Inqilab Logo

শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

পুলিশের ধাওয়ায় নদীতে পড়ে আসামির মৃত্যু

বগুড়া অফিস | প্রকাশের সময় : ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ২:২২ পিএম

পুলিশের ধাওয়া খেয়ে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে সাহেব আলী (৫৫) নামে মামলার এক আসামির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। বগুড়ার শেরপুর উপজেলার সীমাবাড়ী ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী সিংহের শিমলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গতরাত ১২টায় নিহত সাহেব আলী একই গ্রামের মৃত হাসান আলীর ছেলে।

নিহতের স্বজনরা জানান, উপজেলার সিংহের শিমলা গ্রামে জমিতে সেচ দেওয়া কেন্দ্র করে সাহেব আলী ও একইগ্রামের আবু সাঈদের লোকজনের মধ্যে গত ১ ফেব্রুয়ারি মারধরের ঘটনা ঘটে। এতে সাহেব আলীর পক্ষের একজন গুরুতর আহত হয়ে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন।
পরবর্তীতে উল্টো এ ঘটনায় আবু সাঈদের ছেলে শাহীন বাদী হয়ে গত ৬ ফেব্রুয়ারি শেরপুর থানায় ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর ০৫। সেই মামলার ৮ নম্বর আসামি ছিলেন সাহেব আলী।
রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে শেরপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শামসুজ্জোহা সঙ্গীয় একজন ফোর্স নিয়ে ওই গ্রামে মামলার এজাহার নামীয় আসামি ধরতে যান। এসময় বাদীপক্ষের লোকজন তার সঙ্গে যুক্ত হন। একপর্যায়ে সবাই মিলে আসামি সাহেব আলীকে ধরতে গেলে তিনি ও তার ছেলে পালাতে দৌড় দেন।
পরে বাবা ছেলে পুলিশের গ্রেফতার এড়াতে পাশের ফুলজোড় নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। ছেলে সাঁতরে নদীর ওপারে যেতে পারলেও বাবা সাহেব আলীকে পুলিশের উপস্থিতিতে বাদীপক্ষের লোকজন নদীর ভেতর আটকে ফেলে।
সাহেব আলীর ভাতিজা সুজন অভিযোগ করে জানান, নদীর পানির ভেতর বাদীর পক্ষের লোকজনের সঙ্গে চাচা সাহেব আলীর ধ্বস্তাধ্বস্তি শুরু হলে পুলিশ অবস্থা বেগতিক দেখে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এরই মধ্যে আহত অবস্থায় চাচাকে পানিতে ফেলে বাদি পক্ষের লোকজন নদীতে থেকে উঠে সটকে পড়ে।
পরে সন্ধ্যায় গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি ঘটলে দ্রুত তাকে বগুড়া জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।
রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের ছিলিমপুর টাউন ফাঁড়ি পুলিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (টিএসআই) শাহ আলম সাহেব আলীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নিহতের লাশ হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে।
শেরপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শামসুজ্জোহা বলেন, আমি মামলার তদন্ত করতে সিংহের শিমলা গ্রামে গিয়েছিলাম। পুলিশ যাওয়ার খবর শুনে তিনি পালিয়ে যান। তদন্ত করে আমি থানায় চলে আসি। পরে মামলার এজাহারনামীয় ৮ নম্বর আসামি সাহেব আলীর মৃত্যুর খবর শুনি।
তবে কীভাবে কি কারণে তার মৃত্যু হয়েছে তা জানাতে পারেননি তিনি। পাশাপাশি পুলিশের ধাওয়া খেয়ে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ার বিয়ষটিও অস্বীকার করেন পুলিশের এ কর্মকর্তা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ