বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
স্টাফ রিপোর্টার : সোনালী ব্যাংক খুলনা শাখার ১২৬ কোটি ৮২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ব্যাংকটির মহাব্যবস্থাপকসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল বুধবার খুলনা নগরীর খানজাহান আলী থানায় দুদকের উপ-পরিচালক মোহা. মোশাররফ হোসেন বাদী হয়ে এ মামলা করেন বলে ইনকিলাবকে জানিয়েছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য। পাঁচজন হলেন-মামলায় সোনালী ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) নেপাল চন্দ্র সাহা, ব্যাংকের সাবেক উপ-মহাব্যবস্থাপক সমীর কুমার দেবনাথ, সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার শেখ তৈয়াবুর রহমান, সহকারী কর্মকর্তা কাজী হাবিবুর রহমান ও মেসার্স সোনালী জুট মিলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান এসএম এমদাদুল হোসেনকে আসামি করা হয়েছে। ২০১০ সালের ১২ জুলাই থেকে ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে এই অর্থ আত্মসাতের ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, আসামিরা তিন দফায় ৮৫ কোটি ৮০ লাখ ৬৯ হাজার ১৭৪ টাকা গ্রহণ করে এর বিপরীতে কোনো মালামাল না কিনে পরস্পর যোগসাজশে দুর্নীতি, প্রতারণা, অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ ও অসদাচরণের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন। এতে সরকারের বর্তমানে সুদাসলে মোট ১২৬ কোটি ৮২ লাখ ৯৩ হাজার ২৮২ টাকার আর্থিক ক্ষতিসাধন হয়েছে।
দুদক সূত্র জানায়, সমন্বিত জেলা কার্যালয় খুলনায় এ-সংক্রান্ত অভিযোগ অনুসন্ধানকালে ব্যাংক থেকে সংগৃহীত রেকর্ড পর্যালোচনা করে। তাতে দেখা যায়, ২০০৯ সালের ফেব্রæয়ারি মাসে সোনালী জুট মিলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান এস এম এমদাদুল হোসেন সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর তাঁর প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ঋণ মঞ্জুরের আবেদন করেন। সে সময় সোনালী জুট মিলস লিমিটেড খুলনায় উত্তরা ব্যাংক লিমিটেডে ঋণখেলাপি হয়ে ছিল। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পর্ষদের একটি কমিটি ২০১০ সালের জানুয়ারিতে সরেজমিন পরিদর্শন করে। তারা প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে শর্তসাপেক্ষ চলতি মূলধন বাবদ ২০ কোটি টাকা ঋণসীমার মঞ্জুরিপত্র দেয়। খুলনা করপোরেট শাখার তৎকালীন উপমহাব্যবস্থাপক নেপাল চন্দ্র সাহা শর্ত ভেঙে খুলনা ঋণগ্রহীতা প্রতিষ্ঠানের ক্রেডিট রেটিং সম্পাদন না করে ঋণের টাকা বিতরণ করেন। এরপর বিভিন্ন সময়ে ২০১২ সাল পর্যন্ত নবায়ন আবেদন জানিয়ে ঋণসীমা বাড়িয়ে নেন সোনালী জুট মিলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।