বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
গাইবান্ধা জেলা সংবাদদাতা : গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যা মামলার ‘মূল পরিকল্পনাকারী’ ও অর্থ জোগানদাতা জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল ডা. আবদুল কাদের খানের গ্রামের বাড়ি থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার দিবাগত রাত ১টার দিকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ছাপরহাটি ইউনিয়নের পশ্চিম ছাপরহাটি (খানবাড়ী) গ্রামের বাড়ির উঠানে গর্তের ভেতর থেকে একটি পিস্তল, ছয়টি গুলি ও একটি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়।
এর আগে বুধবার দুপুর থেকে পুলিশের রংপুর রেঞ্জের অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আহমেদ বশিরের নেতৃত্বে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আশরাফুল ইসলামসহ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের একটি দল ও ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট পুরো বাড়ি ঘিরে রেখে তল্লাশি চালায়। এ ছাড়া বাড়ির সামনের তিনটি পুকুরের পানি সেচ দিয়ে অভিযান চালানো হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতিয়ার রহমান বলেন, আসামিদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এই বাড়ির উঠানের গর্তে রাখা পিস্তল, গুলি ও ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া পিস্তলটি এমপি লিটন হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার করেছিল হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া কিলাররা। লিটন হত্যায় তিন ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করা হয়। এর মধ্যে কর্নেল কাদের খান একটি পিস্তল ও ১০টি গুলি আগেই জমা দেন। এ নিয়ে দুটি অস্ত্র পুলিশের কাছে রয়েছে। অন্য অস্ত্রটিও উদ্ধার করতে পুলিশ তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে।
ওসি আরো বলেন, কর্নেল আবদুল কাদের খানকে গ্রেপ্তারের পর তাঁর বাড়িতে অস্ত্র ও গুলি আছে—এমন তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা দুপুর থেকে অভিযান শুরু করেন। অভিযানে পুরো বাড়ি ঘিরে রেখে তল্লাশি চালানো হয়। এ ছাড়া বাড়ির সামনের তিনটি পুকুরের মধ্যে দুটি পুকুর সেচ দিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। কিন্তু রাত ১০টা পর্যন্ত সেখানে কোনো অস্ত্র উদ্ধার না হওয়ায় পুকুরে অভিযান সমাপ্ত করা হয়। পরে দিবাগত রাত ১২টার পর বাড়িতে আবার অভিযান শুরু হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।