Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অনুমতি ছাড়াই বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে ফেলায় ক্ষুব্ধ উপকারভোগীরা

সওজ’র বিরুদ্ধে অভিযোগ বন কর্মকর্তার

| প্রকাশের সময় : ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

রূপগঞ্জ (নারায়নগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে কোন অনুমোতি ছাড়াই সড়ক ও জনপদের কর্মকর্তারা বনবিভাগের বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে ফেলেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। খবর পেয়ে উপজেলা বনবিভাগের কর্মকর্তা বাঁধা দেয় এবং কেটে ফেলা গাছ জব্দ করেন। এদিকে, সড়ক ও জনপদ বিভাগের এক কর্মকর্তা জব্দ করা গাছ ফেরত দিতে বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করছে বনবিভাগের কর্মকর্তাকে। কোন প্রকার অনুমোতি ছাড়া বনভিাগের গাছ কেটে ফেলায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন উপকারভোগীরা। গত রোববার উপজেলার এশিয়ান হাইওয়ে (বাইপাস) সড়কঘেঁষা পশ্চিম পার্শ্বের বনবিভাগের গাছ কেটে ফেলার ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্ত উপকারভোগীসহ স্থানীয়রা জানায়, সামাজিক বনায়নের আওতায় ১৯৯৫-১৯৯৬ সালে গোলাকান্দাইল থেকে কাঞ্চন এলাকা পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমি চুক্তি ভিত্তিতে নিয়ে নেয় বনবিভাগ। ঢাকা বিভাগীয় বনবিভাগ কর্মকর্তার সঙ্গে সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর চুক্তি হয়। ওই চুক্তিতে বলা হয়, যতদিন পর্যন্ত বাগান থাকবে, ততদিন পর্যন্ত গাছ কাটতে দেয়া হবে না। আর বাগান বিক্রি করতে হলে টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রি করতে হবে। পরে আবার চুক্তি করে বাগান গড়ে তুলতে পারবে। আর বাগান বিক্রির সুবিধা পাবেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড ১০ ভাগ, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ ৫ ভাগ, স্থানীয় উপকারভোগী ৬৫ ভাগ, বনবিভাগ ১০ ভাগ ও এনজিও ১০ ভাগ। বনবিভাগের এ উপকারভোগী সদস্যের সদস্য সংখ্যা ৭৭ জন। গত রোববার সকালে নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপদ বিভাগের লোকজন কোন প্রকার অনুমোতি ছাড়াই গোলাকান্দাইল এলাকার বনভিাগের বিভিন্ন প্রজাতির ২০ থেকে ২৫টি গাছ কেটে ফেলে। বিষয়টি স্থানীয় উপকারভোগীরা উপজেলা বনবিভাগ কর্মকর্তাকে অবহিত করেন। পরে উপজেলা বনবিভাগ কর্মকর্তা সঞ্জয় হাওলাদার গাছ কাটতে বাধা প্রদান করেন এবং কাটা গাছগুলো জব্দ করেন। এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপদ বিভাগের এসডিও মনোয়ারুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে বনবিভাগের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে আরো ১০ বছর আগেই। এরপর বনবিভাগ আর চুক্তি নবায়ন করেনি। বর্তমানে গাছগুলো সড়ক ও জনপদ বিভাগের। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারহানা ইসলাম বলেন, সড়ক ও জনপদ বিনা অনুমতিতে বনবিভাগের গাছ কাটতে পারে না। তাদের গাছ কাটতে হলে অনুমোদিত নিয়ে কাটতে হবে। বিষয়টি উভয় বিভাগের কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ