Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এতিমখানার পরিচালকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

| প্রকাশের সময় : ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

সৈয়দপুর (নীলফামারী) উপজেলা সংবাদদাতা : নীলফামারীর সৈয়দপুরে একটি এতিমখানার পরিচালকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় লোক বাদ দিয়ে অন্য এলাকার লোক দিয়ে দায়সারা কমিটির মাধ্যমে চলছে এই এতিমখানা। জানা যায়, শহরের কাজিপাড়া এলাকায় ২০০০ সালে ‘কুদ্দুসিয়া হামিদিয়া হাফিজিয়া এতিমখানা ও লিল্লাহ বডিং’ নামে একটি এতিমখানা প্রতিষ্ঠা করা হয়। এতিমখানার জমির পরিমাণ ১৪ শতাংশ। প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে এটির পরিচালকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন মাওলানা আব্দুল হামিদ। প্রথমে মাদ্রাসা হিসেবে চালু হলেও ২০০৩ সালে এটি এতিমখানা হিসেবে সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে সরকারি তালিকাভুক্ত হয়। প্রথম বছর থেকে মাসিক ৩শ’ টাকা হারে বেশ কয়েকজন এতিম ছাত্রকে ভাতা দেয়া শুরু হয়। পর্যায়ক্রমে মাসিক ১ হাজার টাকায় উন্নীত হয়। ১৪ জন এতিমের ভাতা বাবদ প্রতিবছর ১ লাখ ৬৮ হাজার টাকা সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে প্রদান করা হয়। এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিন গত বৃহস্পতিবার মাদ্রাসা ঘুরে দেখা যায়, জনচারেক ছাত্র এবং ১ জন শিক্ষক রয়েছে মাদ্রাসায়। এই চার ছাত্রের মধ্যে একজনও এতিম নয়। তাদের মধ্যে একজন ছাত্র লাব্বি, তার পিতার নাম মহিদুল ইসলাম, তিনি কৃষি কাজ করেন। তার বাড়ী কিশোরগঞ্জ উপজেলার মধুপুর খুটিয়া পাড়া গ্রামে। দেখা মেলে একজন শিক্ষকের। তার সাথে কথা বলে জানা যায়, তিনি দু’দিন আগে এতিমখানায় শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেছেন। তার ভাষ্যমতে এখন ১০ জন ছাত্র থাকলেও একজনও এতিম ছাত্র নেই। সাংবাদিকদের দেখে হন্তদন্ত হয়ে ছুটে আসেন এতিমখানার পরিচালক মাওলানা আব্দুল হামিদ। তার কাছে জানতে চাওয়া হয় কতজন এতিম আছে? তিনি উত্তর না দিয়ে এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে বিষোদগার করেন। তিনি বলেন, এলাকার কিছু মানুষ এতিমখানার ছাত্র ও শিক্ষদের ভয়ভীতি দেখিয়ে তাড়িয়ে দেয়। আবার জানতে চাওয়া হয়, এতিম কতজন আছে? তিনি এ বিষয়ে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। তবে স্বীকার করেন ১৪ জন এতিমের নামে ভাতা উত্তোলন করছেন। এ সময় কমিটির তালিকাও দেখাতে ব্যর্থ হন তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ