Inqilab Logo

রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ক্ষুব্ধ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

‘মুসলিম’ শব্দ বাদ দিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ভূলণ্ঠিত করার চেষ্টা

| প্রকাশের সময় : ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইবি রিপোর্টার : স্বাধীনতা উত্তর দেশের প্রথম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ভূলণ্ঠিত হতে বসেছে। সম্প্রতি আইন ও মুসলিম বিধান বিভাগের একাডেমিক কমিটির সভা এবং অনুষদীয় সভা থেকে মুসলিম বিধান শব্দটি বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হওয়ায় এ আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিংয়ে বিষয়টি উত্থাপিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সচেতন শিক্ষকরা এ সিদ্ধান্তটিকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এ্যাক্ট-১৯৮০ এর পরিপন্থী বলে মন্তব্য করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৭৯ সালের ২২ নভেম্বর কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ থেকে যথাক্রমে ২৪ কি.মি ও ২২ কি.মি দূরে শান্তিডাঙ্গা-দুলালপুর নামক স্থানে স্বাধীনতা উত্তর দেশের প্রথম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয়। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এ্যাক্ট-১৯৮০ এর ৫ (ক) তে বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্যের কথা বলা আছে। এ্যাক্টে ইসলামী শিক্ষার সাথে বিজ্ঞানসম্মত শিক্ষার সমন্বয় ঘটানোর কথা বলা হলেও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামী শিক্ষা বিলীন হবার উপক্রম। কয়েকটি কারণে এ আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি আইন ও মুসলিম বিধান বিভাগের একাডেমিক কমিটির সভা এবং অনুষদীয় সভা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এ্যাক্ট উপেক্ষা করে মুসলিম বিধান শব্দটি বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অতি উৎসাহী এক-দুইজন শিক্ষকের প্ররোচণায় বিভাগের নাম পরিবর্তনের দাবি জানায় ওই বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিভাগীয় একাডেমিক কমিটির ২১১তম সভায় ‘মুসলিম বিধান’ শব্দটি বাদ দিয়ে শুধু আইন বিভাগ নামকরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে একাডেমিক কমিটির সদস্যরা। তবে অভিযোগ রয়েছে সভায় বিভাগের নাম সংশোধনের বিষয়টি গোপনীয়ভাবে পাশ করে অনুষদীয় সভায় বিবেচনার জন্য প্রেরণ করে। নিয়ম অনুযায়ী আলোচ্যসূচি ৩ দিন আগেই অনুষদীয় কমিটির সদস্যদের কাছে পৌঁছাতে হবে, কিন্তু নিয়ম উপেক্ষা করে সভা শুরু হবার পর নাম পরিবর্তনের আলোচ্যসূচি সদস্যদের হাতে দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। ফলে ৫২তম অনুষদীয় সভার বিষয়টি টেবিল এজেন্ডা হিসেবে উত্থাপিত হয়।
 সভায় বিভাগের নাম থেকে মুসলিম শব্দ বাদ দিয়ে আইন বিভাগ নামে নামকরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে কমিটি। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক কাউন্সিলে বিষয়টি বিবেচনার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। ১৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় বিষয়টি উত্থাপিত হবে বলেও জানা গেছে। সেখানে নামটি পাশ হলে পরবর্তী সিন্ডিকেটে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মুসলিম শব্দটি চিরতরে মুছে যাবে।


শিক্ষকের বেতের আঘাতে নষ্ট হতে চলেছে ছাত্রের চোখ
বেনাপোল অফিস : যশোরের শার্শায় শিক্ষকের বেতের আঘাতে একটি চোখ নষ্ট হতে চলেছে ছাত্র মাহফুজুর রহমানের। সে শার্শা পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণি ক শাখার ছাত্র। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে শার্শা থানায় একটি মামলা করেছেন ওই ছাত্রের চাচা।
অভিযোগ করা হয়েছে, শার্শার স্বরুপদাহ গ্রামের প্রবাসী আমিনুর রহমানের ছেলে মাহফুজুর রহমান (১৪) সোমবার টিফিন শেষে শ্রেণিকক্ষে ইংরেজি ক্লাসে বসে ছিল। এ সময় শিক্ষক জহিরুল ইসলাম মিলন বেতের লাঠি হাতে ক্লাসরুমে ঢুকে এক ছাত্রকে পেটাতে যান। এ সময় পেছনের বেঞ্চে বসে থাকা মাহফুজুর রহমানের বাম চোখে লাঠির আঘাত লাগে। এতে তার চোখের মণি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
উন্নত চিকিৎসার জন্য জরুরিভাবে মাহফুজকে বিশেষ ব্যবস্থায় ঢাকা জাতীয় চক্ষু ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে সে সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
মাহফুজের মা মঞ্জিলা খাতুন বলেন, ‘ডাক্তারেরা আমার ছেলের বাম চোখ ব্যান্ডেজ করে রেখেছে। তার শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ। বাম চোখের কারণে ডান চোখেও কিছু দেখতে পাচ্ছে না। শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে গেছে। ডাক্তার পরামর্শ দিয়েছেন, শারীরিক সুস্থতা না ফিরলে চোখ অপারেশন করা যাবে না।’
শার্শা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট শিক্ষক যে ঘটনা ঘটিয়েছেন, তা আইনগতভাবে শাস্তিযোগ্য। এ বিষয়ে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ক্লাসরুমে লাঠি বা বেত নিয়ে যাওয়া আইনের পরিপন্থী।’ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুস সালাম বলেন, ‘ওই শিক্ষক জঘণ্য অপরাধ করেছেন। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অভিযোগ পেলে প্রশাসনিক ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হবে।’ শার্শা পাইলট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম জানান, মেধাবী ছাত্র মাহফুজুর রহমানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকা জাতীয় চক্ষু ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। তার চিকিৎসার সমস্ত খরচ স্কুলকর্তৃপক্ষ বহন করবে। উল্লেখ্য, এর আগেও এ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অষ্টম শ্রেণির মেধাবী ছাত্র রাসেলকে পিটিয়ে পা ভেঙে দেন। চাপের মুখে রাসেল ন্যায্য বিচার পায়নি। আবার একই ধরনের ঘটনা ঘটায় উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছেন অভিভাবকেরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ