Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ০৯ জুলাই ২০২৪, ২৫ আষাঢ় ১৪৩১, ০২ মুহাররম ১৪৪৬ হিজরী

ফুলের গন্ধে চাষিদের ঘরে সুখের সুবাস

| প্রকাশের সময় : ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মো. নজরুল ইসলাম, গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) থেকে : ফুল চাষ লাভজনক হওয়ায় রাজবাড়ীর কৃষকরা দিন দিন ঝুকছে ফুল চাষে। ফুল চাষ করে ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়েছেন রাজবাড়ীর অনেক কৃষক। অল্প জমিতে স্বল্পখরচে বেশি আয় করার জন্য কৃষকরা আবাদ করছেন ফুল। দামও পাচ্ছে ভালো আগামীতে ফুলের চাষের মাধ্যমে বেকার সমস্যা দূর করা সম্ভব বলে মনে করছেন কৃষকরা। আর কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, ফুল চাষ একটি উচ্চমূল্যের ফসল তাই কৃষকদের ফুল চাষে নানান ধরনের পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের বড় লক্ষ¥ীপুর গ্রামের আবুল কাশেম অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে ৪৪ শতাংশ জমিতে রজনীগন্ধ্যা ফুলের চাষ করেছেন, প্রতি সপ্তাহে ৬ থেকে ৭ শত ফুলের স্টিক বিক্রি করেন তিনি যার প্রতিটির বাজার মূল্য ৪ থেকে ৫ টাকা সেই হিসেবে তিনি প্রতি সপ্তাহে প্রায় তিন হাজার টাকার ফুল বিক্রি করেন। রজনীগন্ধ্যা ফুলের একবার রোপণ করলে তিন বছর শুধু পরিচর্যা করলেই ফুল পাওয়া যায়। খরচ খরচা বাদ দিয়ে প্রতি বছর তার ৩ লক্ষ টাকা আয় হয় বলে জানান তিনি। কৃষকেরা জানান, ফুল চাষে যে পরিমাণে খরচ হয়, লাভ হয় তার থেকে অনেক বেশি আবার বিক্রি করার জন্য তেমন কোনো ঝামেলা পোহাতে হয় না তাদের। ফুলের দোকানদারদের খবর দিলে ভালো মূল্য দিয়ে বাড়ি থেকে ফুল নিয়ে যান। আগামীতে অন্যান্য আবাদের চেয়ে ফুলের আবাদ বেশি করবেন বলে আশা করছেন তারা। এলাকাবাসী জানান, সারা বছর ফুলের কদর থাকলেও ফেব্রুয়ারি মাসে ফুলের চাহিদা থাকে সবচেয়ে বেশি। ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস এই দিনে প্রেমিক-প্রেমিকাদের কাছে ফুলের কদর থাকে সবচেয়ে বেশি। কাছের মানুষকে আর যাই হোক কম করে হলেও একটি ফুল দেয়া চাই। এরপর আসছে ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এদিনেও ফুলের কদর থাকে বেশি তাই রাজবাড়ীর কৃষকরা ফেব্রুয়ারি মাসে ফুল বিক্রি করে বেশি টাকা আয় করছেন। রাজবাড়ী সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মো. রকিবউদ্দিন জানান, রাজবাড়ীতে গত ২০১৫ সাল থেকে শুরু হয়েছে গ্লাডিওলাস ফুলের চাষ লাভজনক হওয়ার এটি চাহিদা বেশি এছাড়াও রজনীগন্ধ্যা, গাদা, গোলাপসহ নানা প্রকার ফুলের চাষ হচ্ছে। রাজবাড়ীর ফুল চাহিদা মিটিয়ে ঢাকায়ও রফতানি করা হচ্ছে। জেলা কৃষি অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী রাজবাড়ী জেলায় এ বছর ৫ হেক্টর জমিতে ফুলের আবাদ হয়েছে। জেলার শতাধিক কৃষক বাণিজ্যিকভাবে এই ফুলের আবাদ করছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ