রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
মোস্তফা মাজেদ, ঝিনাইদহ থেকে : জেলার প্রায় ২০ লাখ মানুষের চিকিৎসা কেন্দ্র ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালটি এখন নিজেই রোগী। চিকিৎসাসেবার সাথে সম্পর্কিত চারটি প্রতিষ্ঠানে লোকবলের অভাবে হাওলাদ করে চালানো হচ্ছে কার্যক্রম। ফলে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতলের ওপর চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। হাসপাতালের ডাক্তার দিয়ে নার্সিং ইনস্টিটিউট, ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি (আইএইচটি) ও মেডিকেল অ্যাসিসট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যাটস)-এর ক্লাস নেয়ার কারণে রোগীরা ঠিকমতো চিকিৎসা পাচ্ছেন না। অন্যদিকে জেলা সদরের এই হাসপাতালে নেই কোনো অজ্ঞানের ডাক্তার। ফলে ১০ জন সার্জন অপারেশন করতে পারছেন না। অজ্ঞানের ডাক্তারের অভাবে তুচ্ছ কারণে রোগীদের জেলার বাইরে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। হাসপাতালটিতে স্থায়ীভাবে কোনো অজ্ঞানের ডাক্তার নেই। দু’জন অজ্ঞানের ডাক্তারকে অন্যত্র থেকে ঝিনাইদহে এনে কাজ চালানো হচ্ছে। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের গাইনি বিভাগের প্রধান ডা. ইমদাদ জানান, ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ৪২টি চিকিৎসকের পদ রয়েছে। সেখানে আছে মাত্র ২৬ জন। এসব ডাক্তার দিয়ে আবার নার্সিং ইনস্টিটিউট, ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি (আইএইচটি) ও মেডিকেল অ্যাসিসট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যাটস)-এর ক্লাস নেয়া হচ্ছে। তিনি আরো জানান, ভৌগোলিক কারণে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালটি গুরুত্ব বহন করায় প্রতিদিন আউটডোর ইনডোরে আটশ’ থেকে ১১শ’ রোগীকে চিকিৎসা দিতে হয়। ২০১৬ সালে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে তিন লাখের বেশি রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। লোকবলের অভাবে প্রায় আমাদের বেগ পেতে হচ্ছে। দু’জন জনপ্রতিনিধি মানবিক কারণে ঝিনাইদহ ও হরিণাকুন্ডু হাসপাতালের ২৪ জন স্টাফের বেতন বহন করছেন বলেও তিনি অভিযোগ করেন। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ঝিনাইদহের শিশু হাসপাতালটিও এখনো চালু করা সম্ভব হয়নি। এছাড়া নার্সিং ইনস্টিটিউট, ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি (আইএইচটি) ও মেডিকেল অ্যাসিসট্যান্ট ট্রেনিং স্কুলেও লোকবল নেই। অভিযোগ রয়েছে ১৯৯৪ সালে নিাইদহ সদর হাসপাতালটি একশ’ শয্যায় উন্নীত করা হলেও এই ২৩ বছরে পূর্ণাঙ্গভাবে জনবল নিয়োগ করা হয়নি। ফলে গোজামিল দিয়ে সদর হাসপাতালের চিকিৎসা চলছে। ঝিনাইদহ ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির (আইএইচটি) অধ্যক্ষ ডা. আব্দুল খালেক জানান, তার প্রতিষ্ঠানে ৭ জন প্রভাষকের মধ্যে ৩ জন আছেন। সহকারী অধ্যাপকের ৪টি পদে আছে মাত্র ১ জন। ইন্সট্রাকটরের ৭টি পদে আছেন ৩ জন। সংকটের কারণে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতলের ডাক্তার দিয়ে ক্লাস নিতে হচ্ছে। ঝিনাইদহ মেডিকেল অ্যাসিসট্যান্ট ট্রেনিং স্কুলের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডা. অসিৎ রঞ্জন দাস জানান, তার প্রতিষ্ঠানে ৭২টি পদের একটিও নেই। হাওলাদ করে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। তিনি আরো জানান, দরকারী পদের মধ্যে একজন অধ্যক্ষ, ১ জন সিনিয়র লেকচারার, ৪ জন লেকচারার ও ২ জন মেডিকেল অফিসারের কোনো পদেই লোক দেয়া হয়নি। তিনি বিধি মোতাবেক পদ সৃষ্টি ও পদায়নের জন্য চিঠি দেয়া হয়েছে বলে জানান। এ বিষয়ে ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল হালিম জানান, আমরা অফিসিয়ালি ও ব্যক্তিগতভাবে এসব প্রতিষ্ঠানে লোকবল নিয়োগের চেষ্টা করছি। আশা করা যায় আস্তে আস্তে সমাধান হবে। তিনি বলেন, ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে বেশ কয়েকজন মেডিকেল অফিসার, সার্জারি ও রেডিওলজিস্ট পদ শূন্য থাকায় ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের ডাক্তার দিয়ে অন্যান্য সরকারি দফতরগুলো চালানোর কথা তিনি স্বীকার করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।