Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

৭০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি ২ ছাত্রলীগ নেতার

| প্রকাশের সময় : ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ঢাবি সংবাদদাতা ঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হলের ফটোস্ট্যাট দোকানে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে হল ছাত্রলীগের সভাপতি রাসেল আহমেদ তাহসান ও সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান তাপসের বিরুদ্ধে। তাদের চাহিদা মতো চাঁদা দিতে না পেরে গত ৮ দিন যাবৎ দোকান বন্ধ রেখেছেন মালিক। সূত্র জানায়, গত ৯ ফেব্রæয়ারি তাহসান ও তাপস হলের ফটোস্ট্যাট দোকানদারের কাছে ৭০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। অন্যথায় তাকে দোকান বন্ধ করে দিতে বলে। সূত্র জানায়, গত ৯ ফেব্রæয়ারি হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তাহসান ও সাধারণ সম্পাদক তাপস একুশে স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট চালানোর জন্য ফটোস্ট্যাট দোকানের মালিক রিমনের কাছে ৭০
হাজার টাকা দাবি করে। রিমন টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে দোকান বন্ধ করে দিতে বলা হয়। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে দোকান মালিক রিমন খান বলেন, আমি এত টাকা কোত্থেকে দিব? তাহসান ভাই আর তাপস ভাই এসে আমার কাছে হলের টুর্নামেন্ট চালানোর জন্য ৭০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। আমি দিতে না করলে তারা আমাকে দোকান বন্ধ করে দিতে বলে।
এ ব্যাপারে হল প্রাধ্যক্ষ ড. মাহবুবুল আলম জোয়ার্দার বলেন, আমরা অনেকের কাছে বিষয়টি শুনেছি। তবে এখনো আমার কাছে কোন লিখিত অভিযোগ আসেনি। রোববার আমি দোকানের ঐ ছেলেকে ডেকে ঘটনার ব্যাপারে জানবো।
হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তাহসান বলেন, আমরা কোন চাঁদা দাবি করিনি। ওনাকে শুধু আমরা টুর্নামেন্ট চালানোর জন্য কয়েকটা বল দিতে বলেছি। আর চাঁদার ব্যাপারে তিনি বলেন, সাবেক হল সভাপতি মেহেদী ভাই ও বহিরাগত নাদিম মিলে তার কাছ থেকে ৫৬ হাজার টাকা চাঁদা নিয়ে দোকান বসাতে দিয়েছে আমরা জানার পর তাকে বলি আপনি চাঁদা দিয়ে কেন দোকান বসাতে গেছেন?
হল শাখা সেক্রেটারি তাপস বলেন, আমরা কোন চাঁদা চাইনি। টুর্নামেন্টে ৪টি টিম তাদের নিজস্ব খরচে টুর্নামেন্টে খেলবে। এখানে চাঁদা নিয়ে খেলা পরিচালনা করার কোন প্রশ্ন আসেনা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হল সূত্র থেকে জানা যায়, সাবেক সভাপতি মেহেদী ও হলের আরেক সাবেক নেতা আনুর ভাগিনা বহিরাগত নাদিম মিলে প্রথমে ফটোকপির দোকান থেকে ৪৬ হাজার টাকা চাঁদা নেয়। পরে নাদিম আলাদা করে আরো দশ হাজার টাকা চাঁদা নেয় ঐ দোকান থেকে।
এব্যাপারে জানার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ আল হাসানকে ফোন দেয়া হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সেক্রেটারি মোতাহার হোসেন প্রিন্স বলেন, আমি এ ব্যাপারে এখনো জানিনা। আমি জেনে জানাবো।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ