Inqilab Logo

বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৬ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলায় চার্জ গঠনের তারিখ ৪র্থ বারের মতো পেছালো

টাঙ্গাইল জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ৫:৪১ পিএম

টাঙ্গাইল জেলা সংবাদদাতা : টাঙ্গাইলে চাঞ্চল্যকর মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামীলীগ নেতা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার চার্জ গঠনের তারিখ একই কারণে ৪র্থ বারের মতো পিছিয়ে গেল। মামলার প্রধান অভিযুক্ত আসামী এমপি রানা অসুস্থতাজনিত কারণে আদালতে উপস্থিত না করায় গতকাল বুধবার চার্জ গঠন হয়নি। এর আগেও মামলার তিনটি তারিখে অসুস্থতাজনিত কারণে তাকে হাজির করা হয়নি। অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবুল মনসুর মিয়া ছুটিতে থাকায় অপর বিচারক রাশেদ কবির মামলার পরবর্তী চার্জ গঠনের তারিখ নির্ধারণ করেন আগামী ১৫ মার্চ।

অতিরিক্ত পিপি মনিরুল ইসলাম জানান, কাশিমপুর কারাগার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে এমপি রানা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে। এই কারণে মামলার পূর্ব নির্ধারিত দিন গতকাল বুধবার তাকে টাঙ্গাইলে আনা হয়নি। এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর, ৯ নভেম্বর, ১০ জানুয়ারি মামলার চার্জ গঠনের দিন নির্ধারিত থাকলেও একই কারণে পিছিয়ে যায়।

প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে টাঙ্গাইল শহরের কলেজ পাড়া এলাকায় নিজ বাসার সামনে থেকে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এবং সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর প্রথম প্রতিরোধ যুদ্ধে অংশ নিয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার তিনদিন পর নিহত ফারুক আহমেদের স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল মডেল থানায় অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন।

মামলাটি প্রথমে পুলিশ তদন্ত করলেও পরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপর তদন্তভার ন্যস্ত হয়।

তদন্তকালে ২০১৪ সালের আগস্টে আনিছুল ইসলাম রাজা ও মোহাম্মদ আলী নামে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জানান, এই হত্যার সাথে সাংসদ আমানুর ও তার তিন ভাই জড়িত। এরপর সমীর মিয়া ও ফরিদ আহমেদ নামে আরও দুজনকে আটক করা হয়। এর পরই রানা ও তার ভাইয়েরা আত্মগোপনে চলে যান।

তদন্ত শেষে গত বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ৩০২/৩৪/১২০ বি ধারায় হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। পরে গত ৬ এপ্রিল আদালত পলাতক আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করেন। এর পরেও তারা আদালতে হাজির না হওয়ায় সর্বশেষ গত ১৬ মে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক গোলাম কিবরিয়া পলাতক ১০ আসামীর অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিলে তাদের সম্পত্তি জব্দ করে পুলিশ। পরে তাদের বিরুদ্ধে সংবাদপত্রেও বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। প্রায় দুই বছর পলাতক থাকার পর গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর এমপি রানা আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এরপর থেকে তাকে কাশিমপুর কারাগারে রাখা হয়েছে। পরে ২৪ সেপ্টেম্বর নাসির উদ্দিন নুরু ও মাসুদুর রহমান মাসুদ নামে আরও দুজন অভিযুক্ত আদালতে আত্মসমর্পণ করে।

এছাড়াও ফারুক আহমেদ হত্যা ও ঘাটাইলের ছাত্রলীগ নেতা আবু সাঈদ রুবেল হত্যা চেষ্টা মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে গত ১৬ জানুয়ারি রানাকে জেলা আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রের কাছে সুপারিশ করা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ