Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪, ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, ২১ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

পানির অভাবে বোরো ক্ষেত বিবর্ণ অসহায় কৃষক

কেন্দুয়ায় দিনরাত সমান তালে লোডশেডিং

| প্রকাশের সময় : ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) উপজেলা সংবাদদাতা : নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় চলছে দিনরাত সমান লোডশেডিং। সময়ে অসময়ে বিদ্যুত চলে গিয়ে থাকছে না ঘন্টার পর ঘণ্টা। বিদ্যুতের এমন ভেলকিবাজিতে অসহায় হয়ে পড়েছে বোরো চাষিসহ সকল ধরনের বিদ্যুত গ্রাহকেরা। ঠিকমত বিদ্যুত না পাওয়ায় সেচ পাম্পগুলো বেশিরভাগ সময় বন্ধ থাকায় সেচের অভাবে চরম পানি সংকটে পড়েছে বোরো চাষের জমি। এরমধ্যে অনেক এলাকায় চাহিদার তুলনায় বিদ্যুত সরবরাহ না থাকায় জমি ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। একই সাথে বিবর্ণ হয়ে যাচ্ছে তাদের কাক্সিক্ষত স্বপ্নের সুবজ ধানের চারা। এ নাজেহাল অবস্থা মোকাবেলায় পল্লী বিদ্যুত গ্রাহকদের ভালো কোনো বার্তা দিতে পারছে না। ফলে কৃষককূল চাষের জমি রক্ষার্থে একদম দিশেহারা হয়ে পড়ছেন। বিদ্যুত সংকটে অতিষ্ট হয়ে ইতোমধ্যে নওপাড়া ও কান্দিউড়া ইউনিয়নের অর্ধশত কৃষক প্রয়োজনীয় বিদ্যুত সরবরাহ পেতে কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মুতাসিমুল ইসলামের কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েছেন। এ আবেদনের অনুলিপি জেলা প্রশাসক ও নেত্রকোনা পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএমের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। তবুও কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। নওপাড়া ইউনিয়নের কাউরাট গ্রামের বোরো চাষি আওয়ামী লীগ নেতা হাবিবুর রহমান বকুল জানান, কান্দিউড়া ইউনিয়নের জালালপুর, গোগ নওপাড়া ইউনিয়নের পাঁচহার, কাউরাট, জুড়াইল, কুতুবপুর, নওপাড়া হাওর এলাকায় প্রায় শতাধিক বিদ্যুতচালিত সেচ পাম্প রয়েছে। ১৫দিন ধরে এসব পাম্পে দৈনিক এ ঘণ্টাও বিদ্যুত সরবরাহ করা হচ্ছে না। এতে সকল বোরো জমি বিবর্ণ হওয়াসহ ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। ফসল রক্ষায় নেত্রকোনা পল্লী বিদ্যুত সমিতির জেনারেল ম্যানেজারের দ্বারস্থ হয়েও কোন সুফল পাওয়া যায়নি। একই কথা জানালেন, সান্দিকোনা ইউনিয়নের মাইজহাটী গ্রামের কৃষক সাংবাদিক শাহজাহান মিয়া। তিনি বলেন, দিনরাত সমান লোডশেডিং থাকায় বিদ্যুত চালিত সেচ পাম্পগুলো অচল হয়ে পড়েছে। কৃষকরা জমি বাঁচাতে ডিজেলচালিত সেচপাম্প বসিয়ে বিকল্প উপায়ে জমি রক্ষার চেষ্টা করছেন। কেন্দুয়া উপজেলার সর্বত্র এ অবস্থা বিরাজ করছে। জরুরিভাবে বিদ্যুত সরবরাহের উন্নয়ন করা না হলে কৃষকদের গোলায় কোন ধান উঠবে না। হাহাকার সৃষ্টি হবে এলাকায় এলাকায়। হাবিবুর রহমান বকুলসহ একাধিক কৃষক বলেন, এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট আন্তরিক হলে অচিরেই এ সংকট মোকাবেলা করা সম্ভব হবে। কৃষকের স্বার্থে সংশ্লিষ্টরা এগিয়ে আসবেন বলে তাদের একান্ত প্রত্যাশা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ