Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আখেরী মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে বিশ্ব জাকের মঞ্জিলে উরশ সমাপ্ত

প্রকাশের সময় : ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১২:০৭ এএম, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭

নাছিম উল আলম : লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসুল্লীর আহাজারী আর গগণবিদারী কান্নার রোল নিয়ে আখেরী মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে ফরিদপুরের বিশ্ব জাকের মঞ্জিলে ৪ দিনব্যাপী মহাপবিত্র বিশ্ব উরশ গতকাল শেষ হয়েছে। প্রবল কান্না আর “আমিন আমিন” ধ্বনীতে এ সময় পুরো এলাকাজুড়ে অভাবনীয় এক আবহ তৈরী হয়। গত শুক্রবার জুমা বাদে এর আনুষ্ঠানিক সূচনা হলেও শনিবার থেকে এর মূল পর্বের সূচনা হয়। নিয়মানুযায়ী সকাল ১১টার সময় আখেরী মুনাজাত অনুষ্ঠানে কথা থাকলেও মানুষের চাপ সামাল দিতে না পরায় ফজর নামাজ বাদ ফাতেহা শরিফ ও খতম শরিফ আদায়ন্তে বয়ানের পরে এ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
বড় পীরজাদা আলহাজ খাজা মাহফুজুল হক মুজাদ্দেদী ছাহেবের নির্দেশে পীরজাদা আলহাজ খাজা মোস্তফা আমীর ফয়সাল মুজাদ্দেদী ছাহেব মোনাজাত পূর্ব বয়ানে সমবেত জাকেরান ও আশেকানসহ ভক্তবৃন্দকে বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন। এর পরে বিশ্ব জাকের মঞ্জিলের পীর ছাহেব হজরত মাওলানা শাহসুফী সৈয়দ খাজাবাবা ফরিদপুরী কুঃছেঃআঃ ছাহেবের কবর জিয়ারতের নিয়তে ফাতেহা শরিফ পাঠন্তে তিনি আখেরী মোনাজাত পরিচালনা করেন। এ মোনাজাতে সমগ্র মুসলিম বিশ্ব সারা দুনিয়ার শান্তি ও সমৃদ্ধিসহ দেশের শান্তি-সমৃদ্ধির জন্যও তিনি মহান আল্লাহ রাব্বুল আল-আমীনের দরবারে আর্জি পেস করেন। তিনি সমবেত মুসুল্লীয়ানকে সাথে নিয়ে সকলের ঈমান ও আকিদা সংহত করাসহ আখেরী জামানার ফেতনা ফাসাদ থেকেও মহান আল্লাহ রাব্বুল আল-আমীনের রহমত কামনা করেন। প্রায় ২৮ মিনিটের এ আখেরী মোনাজাতে অংশ নেয়া লাখ লাখ মুসুল্লী আল্লার আদেশ অমান্য করার জন্য পানাহ চেয়ে রহমত ও মাগফিরাত কামনা করেন।
গতকাল আখেরী মোনাজাতের পরে বিপুলসংখ্যক মুসুল্লী নিজ নিজ বাড়ীর উদ্যেশ্যে বিশ্ব জাকের মঞ্জিল ত্যাগ করলেও এখনো অনেক মুসুল্লী এ দরবারে রয়ে গেছেন। পাশাপাশি আরো অগনিত মুসুল্লীর আগমন অব্যাহত রয়েছে এ দরবার শরিফে। বিশ্ব জাকের মঞ্জিলের সাথে সংযুক্ত যে ৪টি রাস্তা বরিশাল-ফরিদপুর-ঢাকা ও খুলনা-ঢাকা মহাসড়কে সংযুক্ত গতরাত পর্যন্ত তাতে ব্যাপক যানযট অব্যাহত ছিল। পাশাপাশি দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া, কাওড়াকান্দী-মাওয়া ও শরিয়তপুর-চাঁদপুর ফেরিরুটেও ব্যাপক যানযট চলছে গত ৫ দিন যাবত আগত মুসুল্লীদের যানবাহনের কারণে।
ওয়াক্তিয়া নামাজের সাথে নফল ইবাদত বন্দেগী, তেলাওয়াতে কালামে পাক, দফায় দফায় মিলাদ মাহফিল ও বিশেষ মুনাজাত, রাতের শেষ ভাগে ৩টা থেকে ফযরের আযানের পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত রহমতের সময় পরম করুণাময় আল্লাহর রহমত কামনা ও তদীয় পেয়ারা হাবীব বিশ্ব নবী রাসুলে পাক (সা:)-এর স্মরণ এবং মোরাকাবা মোশাহেদা ও জিকির অনুষ্ঠিত হয়। যোহর, আসর ও মাগরিব নামাজ বাদ মোরাকাবা মোশাহেদা ও জিকির আসকার, এশা নামাজ বাদ রাসুলে পাক (সা:)-এর প্রতি দরুদ শরীফ পাঠ এবং প্রতি ওয়াক্তে নামাজ ও নফল আবাদত বন্দেগীর পরে প্রকৃত ইসলামের সুমহান আদর্শ আলোকপাত করে ওয়াজ নসিহত অনুষ্ঠিত হয়।



 

Show all comments
  • Hussain ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১:৩৯ এএম says : 0
    Dukko lage ey manus gulur jonno..
    Total Reply(0) Reply
  • রেজাউল আবেদীন ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১১:১৬ এএম says : 0
    ভাই হোসেন সাহেব, না জেনে না বুঝে অথবা ভিন্ন মতের আক্বীদার অনুসরণকারী হয়ে প্রকৃত সত্য , দয়াল নবীর সত্য তরিকা প্রচারকারী সিলসিলার বিরুদ্ধে মন্তব্য করা ও মূর্খতা। আপনি একবার যাওয়ার দাওয়াত রহিল। যে দরবারে কোন নাচ, গান, বাজানা নাই। দয়াল নবীর পূর্ণ সুন্নত অনুসরণ করে প্রতিদিনকার ইবাদত বন্দেগী করা হয় সেখানে আমি নিজে কেন অনেক অনুসারিরাই কোন ভুল ধরতে পারেনি বরং উল্টা খাজাবাবা ফরীদপুরী (কুঃ ছেঃ আঃ) কে পেয়ে ধন্য হয়ে আলহামদুলিল্লাহ্‌ দরবারের প্রতি পূর্ণ আদব ও ভক্তি সহকারে যাতায়াত শুরু করে দেয়। এক জাকের ভাইর সাথে আমার সাক্কাত ও কথা হয় , উনি বলেছেন দেখেন আমি কিন্তু ১৯৭৪ সালের কথা বলছি, পীর দরবেশ, আঊলিয়ার প্রতি আমার কোন আস্তা ছিল না, কেন জানি আমি এখানে আসা যাওয়া শুরু করি, ফলে আমি নিজে ও বুঝতে পাই এই দরবার সঠিক ও সত্য তরিকায় পরিচালিত, তাই আর এখান থেকে ফিরি নাই। আরেকজন মুরব্বীকে পেলাম যিনি মাওয়া ফেরীঘাটে আমার সাথে কথা বলেন যে আমি খাজাবাবা কে পেয়েছি, আসলে যার মহব্বত যতটুকু তার পাওয়ার দাবী ও ততটুকু। অনেকে আছেন যিনি আমাদের প্রাণপ্রিয় দয়াল নবীজি রহমাতাল্লিল আলামিন কেই অবজ্ঞা করেন। আর কি বলি, তিনাদের হেদায়াত মহান পালনকর্তার নিকট চাহছি। আমাদের এশিয়া মহাদেশএর বেশ কয়েকটি দেশে অলি আউলিয়াদের মাধ্যমে ইসলাম প্রচারে যতেস্ট অবদান রয়েছে ইহা কেহ অস্বীকার করতে পারবে না।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ