বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বিশেষ সংবাদদাতা খুলনা থেকে : খুলনাঞ্চলের মানুষের বহু কাক্সিক্ষত আধুনিক রেল স্টেশনের নির্মাণ প্রকল্পে বর্ধিত মেয়াদও শেষ হয়েছে গত ডিসেম্বরে। কিন্তু এখনো ২০ শতাংশের বেশি কাজ বাকি আছে। প্রকল্প এলাকার বস্তি সরানো এবং গত বছরে বেশি বৃষ্টি হওয়ার কারণে শুরুর দিকে কাজ কিছুটা পিছিয়ে থাকায় নির্ধারিত সময়ে কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি মন্তব্য প্রকৌশলীদের।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের মার্চ থেকে আগস্ট এই ছয় মাসে গড়ে প্রতি মাসে ৩ দশমিক ৯২ শতাংশ কাজ হয়েছে। এই গতিতে কাজ চললে বাকি কাজ শেষ হবে এ বছরের এপ্রিল-মে মাসে। ২০০৭ সালের তত্ত্ববধায়ক সরকার ‘রিমডেলিং অব খুলনা স্টেশন অ্যান্ড ইয়ার্ড’ নামে এই প্রকল্প গ্রহণ করে। একাধিকবার সংশোধনের পর ২০১৪ সালের ২৬ জানুয়ারি প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন পায়। ২০১৫ সালের ৪ মার্চ ঠিকাদার নিয়োগসংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদন দেয় সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। ২০১৫ সালের এপ্রিল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় আধুনিক স্টেশন নির্মাণের কাজ। প্রায় ৫৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৮ মাস মেয়াদে গত বছরের অক্টোবরে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল।
সূত্র জানান, প্রকল্পের আওতায় নগরের পাওয়ার হাউস মোড়ে হাউজ বিল্ডিং করপোরেশন ভবনের পাশে স্টেশন ভবন এবং এর অদূরেই তিনটি প্ল্যাটফর্ম নির্মাণ হচ্ছে। তিনতলা স্টেশন ভবনের আকার হচ্ছে ২২ হাজার বর্গফুট। প্রতিটি প্ল্যাটফর্মের দৈর্ঘ্য ১ হাজার ২০০ ফুট ও প্রস্থ ৩০ ফুট। ভবনের ভেতরে ৮৬০ বর্গমিটারের ফাঁকা জায়গা থাকবে। ৭৮৪ বর্গমিটারের একটি লিংক করিডর প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে যুক্ত থাকবে। প্ল্যাটফর্মে একসঙ্গে ছয়টি ট্রেন দাঁড়াতে পারবে। চার হাজার বর্গমিটার জায়গাজুড়ে কারপার্কিং, ফুটপাত ও রাস্তা থাকবে। রেলস্টেশনের প্রধান ফটক হবে পুরোনো যশোর রোডের পশ্চিমপাশে শহীদ আবুল সড়কের সামনে। প্রধান ফটক দিয়ে গাড়ি ঢুকে স্টেশন রোড দিয়ে বেরিয়ে যাবে। এক নম্বর প্ল্যাটফর্মের পাইলিংয়ের কাজ এখনো শুরুই হয়নি। ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মের কাজও কিছুটা বাকি রয়েছে।
প্রকল্পটির কাজ করছে ঢাকার তমা কনস্ট্রাকশন। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী মোসাব্বির হক জানান, শেড ও রেললাইন না সরানোয় সেখানে পাইলিংয়ের কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। এ ছাড়া খুলনা-যশোর রোডে এখনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ জন্য সীমানাপ্রাচীর করা যাচ্ছে না। নির্মাণকাজ চলতি বছরের এপ্রিল-মে মাসের মধ্যে শেষ হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
রেলওয়ের জ্যেষ্ঠ উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ হাফিজুর রহমান জানান, স্টেশন নির্মাণের জন্য প্রকল্প এলাকায় প্রতিটি প্ল্যাটফর্মের জন্য ২৮৮টি এবং স্টেশন ভবনের জন্য ৪০৫টি পাইলিং করা দরকার। এরমধ্যে প্ল্যাটফর্মের প্রায় শ’খানেক পাইলিংয়ের কাজ বাকি আছে। নতুন রেললাইন স্থাপনের কাজও এগিয়েছে। লোকোশেড সরিয়ে ১নং প্ল্যাটফর্মের কাজ শুরু করছে। সব মিলিয়ে ৭২ শতাংশ কাজ হয়েছে। চলতি বছরের মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে কাজ শেষ হবে। তবে এই মেয়াদ বাড়ায় ব্যয় বাড়বে না।
প্রকল্পের পরিচালক ও রেলের পশ্চিম অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মাহবুবুল হক বকশি জানান, প্রকল্পের মেয়াদ গত ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। আগামী তিন-চার মাসের মধ্যে কাজ শেষ হবে বলে আশা করছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।