বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নারায়ণগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার : গাড়ি চালনোর সময় মোবাইল ফোনে কথা বলা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ, এমন আইন থাকলেও সে আইনের তোয়াক্কা করছে না ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সড়কে চলাচলকারী বিভিন্ন গণপরিবহনের চালকেরা। এর ফলে প্রতিনিয়তই ঘটছে নানা রকম দুর্ঘটনা। আর এ ব্যাপারে দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্ট ট্রাফিক বিভাগও কোনো নজরদারি করছেন না। যার ফলে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে অভ্যন্তরীণ রুটে চলাচলরত গাড়ি চালকেরা।
সূত্র বলছে, নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকা, চিটাগাং রোড (শিমরাইল) পর্যন্ত বেশ ক’টি পরিবহন চলাচল করে। এরমধ্যে, বন্ধন, উৎসব, হিমাচল, আনন্দ, আল্লাহ ভরসা, শীতলক্ষ্যা ও দুরন্ত। এসব গাড়ির অধিকাংশেরই নেই ফিটনেস। চালকদের নেই বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স। যাদের লাইসেন্স আছে, তারাও ঠিক প্রশিক্ষিত নন। এদের মধ্যে ট্রাফিক আইন না মানার প্রবণতাও লক্ষণীয়।
শুধু তাই নয়, চট্টগ্রামে মোবাইলে কথা বলার সময় এক দুর্ঘটনায় প্রায় ৪০ জন শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় চালকদের মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ আইন করে। এই আইন বর্তমানেও চলমান। কিন্তু তা মানছে না কেউই। যার ফলে নিত্য ঘটছে দুর্ঘটনা। তবে এই আইনটি না মানার প্রবণতা বেশি দুরন্ত, আনন্দ ও শীতলক্ষ্য পরিবহনের চালকদের মধ্যে।
সূত্র বলছে, গাড়ি চালানোর সময় হরহামেশাই মোবাইল ফোনে কথা বলতে থাকেন এসব পরিবহনের চালকেরা। যার কারণে দুর্ঘটনা ঘটছে অহরহ। ট্রাফিক বিভাগও এসব ব্যাপারে নজরদারি করছে না। কথিত আছে, ফিটনেসবিহীন, লাইসেন্সবিহীন ও অবৈধ স্ট্যান্ড করার কারণে দুরন্ত, শীতলক্ষ্যা ও আনন্দ পরিবহন নিয়মিতই মাসোয়ারা দিয়ে থাকে ট্রাফিক বিভাগকে। যার জন্য তারা এসব দিকে কোনো ভ্রক্ষেপই করেন না।
যাত্রীদের অভিযোগ থেকে জানা যায়, চাষাড়া হতে শিমরাইল পর্যন্ত চলাচলরত দুরন্ত পরিবহনের প্রায় ৯৫ শতাংল চালকেরই কোনো লাইসেন্স নেই। এ ছাড়াও এ গাড়িগুলোর ফিটনেস নেই বলেও জানা যায়। তারমধ্যে অধিকাংশ চালকই মাদকাসক্ত। মাদক সেবন করেই এরা গাড়ি চালাচ্ছে। যার কারণে অহরহ দুর্ঘটনা ঘটাচ্ছে তারা।
শুধু তাই নয়, গাড়ি চালানোর সময় মোবাইলে কথা বলা নিষিদ্ধ থাকলেও তারা সে আইন মানছে না। একহাতে ড্রাইভিং হুইল ধরে আরেক হাতে মোবাইল ফোন কানে ধরে গাড়ি চালাচ্ছে। যাত্রীরা এসব নিয়ে প্রতিবাদ করলে উল্টো যাত্রীদের সাথে অশোভন আচরণে লিপ্ত হচ্ছে চালকেরা। পাশাপাশি চালকেরা নিজস্ব বন্ধুবান্ধব নিজেদের পাশে বসিয়ে হাসি-ঠাট্টা করতে করতে গাড়ি চালিয়ে থাকে। যার জন্য দুর্ঘটনার স্বীকার হচ্ছে যাত্রী সাধারণ। এদিকে একযাত্রী এ ব্যাপারে প্রতিবাদ করলে জনৈক চালক দাম্ভিকতা নিয়ে বলে, ‘ভাই ড্রাইভিং করতে গেলে কেউ যদি মারা যায় ৩০ হাজার টাকা দিলেই ছুটে আসা যায়, না হয় এর বেশি হলে ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকা লাগবে। এর থেকে বেশি কি আর হবে? ফাঁসি তো হবে না?’
এ ব্যাপারে সহকারী পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) মো. আব্দুর রশিদ বলেন, আমরা প্রতিদিনই মামলা করছি। তবে কোনো যাত্রী যদি আমাদেরকে অভিযোগ করেন, আমরা সাথে সাথে ব্যবস্থাগ্রহণ করব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।