্পতিবার মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হলে সাইফুজ্জামান হিরো প্রতারণা মামলার রায়ের দিন ঠিক করে দেন।”
১৯৯০ সালে ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক জালিয়াতি করে প্রতারণার মাধ্যমে ভুয়া সেবায়েত সাজিয়ে তারাপুর চা-বাগানের ৪২২ দশমিক ৯৬ একর দেবোত্তর সম্পত্তি রাগীব আলী দখল করেন বলে অভিযোগ ওঠে।
১৯৯৯ সালের ২৫ অগাস্ট ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে তারাপুর চা বাগান নিয়ে বিশেষ আলোচনা হয়। পরে ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের উপ-কমিটি গঠন করা হয়।
উপ-কমিটি চূড়ান্ত সুপারিশে তারাপুর চা-বাগান অবৈধভাবে জালিয়াতির মাধ্যমে দলিলপত্র সৃষ্টি করে প্রতারণামূলকভাবে লিজি হিসেবে দখলে রাখার জন্য রাগীব আলীর বিরুদ্ধে অবিলম্বে ফৌজদারি ও দেওয়ানি উভয়বিধ মামলা করতে বলে।
প্রতারণার মাধ্যমে হাজার কোটি টাকার এই ভূ-সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৫ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর কোতোয়ালি থানায় রাগীব আলীর বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেন সিলেট সদরের তৎকালীন ভূমি কমিশনার এসএম আব্দুল কাদের।
এছাড়া পরিবারের সদস্য ও নিকটাত্মীয়দের নামে জাল আমমোক্তারনামা তৈরি করে প্রতারণার মাধ্যমে হাজার কোটি টাকার ভূসম্পত্তি দখল করার অভিযোগে অপর মামলায় রাগীব আলী, তার ছেলে আব্দুল হাই, মেয়ে রেজিনা কাদির, জামাতা আব্দুল কাদির, ঘনিষ্ঠ আত্মীয় দেওয়ান আব্দুল মজিদ ও চা-বাগানের সেবায়েত পঙ্কজ কুমার গুপ্তকে আসামি করা হয়।
তদন্ত শেষে গত বছরের ১০ জুলাই আদালতে দুটি মামলার অভিযোগপত্র দেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সারোয়ার জাহান।
পিঁপিঁ মাহফুজুর বলেন, “বিচারক প্রতারণা মামলার রায় দেবেন আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি।”
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।