রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
আমিনুল হক, মিরসরাই (চট্টগ্রাম) থেকে : চট্টগ্রামের কৃষিপ্রধান জনপদ এই মিরসরাইতে এবার মৌসুমী সবজির মধ্যে সর্বোচ্চ ফলন হয়েছে টমেটো। বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রাম থেকে শুরু করে পাড়াগাঁ পর্যন্ত সারাবছরই চড়া দাম দিয়েই কদর পায় টমেটো। এবার উত্তর চট্টগ্রামের সর্বাধিক উৎপাদিত কৃষি পণ্যের মধ্যে টমেটো মিরসরাই সর্ব শীর্ষে উৎপাদনের তালিকায়। হাড়ভাঙ্গা খাটুনির পর উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারগুলোতে এখন শেষের দিকে জমি ভেঙ্গে লাই এর লাই ভর্তি করে টমেটো তুলে বাজারে নিয়ে আসছে পাইকারদের কাছে। কিন্তু পাইকাররা কেজি ৫ টাকারও কমে কিনছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ৩ কেজি ১০ টাকা হারে আবার লাই ভর্তি ৫০-১০০ টাকা। এ যেন বিক্রি না হলে ফেলেই দিতে হবে। তবে আবার খুচরা হাটে এখনো ২০ টাকার কমে নেই কোনো টমেটোই। সেক্ষেত্রে ঠকে যাচ্ছে শুধু কৃষকরাই। আর তাই কৃষকরা ফেলে না দিয়ে কাঁধে করে বাজারে নিয়ে আসা যেন পুষে তাই বিক্রি করে দিচ্ছে পাইকারদের কাছে। গত ১৮ ফেব্রæয়ারি ও মহাসড়কের পাশের হাটবাজার মিরসরাই, বড়তাকিয়া, বড়দারোগারহাট, মিঠাছরা, জোরারগঞ্জ, নিজামপুর এলাকায় এমন দৃশ্য দেখা যায়। অথচ চাষাবাদ খরচ, জমিতে দেয়া সার কীটনাশক বদলাসহ নানান খরচ কোথা থেকে তুলবে কৃষক? কিছু পাইকার সিন্ডিকেট করেই কৃষকদের এমন অল্প দামে বিক্রি করতে বাধ্য করে বলে অভিযোগ অনেকের। স্বয়ং কৃষি কর্মকতাই স্বীকার করেন এটি। তিনি আরো স্বীকার করেন একটি হিমাগার থাকলে আর এমন দশা ও হয় না। কৃষকরা অন্ততঃ পাইকার সিন্ডিকেটের হাত থেকে বাঁচে। নিজেরাই যদি কোল্ড স্টোরেজ এ রেখে দিয়ে দু-এক মাস পরে বিক্রি করবে তখন দাম পাবে ন্যূনতম ৫ গুণ। মিরসরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ বলেন, এবার মিরসরাই উপজেলার ৪৫ হেক্টর জমিতে উৎপাদন হয়েছে টমেটো। এখানে প্রতি হেক্টরে ১০ টন টমেটো উৎপাদন হয়। আর এবার উৎপাদন হয়েছে ৪৫০ টন টমেটো। তিনি বলেন, আর মাত্র দুএক মাস পরই টমেটোর দাম হবে ৫০ থেকে ১০০ টাকা। এই অঞ্চলে একটি হিমাগার থাকলেই কৃষকরাও লাভবান হতো। পাশাপাশি আমাদের চট্টগ্রামের উৎপাদিত উৎকৃষ্টমানের কৃষিপণ্য আমরাই খেতে পারতাম। উত্তরবঙ্গের অতিমাত্রায় হাইব্রিড সবজির উপর নির্ভর করতে হতো না আমাদের। আরো উল্লেখ্য যে, মিরসরাই উপজেলার পাহাড়ের পাদদেশসহ বিভিন্ন উঁচু জমিতে শুষ্ক মৌসুমেও টমেটো ফলনের জন্য উপযোগী। আর তাই এখানে সারা বছরের জন্য টমেটো চাষের উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে বলে মন্তব্য করেন কয়েকজন সচেতন ভোক্তা সাধারণ। মিরসরাই উপজেলা কৃষি সুপারভাইজার নুরুল আলম বলেন, টমোটো, সিম, সিমের বীচি, ফুলকপি, বাঁধাকপিসহ মৌসুমী সবজির পাশাপাশি অন্যান্য কৃষিপণ্য সংরক্ষণের উদ্যোগ এখন খুবই জরুরি। বিশেষ করে কিছু সুবিধাবাদি মধ্যস্বত্ব ভোগিদের হাত থেকে কৃষকদের ন্যায্য মজুরি পাওয়ার জন্য এই অঞ্চলে সরকারি বা বেসরকারিভাবে একটি হিমাগার স্থাপনের উদ্যোগ যে কোনো মূল্যে নেয়া উচিত। তিনি বলেন, গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের কাছেও এই অঞ্চলের কৃষকরা দাবি জানাতে পারেন। এতে তিনি এই বিষয়ে অবশ্যই সহযোগিতার হাত প্রসারিত করবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।