রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
লালমনিরহাট জেলা সংবাদদাতা : দীর্ঘ এক বছর পেরিয়ে গেলেও স্বামীর খুনের বিচার পাওয়া না পাওয়া নিয়ে সন্দিহান হয়ে পড়েছেন গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার অসহায় গৃহবধূ লুৎফা বেগম। সংসারের একমাত্র অবলম্বন স্বামী অটোরিকশাচালক রাজু মিয়াকে হত্যা করে তার অটোরিকশাটি ছিনতাই করার পর থেকে ঠিকমত দুবেলা খাওয়ার সংস্থান করতেও কষ্ট হচ্ছে তার। সেখানে শুধু ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য প্রায় সময়ই টাকা খরচ করে গাইবান্ধা থেকে লালমনিরহাটে আসতে হচ্ছে তাকে। কিন্তু এত কষ্ট করার পরেও স্বামী হত্যার ন্যায় বিচার না পাওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ অসহায় লুৎফা বেগমের। গত সোমাবার লালমনিরহাট প্রেসক্লাবে এসে সাংবাদিকদের সাথে দেখা করে ন্যায় বিচার না পাওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন এই গৃহবধূ। এ সময় একটি লিখিত অভিযোগও দেন তিনি। লুৎফা বেগমের অভিযোগ, ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি তার এলাকা গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বেলকা গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে নুরআলম ও তার চাচা নুর ইসলাম, নজরুল ইসলাম ও এন্তা মিয়ার এবং লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার রুবেল হোসেন ও রাসেল ইসলাম একে অপরের যোগসাজশে তার স্বামী রাজু মিয়ার অটোরিকশা ১৫০০ টাকায় ভাড়া করে লালমনিরহাটে নিয়ে এসে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর ৩ জানুয়ারি বাড়িতে সংবাদ আসে তার স্বামীকে লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার স্বর্ণামতি ব্রিজের নিচে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনিয়ে নিয়েছে। খবর পেয়ে আদিতমারী থানায় এসে জানতে পারেন হত্যার সাথে জড়িত থাকার কারণে আদিতমারীর স্থানীয় জনগণ নুরআলমকে আটক করে থানায় দিয়েছে। এরপর ওইদিন আদিতমারী থানায় মামলা দায়ের করলেও লুৎফা বেগমের সরলতার সুযোগে আসামি নুর আলমের চাচাদের বাদ দিয়ে এজাহার গ্রহণ করে থানা পুলিশ। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে আপত্তি তুললে তদন্ত সাপেক্ষে চার্জশিটে নাম অন্তর্ভুক্তির আশ্বাস দেয় পুলিশ। কিন্তু মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তর হলে এবং সিআইডির তদন্ত কর্মকর্তা সরেজমিন গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে তদন্তে গেলে একাধিক সাক্ষী নুরআলমের চাচাদের জড়িত থাকার বিষয়ে সাক্ষ্য দিলেও তদন্তকারী কর্মকর্তা তাদের আসামি না করেই চার্জশিট প্রদান করে। এতে করে প্রধান আসামি নুরআলমের চাচারা প্রতিনিয়ত হুমকি দিয়ে আসছে মামলা তুলে নেয়ার জন্য। এখন তিনি স্বামী হত্যার ন্যায় বিচার নিয়ে প্রতিনিয়ত শঙ্কায় দিন পার করছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।