বাংলাদেশের জনজীবন ও অর্থনীতিতে ফারাক্কা বাঁধের বিরূপ প্রতিক্রিয়া
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রবাহিত গঙ্গার ওপর নির্মিত ভারতের ফারাক্কা বাঁধের প্রতিক্রিয়া যেমন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক
প্রবন্ধটির শিরোনামেই আমি দুটি বিষয়ের কথা উল্লেখ করেছি। একটি আইএস সংক্রান্ত এবং অপরটি তেলের বাজার বিষয়ক। একটি রাজনৈতিক অপরটি অর্থনৈতিক। আইএসের উত্থান নিয়ে বিশ^জুড়ে যেমন চলছে নানা আলোচনা, ঠিক তেমনি বিশ^বাজারে তেলের অব্যাহত দরপতন নিয়েও চলছে নানা ধরনের পর্যালোচনা। আইএসের উত্থানের কারণে অনেক দেশের রাষ্ট্রীয় ঐক্য যেমন ভেঙে পড়েছে, ঠিক তেমনি তেলের অব্যাহত দরপতনে অনেক দেশের অর্থনীতিতে বিপর্যয় নেমে এসেছে। রাজনীতিবিদরা আইএস নিয়ে ব্যস্ত আর অর্থনীতিবিদরা তেল নিয়ে ব্যস্ত। কিন্তু কারো তৎপরতাই কোনো কাজে আসছে না। আইএসের উত্থান যেমন হচ্ছে, ঠিক তেমনি তেলের দরপতনও হচ্ছেই। বিষয় দুটি যেন একসূত্রে গাঁথা। মূলত বিষয়টা সেরকমই। রাজনীতি এবং অর্থনীতির মাঝে যেমন একটি যোগসূত্র আছে, ঠিক তেমনি আইএসের উত্থানের সাথে তেলের মূল্য পতনের একটি যোগসূত্র আছে। সুতরাং বিষয় দুটি নিয়ে একটি পর্যালোচনা করা যাক।
প্রথমেই আইএসের বিষয়টি আলোচনা করা যাক। আইএস মানে হচ্ছে ইসলামিক স্টেট। দলটির নাম দেখেই বুঝা যায়, তারা সবাই মুসলমান এবং ইসলামিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখে। দলটির অনুসারীরা তাদের দখলকৃত অঞ্চলে ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছে এবং দখলকৃত অঞ্চলকে ইসলামি রাষ্ট্র ঘোষণা করেছে। ইরাক এবং সিরিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে আইএসের অবস্থান। লিবিয়ায়ও বিশাল অঞ্চল জুড়ে আইএসের অবস্থান। স্বাভাবিকভাবেই আইএসের নিয়ন্ত্রণে বিশাল এলাকা রয়েছে আর এই দখলকৃত অঞ্চলে এখন আইএসের শাসন চলছে। অধিকৃত অঞ্চলের রাজনীতি, অর্থনীতি এবং প্রশাসন সবই এখন আইএস নিয়ন্ত্রণ করেছে। তাদের রয়েছে সুসজ্জিত ও সুশৃঙ্খল যোদ্ধাদের দল, রয়েছে ট্যাংকসহ অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র। তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে অনেকগুলো তেলক্ষেত্র। দলটির নেতৃত্বে রয়েছেন বাগদাদী নামক একজন ব্যক্তি যাকে তার অনুসারীরা ইসলামিক স্টেট অর্থাৎ আইএসের খলিফা ঘোষণা করেছে। ইরাকের কোনো এক শহরে বসে তিনি তার সা¤্রাজ্য পরিচালনা করে চলেছেন। আইএসের অনুসারীদের মাঝে ঐক্য এবং শৃঙ্খলা এত বেশি যে আজ পর্যন্ত তাদের মধ্যে আভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং বিদ্রোহের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। আইএসের কোনো বৈধ রাষ্ট্র এবং রাষ্ট্রীয় অবকাঠামো না থাকলেও এই আইএসকে নিয়ে বিশ^জুড়ে চলছে তুমুল হইচই। আইএস মানে বিশ^জুড়ে এক মহা আতঙ্কের নাম। যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ব্রিটেন, ফ্রান্স, চীন, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, ভারতসহ প্রায় সকল রাষ্ট্রই আইএসকে তাদের জন্য হুমকি হিসেবে ঘোষণা করেছে। আইএস আতঙ্কে তারা এখন আতঙ্কিত। তারা সবাই আইএসকে নির্মূলে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। আইএসকে ধ্বংসের জন্য যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইরাকের সেনাবাহিনী প্রতিনিয়তই আইএস যোদ্ধাদেরকে পরাজিত করার জন্য যুদ্ধ চালাচ্ছে। কিন্তু এত হামলা এবং আক্রমণের পরও আইএস এখনো পরাজিত হয়নি। বিশে^র যেখানেই যত অঘটন, সেখানেই বারবার চলে আসছে আইএসের নাম। সব জায়গায় দায় স্বীকার করে আইএসের নামে বিবৃতিও আসছে। আইএস নিয়ে পুরো বিষয়টিই যেন এক মহারহস্য এবং চলছে এক লুকোচুরি খেলা।
এবার আইএস জন্ম এবং গতিপ্রকৃতি পর্যালোচনা করা যাক। আজ থেকে পাঁচ বছর আগেও আইএস নামে কোনো দলের অস্তিত্ব ছিল না। আইএসের উত্থান যেন উল্কার গতিতে, তেমনি এর গল্পও রূপকথার মতো। ইরাকের মাটিতে হঠাৎ করে দলটি তার নাম ঘোষণা করল এবং মানুষেরা দলে দলে দলটিতে যোগদান করতে লাগল। দলটি ইরাকি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করল এবং খুব দ্রুত ইরাকের এক একটি অঞ্চল দখল করতে লাগল। অতি অল্প সময়েই ইরাকের বিস্তীর্ণ অঞ্চল দখল করে সেখানে নিজস্ব শাসন চালু করল। আইএসের এই অগ্রাভিযান অচিরেই ইরাক সীমান্ত অতিক্রম করে সিরিয়ায় প্রবেশ করল। সিরিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চলও অতি দ্রুত আইএসের নিয়ন্ত্রণে চলে এলো। এভাবে ইরাক সিরিয়ার বিশাল এলাকায় এখন আইএসের সাম্রাজ্য। লিবিয়ারও বিশাল অঞ্চল আইএসের দখলে। বিশে^র বিভিন্ন দেশ থেকে বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষের স্বতঃস্ফূর্তভাবে আইএস এ যোগদানের খবর প্রকাশিত হয়েছে। তারা আইএসের হয়ে যুদ্ধ করছে এবং জীবন দিচ্ছে। এখন কথা হচ্ছে এত দ্রুত একটি দলের উত্থান কেন হলো? কেন তারা এত শক্তি সঞ্চয় করল? কেন লোকজন স্বতঃস্ফূর্তভাবে আইএসএ যোগ দিচ্ছে? এসবের উত্তর হচ্ছে পশ্চিমাদের দ্বিমুখী নীতি। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে দীর্ঘদিন থেকে চলমান স্বৈরশাসন, গণতন্ত্রের অনুপস্থিতি এবং দেশগুলোর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা বিশে^র আগ্রাসন ও দ্বৈত নীতির কারণে এসব দেশের মুসলমানরা ত্যক্ত, বিরক্ত এবং ক্ষুব্ধ। বঞ্চনার কারণে তাদের মাঝে সৃষ্টি হয়েছে ক্ষোভ। এসব দেশের শাসকদের ওপর জনগণের যেমন আস্থা নেই, ঠিক তেমনি পশ্চিমাদের ওপরও জনগণের কোনো আস্থা নেই। ফলে সেখানকার মানুষ মুক্তির জন্য নতুন একটি পথের সন্ধান করছে। তাই ইরাক, সিরিয়া এবং লিবিয়ায় যেখানে কার্যত রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা নেই, সারা দেশ জুড়ে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠাকারী একক কোনো সরকার নেই, একক কোনো সামরিক শক্তি নেই, একক কোনো বেসামরিক প্রশাসন নেই, সেখানে আইএসের উত্থান হয়েছে এবং তা দ্রুত প্রসার লাভ করেছে। মূলত আইএস হচ্ছে ইরাক, সিরিয়া এবং লিবিয়াসহ মুসলিম দেশগুলোতে বিদ্যমান স্বৈরশাসন এবং এসব দেশগুলোতে পশ্চিমাদের পরিচালিত শোষণ ও নির্যাতনের প্রতিক্রিয়া। যেহেতু সেখানকার জনগণ হতাশ, সেহেতু তারা মুক্তির আশায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে আইএস-এ যোগ দিচ্ছে। এভাবে ইরাক সিরিয়ার বিশাল অঞ্চল দখল করা আইএস আজ একটি শক্তিতে পরিণত হয়েছে এবং অতিসত্তর আইএস নির্মূল হবার কোনো সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে না।
এবার তেলের অব্যাহত দর পতনের বিষয়টি পর্যালোচনা করা যাক। তেল ছাড়া পুরো পৃথিবী যেহেতু অচল এবং তেলের কারণে বিশে^র অর্থনীতির গতিপ্রকৃতি যেহেতু নির্ধারিত হয়ে থাকে, সেহেতু তেলের অব্যাহত দরপতনে বিশ^জুড়ে হইচই সৃষ্টি হয়েছে। কারণ বাস, ট্রেন, বিমান, জাহাজ, কল কারখানা যাই বলি না কেন, তেল ছাড়া কোনটাই চলে না। আবার যে বিদ্যুত দিয়ে পৃথিবী আলোকিত সেই বিদ্যুতও তেল ছাড়া উৎপাদন হয় না। তাই তেলের দরপতনে অর্থনীতি প্রভাবিত হওয়াটা স্বাভাবিক। তেলের এই দরপতনে বিশ^জুড়ে শেয়ার বাজারে অস্থিরতা যেমন চলছে, ঠিক তেমনি তেল নির্ভর অর্থনীতির দেশগুলোতে সৃষ্টি হয়েছে বিপর্যয় আতঙ্ক। তেল কোম্পানিগুলো বিরাট অংকের লোকসান দিয়ে বিপর্যয়ের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে। এমনকি তেল নির্ভর দেশগুলোর অর্থনীতি ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে। যার ফলে সেসব দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতাও সৃষ্টি হয়েছে। এবার তেলের এই অস্বাভাবিক দরপতনের প্রকৃত কারণটি বলছি। তেলের বর্তমান দাম ব্যারেল প্রতি ৩০ ডলারেরও কম। যেটা বছর দুয়েক আগেও ছিল ব্যারেল প্রতি ১০০ ডলারেরও বেশি। তাহলে দেখা যাচ্ছে বছর দুয়েক সময়ের ব্যবধানে তেলের মূল্য তিন ভাগের এক ভাগেরও নিচে নেমে এসেছে। অথচ সময়ের সাথে সাথে এর দাম বাড়ার কথা ছিল। মূল্যস্ফীতিজনিত কারণেও তো দাম কিছুটা বাড়ার কথা। কিন্তু সময়ের সাথে তেলের দাম তো বাড়েনি, বরং ¯্রােতের মতো নিচে নেমেছে। তেলের এই অস্বাভাবিক দরপতন এবং বিপর্যয়ের প্রকৃত কারণ হচ্ছে আইএসের উত্থান। আগেই বলেছি, ইরাক সিরিয়ার বিশাল অঞ্চল এখন আইএসের নিয়ন্ত্রণে। লিবিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চলও আইএসের নিয়ন্ত্রণে। সেখানে নিজ নিজ দেশের সরকারের অর্র্থাৎ ইরাক, সিরিয়া এবং লিবিয়া সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। ইরাক, সিরিয়া এবং লিবিয়ার অনেকগুলো তেলকূপের ওপর সেসব দেশের সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। এই বিশাল অঞ্চলের রাজনীতি, অর্থনীতি, ব্যবসা বাণিজ্য সবই এখন আইএসের নিয়ন্ত্রণে চলছে। আইএসের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় অনেকগুলো তেলক্ষেত্র রয়েছে আর এগুলোর নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরিই তাদের হাতে। টিকে থাকার লড়াইয়ে আইএসের প্রচুর অর্থ দরকার। দৈনন্দিন খরচ, কর্মকর্তা-কর্মচারী, যোদ্ধাদের বেতন, অস্ত্র ক্রয়সহ বিভিন্ন ইস্যুতে আইএসের বিশাল অংকের ব্যয় রয়েছে। বিশেষ করে অস্তিত্বের প্রয়োজনে আইএস প্রচুর অস্ত্র কিনছে এবং কিনতে বাধ্য হচ্ছে। আর এই বিশাল অংকের অর্থ যোগানের জন্য আইএস ইচ্ছামত যতখুশি তেল উত্তোলন করছে এবং সেসব তেল কম দামে বিক্রি করছে। যেহেতু তেল বিক্রির জন্য একটি রাষ্ট্রের মতো বৈধ অবকাঠামো আইএসের নেই, সেহেতু আইএস প্রচলিত বৈধ উপায়ে তেল বিক্রি করতে পারছে না। ফলে তারা বাধ্য হয়ে অনেকটা চোরাচালানের মতো কম দামে তেল বিক্রি করছে। আর এই তেল কিনছে ইরাক, সিরিয়া, লিবিয়ার সরকারসহ সেসব দেশের বিভিন্ন গোষ্ঠী, যা পরবর্তীতে ক্রয় করছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ^। অপরদিকে এই তেল বিক্রির অর্থ দিয়ে আইএস পশ্চিমা বিশ^ থেকে দেদারছে অস্ত্র কিনছে। এভাবে আইএস থেকে পশ্চিমারা তেল কিনছে, আবার পশ্চিমারা আইএসের কাছে অস্ত্র বিক্রি করছে। ফলে পশ্চিমাদের সবদিকেই লাভ। কম দাম তেল পেল, ফলে তাদের রাষ্ট্রীয় ব্যয় কমল, আবার অস্ত্র বিক্রি বাড়ল ফলে রাষ্ট্রের আয় বাড়ল। অপরদিকে মুসলিম দেশসমূহ সবদিক দিয়েই ক্ষতিগ্রস্ত হলো। আইএসের মতো দলগুলোর উত্থানে মুসলিম দেশের রাষ্ট্রীয় ঐক্য ভেঙে পড়ল, রাজনৈতিক ঐক্য নষ্ট হলো, গৃহযুদ্ধে দেশ ধ্বংস হলো এবং অর্থনীতি ধ্বসে পড়ল। ফলে মুসলিম দেশসমূহ দিন দিন ক্ষতির দিকেই চলেছে। এভাবেই পশ্চিমারা দিন দিন এগিয়ে যাচ্ছে আর মুসলিম দেশসমূহ পিছিয়ে পড়ছে। ফলে পশ্চিমারা দিন দিন শক্তিশালী হচ্ছে আর মুসলিমবিশ^ দিন দিন দুর্বল হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই পশ্চিমারা হয়ে ওঠেছে মুসলিম দেশসমূহের নিয়ন্ত্রণকর্তা। এখানে একটি কথা সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই আর তা হচ্ছে মুসলিম দেশসমূহে যেমন ইরাকে, আফগানিস্তানে, সিরিয়ায়, লিবিয়ায় এবং ইয়েমেনে যে আজ গৃহযুদ্ধ চলছে, তাতে কেউ বিজয়ী হবে না। এখানে সরকার পক্ষও কখনো পুরো দেশের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারবে না, আবার বিরোধী পক্ষও কখনো পুরো দেশ দখল করে বিজয়ী হতে পারবে না। আইএস যেমন পুরো ইরাক দখল করতে পারবে না, ঠিক তেমনি আইএসও নির্মূল হবে না। কারণ মুসলিম দেশসমূহের ঐক্যকে বিভাজিত করার জন্য পশ্চিমারা আইএসকে অস্ত্র দিবে। এক্ষেত্রে পশ্চিমারা আজ মুসলিম দেশসমূহের বিরুদ্ধে ‘ডিভাইড অ্যান্ড রুল’ নীতির বাস্তবায়ন করছে। এই যুদ্ধে দেশসমূহ কেবল ধ্বংসই হবে, যার ফলে মুসলিম দেশসমূহ কেবল ক্ষতিগ্রস্তই হবে। ফলে পরাধীনতার শৃঙ্খলেই মুসলিম দেশসমূহ আটকে যাবে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের একমাত্র পথ হচ্ছে সংঘাতের পথ পরিহার করে রাজনৈতিক উপায়ে সমঝোতা প্রতিষ্ঠা করে রাষ্ট্রীয় ঐক্য এবং সংহতির পথ ধরে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাওয়া। তা না হলে ধ্বংস এবং দুঃখই কেবল মুসলমানদের একমাত্র পরিণতি। আর সমঝোতা না হলে এবং সংঘাত চলতে থাকলে আইএসও থাকবে এবং তেলের দামও বাড়বে না।
লেখক : প্রকৌশলী ও কলামিস্ট
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।