রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
মাগুরা জেলা সংবাদদাতা : মাগুরায় চাঞ্চল্যকর আরজ আলী খুনের মামলার বাদি মেরিনা বেগমকে (৩৫) অপহরণের পর হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। পরকীয়ার কারণে এ অপহরণ এবং খুনের চেষ্টা বলে জানা গেছে। খুনিচক্রের হাত থেকে রাতের অন্ধকারে পালিয়ে গ্রামবাসীর সহায়তায় অলৌকিকভাবে প্রাণে বেঁচে গেছেন মেরিনা বেগম। গলায় ফাঁসের দাগসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে নির্যাতনের দাগ নিয়ে মেরিনা বেগম মঙ্গলবার গভীর রাতে মধুখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন। গতকাল বুধবার দুপুর পর্যন্ত তিনি স্বাভাবিক জ্ঞান ফিরে পাননি। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বেডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাঝে মধ্যে তাকে বেল্লাল ও টিক্কা মেরেছে, গলায় ফাঁস দিয়েছে বলে অসংলগ্ন কথা বলছেন মেরিনা বেগম। মেরিনা বেগমের পুত্র কলেজছাত্র সুমন জানায়, ২০১৫ সালের ২৩ জুলাই রাতে শ্রীপুর উপজেলার রায়নগর গ্রামের বাড়িতে মামা আরজ আলী স্ত্রী রোজিনা বেগমের পরকীয়ার সম্পর্ক ধরে জনৈক বেল্লাল, মন্টু, সাইফুলসহ অন্যান্যের সহায়তায় সুমনের মামী রোজিনা বেগম শ্বাস রোধ করে নিজের স্বামী আরোজ আলীকে খুন করে। পরদিন সকালেই পুলিশ রোজিনা বেগমকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় নিহত আরজ আলীর বোন মেরিনা বেগম বাদি হয়ে শ্রীপুর থানায় খুনের মামলা করেন। এ মামলায় আসামি রোজিনা বেগম ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়। পরে আসামিরা জামিনে মুক্তি পেয়ে বাদি মেরিনা বেগমকে মামলাটি মীমাংসা করে ফেলার জন্য খুন-জখমের হুমকি দিতে থাকে। বাধ্য হয়ে মেরিনা বেগম জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে বেল্লাল লস্কর, মন্টু শেখ, টিক্কা বিশ্বাস ও পান্নু বিশ্বাসের বিরুদ্ধে শ্রীপুর থানায় জিডি করেন। গত মঙ্গলবার দুপুরে মেরিনা বেগম জরুরি প্রয়োজনে মাগুরা শহরে আসেন। এ সময় বেল্লাল লস্কর ও টিক্কা বিশ্বাসসহ অন্যরা সুকৌশলে মেরিনা বেগমকে অচেতন করে অপহরণের পর অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। পরে রাত ১০টার দিকে সদর উপজেলার সত্যপুর গ্রামে নিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে মেরিনা বেগমকে হত্যার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে অন্ধকারে এক শ্যালো মেশিনের গর্তে পড়ে যান মেরিনা বেগম। এ সময় তার চিৎকারে পাশের বাড়ির তারেক মিয়া ও রিনা দম্পতি মেরিনা বেগমকে গর্ত থেকে উদ্ধার করেন। মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদর্শন কুমার রায় মেরিনাকে উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের বলেন, মেরিনা বেগমের চিকিৎসা চলছে। তিনি পরিপূর্ণ জ্ঞান ফিরে পেলে বিস্তারিত জেনে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।