রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
স্টাফ রিপোর্টার, বান্দরবান থেকে : লামা উপজেলার দুর্গম পাহাড়ী এলাকা সরই ইউনিয়নের ডলুছড়ি এলাকায় প্রভাবশালী কর্তৃক ১৩টি দরিদ্র কৃষক পরিবার উচ্ছেদ আতঙ্কে ভুগছে। নিজেদের বসতি রক্ষার জন্য দীর্ঘ ১ যুগ ধরে লড়াই করে আসছে ২৬টি পরিবার। প্রভাবশালীদের মামলা হামলায় জর্জরিত হয়ে ইতিমধ্যে ১৩টি পরিবার ঘরছাড়া হলেও বাকি ১৩টি পরিবার কোনমতে এখনও টিকে রয়েছে। তবে সম্প্রতি তাদের বিরুদ্ধে প্রভাবশালীরা আবার মামলা-হামলা শুরু করায় তারা সংবাদ সম্মেলন করেছে। গতকাল শনিবার সকাল ১১টায় ওই এলাকার একটি জরাজীর্ণ হোটেলে তারা সম্মেলন করে। এসময় বিচারপ্রার্থী ১৩ টি দরিদ্র পরিবারের নারী পুরুষ উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনের লিখিত বক্তব্য ও ঘটনাস্থল পরিদর্শনে জানা গেছে, বিগত ৩০ বছর ধরে ওই এলাকায় ২৫টি কৃষক পরিবার প্রায় ৬০ একর বনভ‚মিতে বসতি স্থাপন করে আসছিল। কিন্তু ২০০৫ সালে লোহাগাড়া এলাকার মোহাম্মদ আলমগীর ও ফরিদুল আলম মহেশখালী এলাকার মোহাম্মদ রবিউল নামে এক সন্ত্রাসীকে ব্যবহার করে জনৈক সিরাজুল ইসলামের নামীয় লিজ মামলা নং-১০২ (ডি)/হটি/২০০০ ইংরেজী মূলে ২৫ একর জায়গার কাগজ নিয়ে জায়গাগুলো তাদের দাবি করে। শতাধিক লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে দফায় দফায় কয়েকবার তাদের আক্রমনের ফলে প্রথমে কয়েকটি পরিবার তাদের দখলীয় জমি ছেড়ে অন্যত্র চলে যায়। এরপর বাকি যারা ছিলো তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। অনেক জায়গায় দৌড়ঝাঁপ করেও নিরীহ কৃষকগণ মামলা হামলার ভয়ে এই কবছরে ১৩টি পরিবার সেখান থেকে চিরতরে উচ্ছেদ হয়। বর্তমানে সেখানে হোসেন আলী ৬৪১ নং,৩৩৫ নং, মোহাম্মদ ফেরদৌস ও আব্দুর রহমান ২৮২ নং, অরুন কান্তি কর্মকার ৩৮৩ নং ও আর ৬৫৩ নং, মোহাম্মদ সেলিম উদ্দীন ও মোহাম্মদ পেয়ারু, আর ৩৪৭ ও ৬৩৫ নং গোলাম হোসেন, আর ১৮৪ নং মোহাম্মদ সিরাজ ডালী, আর ৪৭৩ নং বোরহান উদ্দীন ও সালমা খাতুন, আর ৫২১ নং লাল মিয়া ও ৩৫০ হোল্ডিং মুলে সুলতান খাসহ প্রত্যেকে প্রতি হোল্ডিংয়ে সাড়ে ৪ একর করে প্রায় ৪৬ একর জমিতে বসবাস করছেন। কয়েকযুগ ধরে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে তারা সেখানকার অকেজো অনাবাদী পাহাড়ী জমিগুলো আবাদ করেছে। অপরদিকে আলমগীর গং ২৫ একর (হটি) কাগজ নিয়ে ৩৫ একর দখলে রয়েছে। ইতিমধ্যে এইসব পরিবারের প্রধানদের বিরুদ্ধে ধান কাটা ও গাছ কাটার ২টি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আলমগীরের সহযোগী মোহাম্মদ রবিউল এলাকায় বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাÐে জড়িত রয়েছে। একাধিক স্থানীয় লোক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, রবিউল মাদক ও অস্ত্র ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছে। এলাকার বিভিন্ন সন্ত্রাসীদের সাথে তার দহরম মহরম সম্পর্ক। তাই তারা কেউ তার বিরুদ্ধে কথা বলতেও সাহস করে না। দরিদ্র কৃষকগণ ভ‚মিদস্যুদের হাত থেকে রক্ষা পেতে ঊর্ধ্বতন মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল হালিম বলেন, এই দরিদ্র পরিবারগুলো বিগত ৩০ বছর ধরে বসবাস করে আসছে। তিনি বলেন, আলমগীর গংদের ২৫ একর জমির কাগজ থাকলেও বর্তমানে ৩৫ একরের অধিক জায়গা দখলে রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।