Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভুয়া নাম-ঠিকানা দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা উত্তোলনের অভিযোগ

| প্রকাশের সময় : ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

গোদাগাড়ী (রাজশাহী) উপজেলা সংবাদদাতা : রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় মোঃ সেরাজুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভুয়া নাম-ঠিকানা ব্যবহার করে মুক্তিযোদ্ধার ভাতা উত্তোলন করে তা ভোগ করার অভিযোগ উঠেছে। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দাবিদার মোঃ সেরাজুল ইসলাম তার ঠিকানা হিসেবে পিতা-মৃত বেলায়েত হোসেন, গ্রাম-আলিপুর, ডাকঘর-মহিশালবাড়ী, উপজেলা-গোদাগাড়ী ও জেলা-রাজশাহী হিসেবে উল্লেখ করেছেন। সেরাজুলের বিরুদ্ধে মহিশালবাড়ী গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মৃত আব্দুর রশিদের পুত্র বশির আলী গত ৮ জানুয়ারি গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট তার সকল কাগজপত্র যাচাই-বাছাইয়ের জন্য আবেদনও করেছেন। আবেদনপত্র সূত্রে জানা যায়, সেরাজুল ইসলাম ভুয়া নাম-ঠিকানা ব্যবহার করে মুক্তিযোদ্ধা হয়েছেন। তার মুক্তি বার্তা গেজেট নং ০৩০২০৯০৩৮৮, ডাটা বেইজ নং ০৫০৭০৩০৪৫৯। ভুয়া তথ্য দিয়া ও কাউকে প্রভাবিত করে মুক্তিযোদ্ধার তালিকাভুক্ত হয়ে সম্মানী ভাতা ভোগ করে আসছে। বর্তমানেও কয়েজজন অসাধু মুক্তিযোদ্ধাকে সাক্ষীর জন্য প্রভাবিত করার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। সেরাজুল ইসলাম মহান স্বাধীনতা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে এক মুহূর্তের জন্যও অংশগ্রহণ করেননি। তিনি ভারতের মুরশিদাবাদ পশ্চিমবঙ্গে লালগোলা বহরামপুর সাবডিভিশন নলডোহারীর চাটাইডুবি গ্রামের কোকিলের ছেলে মোঃ মুন্তাজের বাড়েতে থেকে আনুমানিক অক্টোবর মাস হইতে ১৮ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে রাজবাড়ী শরণার্থী রেশন প্রদান কেন্দ্র হতে ১৫ দিন পরপর একাধিক নামে রেশন উত্তোলন করে চিত্তবিনোদন করত, যা বশির আলী নিজেই প্রত্যক্ষ করেছেন। সেরাজুল ইসলামের জন্মস্থান ও স্থায়ী ঠিকানা চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার চরহরিশপুর গ্রামে। বশির আলী দাবি করেন, সে যদি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হতো তাহলে লালমুক্তি বার্তায় তার প্রকৃত স্থায়ী ঠিকানা উল্লেখ থাকত। যেহেতু প্রকৃত ঠিকানা নেই তাতেই বোঝা যায়, তিনি ভুয়া তথ্য দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা হয়েছেন। তিনি সন্দেহ করেন তার পিতা মুক্তিযোদ্ধা মৃত আব্দুর রশিদের পানিপিয়া ইউথ ক্যাম্পের মুক্তিযোদ্ধা প্রশিক্ষণের সার্টিফিকেটটি সেরাজুল ইসলাম চুরি করে জালিয়াতি করছেন। বশির আহম্মেদ জানান, সেরাজুল ইসলাম একজন দুর্নীতিবাজ প্রকৃতির লোক। ২০০৮ সালের দিকে পাবনার ঈশ্বরদীর মুলাডুলি খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালনের সময় ১৫৮ মেট্রিক টন চাল আত্মসাতের অভিযোগে তিনিসহ ৫ জন পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন। অভিযুক্ত সেরাজুল ইসলামের সাথে তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করা হলে সংযোগ পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জাহিদ নেওয়াজ বলেন, গত মঙ্গলবার মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ের শুনানির জন্য ডাকা হয়েছিল কিন্তু তিনি উপস্থিত হননি। এ বিষয়ে আরও তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ