বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
স্টাফ রিপোর্টার : নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা ও আচরণ সংক্রান্ত বিধিমালা গেজেট আকারে প্রকাশের বিষয়ে বার বার রাষ্ট্রপক্ষের সময় আবেদনের কারণ জানতে চেয়েছেন আপিল বিভাগ। আজ সোমবার অ্যাটর্নি জেনারেলকে এর লিখিত কারণ আদালতে দাখিল করতে বলা হয়। গতকাল রোববার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। গত ৫ ফেব্রুয়ারি সর্বশেষ গেজেট প্রকাশে এক সপ্তাহ সময় দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত। কিন্তু রোববার ফের আরও দুই সপ্তাহের সময় চান অ্যাটর্নি জেনারেল। এরপর আদালত আদেশ দেন। পরে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেন, প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, গেজেট প্রকাশের প্রয়োজন নেই। এটি নিয়ে আইন মন্ত্রণালয় সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে আলোচনার প্রেক্ষিতে এটির বিশেষ অংশ সংশোধন করে পুনর্বিবেচনার জন্য প্রেসিডেন্ট কাছে পাঠিয়েছে বলে আমাকে জানানো হয়েছে। আমি আদালতের কাছে সে কথাটিই বলেছি, এটি পুনর্বিবেচনার জন্য প্রেসিডেন্ট কাছে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু আদালত আমাকে লিখিতভাবে উল্লেখ করে দরখাস্ত করতে বলেছেন। সেটি দেয়া হবে। গত বছরের ৮ ডিসেম্বর নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালার গেজেট প্রকাশ না করায় আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিবকে ১২ ডিসেম্বর হাজির করতে অ্যাটর্নি জেনারেলকে মৌখিক নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। এরপর কয়েকবার রাষ্ট্রপক্ষ সময় নেন।
১৯৯৯ সালে মাসদার হোসেন মামলায় ১২ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেয়া হয়। ওই রায়ের ভিত্তিতে নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা ছিলো। আপিল বিভাগের নির্দেশনার পর গত বছরের ৭ মে আইন মন্ত্রণালয় একটি খসড়া শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধি প্রস্তুত করে সুপ্রিম কোর্টে পাঠায়। গত বছরের ২৮ আগস্ট শুনানিকালে আপিল বিভাগ খসড়ার বিষয়ে বলেন, শৃঙ্খলা বিধিমালা সংক্রান্ত সরকারের খসড়াটি ছিলো ১৯৮৫ সালের সরকারি কর্মচারী বিধিমালার হুবহু অনুরূপ। যা মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পরিপন্থী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।