বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
শেকৃবি সংবাদদাতা : রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) ২০১৬-১৭ সেশনে প্রথমবর্ষে এক শিক্ষার্থীকে ভর্তি করাতে প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষর জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছে এক মহিলা। গতকাল রোববার প্রধানমন্ত্রী ও ডেপুটি স্পিকারসহ মোট ৫ জনের স্বাক্ষর সম্বলিত সুপারিশ পেশ করেন আবেদনপত্রের সাথে মহিলার কথাবার্তা সন্দেহজনক মনে হওয়ায় প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অভিযুক্ত মহিলাকে আটক করে শেরেবাংলা নগর থানায় সোপর্দ করে। পরবর্তীতে শেকৃবি রেজিস্ট্রার মো. রেজাউল করিম বাদী হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। শেকৃবি প্রশাসনসূত্রে জানা যায়, গতকাল রোববার বেলা ১২ টায় মোছা. হাছিনা বেগম (৬০) নামে এক মহিলা প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষর সম্বলিত একটি ডিও লেটার নিয়ে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদের কক্ষে যায়। এতে প্রথমে তিনি গণভবনের বাবুর্চি বলে পরিচয় দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষর সম্বলিত একটি ডিও লেটার এবং ডেপুটি স্পিকার, গোপালগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, পরিকল্পনা বিভাগের সচিব শফিকুল ইসলাম এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রটোকল অফিসার মনজিলা ফারুকের স্বাক্ষর সম্বলিত সুপারিশ কাগজ ভিসির কাছে দেয়। সুপারিশপত্রের ভাষ্যমতে, বিশেষ কোটায় ফাহিম জাহান দৃষ্টি নামে এক শিক্ষার্থীর ভর্তির সুব্যবস্থা জন্য জোর সুপারিশ করছি। এতে উল্লেখিত শিক্ষার্থীকে অসুস্থ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। উপাচার্যের কাছে পেশ করা মহিলার সমস্ত কাগজের স্বাক্ষরসহ কথাবর্তা অসংলগ্ন মনে হওয়ায় শেকৃবি প্রশাসন আটক করে শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। আটকের পর এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে শেকৃবি ভিসি বলেন, আটককৃত মহিলা এর আগেও আমার নিকট ৩/৪ বার এসে ফাহিম জাহান দৃষ্টি নামে ভর্তিচ্ছু এক শিক্ষার্থীর ভর্তির তদবির নিয়ে। তাতে আমি কোন কর্ণপাত না করলে আজ (রোববার) আমার নিকট প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষর সম্বলিত একটি ডিও লেটার নিয়ে হাজির হয়। এতে ঘটনাটি আমার কাছে পুরোপুরি স্পষ্ট হয়ে যায় যে, এটি একটি ভুয়া আবেদন। কেননা প্রধানমন্ত্রীর কোন ডিও লেটার কোন ভিসির কাছে আসতে পারে না। এছাড়াও আবেদন পত্রে নানা ধরনের ভুল ছিল। তাছাড়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষরটিও ছিল আমার কাছে অস্পষ্ট। অন্যদিকে আটককৃত হাছিনা বেগম (৬০) নিজেকে গণভবনের বাবুর্চি হিসেবে পরিচয় দেন। এসময় গণভবনে প্রবেশের জন্য একটি পরিচয়পত্র দেখান। তখন তিনি আরো বলেন, মনজিলা ফারুক ও শেখর আমাকে এখানে পাঠাইছে। অন্যদিকে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আটক হাছিনা বেগমের আইডি কার্ড ও তার সমস্ত কাগজপত্র সম্পূণ ভুয়া। তিনি গণভবনের বাবুর্চিও নন।এফটিএ চুক্তিতে একমত বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট (এফটিএ) চুক্তিতে সই করতে একমত হয়েছে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। এ বিষয়ে বিভিন্ন দিক নিয়ে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। মন্ত্রী বলেন, এফটিএ চুক্তিতে সই করার মাধ্যমে শ্রীলঙ্কায় রফতানি বাড়াতে সক্ষম হবে বাংলাদেশ।
গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানানা বাণিজ্যমন্ত্রী। এর আগে তোফায়েল আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত শ্রীলঙ্কার হাইকমিশনার ইয়াসোজা গুনাসেকিরা।
বৈঠক শেষে মন্ত্রী বলেন, শ্রীলঙ্কায় বাংলাদেশের কাগজ, ওষুধ ও আলু রফতানি বৃদ্ধির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে শুল্ক জটিলতা একটা বড় বাধা। আলোচনার মাধ্যমে এ জটিলতা দূর করা হচ্ছে। অল্প সময়ের মধ্যে শুল্ক জটিলতা দূর হবে বলে আশা করছি।
তিনি বলেন, গত অর্থবছরে শ্রীলঙ্কায় তিন কোটি চার লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রফতানি করেছে বাংলাদেশ। একই সময়ে আমদানি করা হয়েছে চার কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। নিজেদের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য উভয় দেশের প্রতিনিধিরা একমত পোষণ করেছেন। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এফটিএ সইয়ের মাধ্যমে শ্রীলঙ্কায় বাংলাদেশের রফতানি বৃদ্ধি করা সম্ভব।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করার সময় বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আরো উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) মো. শফিকুল ইসলাম এবং যুগ্ম-সচিব (এফটিএ) মুনীর চৌধুরী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।