Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বোরোর চারা রোপণে ব্যস্ত দুপচাঁচিয়ার চাষিরা

| প্রকাশের সময় : ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মো. গোলাম ফারুক, দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) থেকে : দুপচাঁচিয়া উপজেলায় চলতি মৌসুমে চাষিরা বোরো ধান চাষ শুরু করেছেন। দেশের বিভিন্ন স্থানে বোরো ধান রোপণ পুরোপুরি শুরু হলেও দুপচাঁচিয়া উপজেলায় আলু ও সরিষা চাষের কারণে এ ধানের চারা রোপণ এখনো পুরোপুরি শুরু হয়নি। এ ফসল দুটি ঘরে তুলে চাষিরা বোরো ধানের চারা রোপণ করলেও আশানুরূপ ফলন হয়। তাই এই উপজেলার চাষিরা এখন আলু ও সরিষা না লাগানো পরিত্যক্ত জমিগুলোতে তাঁদের জীবন চলার সোনালি স্বপ্ন বোরো ধান আগাম রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন। বগুড়ার তথা উত্তরাঞ্চলের শস্য ভাÐার হিসাবে পরিচিত দুপচাঁচিয়া উপজেলা। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে এই উপজেলায় ১৩ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে হাইব্রিড জাতের ৪ হাজার ৭শ’ হেক্টর এবং উফশী জাতের ৮ হাজার ৬শ’ হেক্টর। এতে চালের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৫৩ হাজার ৪ শত মেট্রিক টন নির্ধারণ করা হয়েছে। এসব জমিতে রোপণের জন্য কৃষকরা ডিসেম্বর মাস থেকে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত বীজতলা তৈরি করেন। এ লক্ষ্যে চলতি মৌসুমে ৭৫০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধানের বীজতলার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। ইতোমধ্যে বীজতলা তৈরি প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকরা আলু ও সরিষা না লাগানো জমিগুলোতে বোরো ধানের চারা রোপণের জন্য জমি তৈরি করছেন। অনেকে তৈরিকৃত জমিতে চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন। ইতোমধ্যেই প্রায় ২ হাজার হেক্টর জমিতে চারা রোপণ সম্পন্ন হয়েছে। এব্যাপারে উপজেলা সদরের সরদারপাড়ার কৃষক মোবারক আলী, ধলু প্রামানিক, বোরাই গ্রামের বাদলু ফকির, খোলাশ গ্রামের আবু হোসেন, হেলালউদ্দিন, জিয়ানগরের খলিশ্বর গ্রামের রেজাউল করিম রেজু “দৈনিক ইনকিলাব”-কে জানান, তারা তাদের পরিত্যক্ত জমিগুলোতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্য নিয়ে অনেক আগেই বীজতলা তৈরি করেছেন। শৈত্যপ্রবাহ ও ঘন কুয়াশার কারণে কিছু বীজতলা নষ্ট হলেও বাকি বীজতলাগুলো চারার আকার ধারণ করেছে। তারা এখন জমিতে এই চারা লাগাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোস্তফা কামাল হোসেন জানান, উপজেলায় এখনো পুরোপুরি ইরি-বোরো চাষ শুরু হয়নি। আর কিছুদিন পরই আলু সরিষার ফসল ঘরে তোলার পরপরই চাষিরা বোরো চাষে ঝুঁকে পড়বেন। একইসাথে তিনি জানান, এবারো বোরো আবাদ নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করবে। কারণ ধানের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এই আবাদের উপর চাষিরা গুরুত্ব বেশি দিচ্ছেন। তাছাড়াও এ সময় চারা লাগালে রোগ-বালাই তুলনামূলক কম হয়। উৎপাদনও বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ