বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতা : ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার চাঞ্চল্যকর শিশু আরাফাত হোসেন সাঈফ হত্যা মামলার রায়ে একমাত্র আসামী শাকিল হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও অর্থ জরিমানা করেছেন। শাকিল কালীগঞ্জ উপজেলার কাঠালে সুন্দরপুর গ্রামের মোবাশ্বের হোসেনের ছেলে।
বুধবার বিকালে ঝিনাইদহ অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিজ্ঞ বিচারক সানা মো. মাহরুফ হোসাইন এই রায় প্রদান করেন।
আদালতের নথি সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালের ৭ অক্টোবর শিশু আরাফাত হোসেন সাঈফ (৮) কে কালীগঞ্জ শিশু একাডেমী স্কুলে পৌঁছে দেবার জন্য নিয়ে যায় আসামী শাকিল। এরপর সাঈফকে স্কুলে না দিয়ে হেলাই গ্রামের একটি আখ ক্ষেতে নিয়ে হত্যা করে। ঘটনার দিনই এলোমেলো কথাবার্তা বলার দরুন জনতার হাতে আটক হয় শাকিল। এরপর সাঈফ হত্যার কথা স্বীকার করে শাকিল। তার দেওয়া তথ্য মতে লাশ উদ্ধার ও সাঈফের জুতা ও ঘড়ি উদ্ধার হয়।
আসামী শাকিল নিহত সাঈফের বাবা নুর হোসেন লোটাসের দোকানের কর্মচারী ছিল। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সাইফকে হত্যা করা হয় বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়। এ ঘটনায় শিশু সাঈফের মামা ঝিনাইদহ শহরের আরাপপুর এলাকার বাসিন্দা আবু সাঈদ পিন্টু বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। আদালত ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নিয়ে আসামী শাকিলকে দোষী সাব্যস্ত করে ৩০২ ধরায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। একই সাথে তাকে দণ্ডবিধির ২০১ ধারায় ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
আদালত তার পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করেন, রাষ্ট্রপক্ষ আসামীর সর্বোচ্চ ফাঁসির দাবী জানালে সংঘটিত ঘটনার সময় আসামীর বয়স ১৭ বছর ১১ মাস ১৬ দিন হওয়ায় বয়স বিবেচনায় তাকে মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।