Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

হুমকির মুখে যোগাযোগের একমাত্র সেতু ও ফসলি জমি

ভুবনেশ্বর থেকে ড্রেজার দিয়ে মাটি উত্তোলন

| প্রকাশের সময় : ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা : ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা সদরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে ভুবনেশ্বর শাখা নদী থেকে গত ক’দিন ধরে ড্রেজার মেশিন দিয়ে দিন-রাত মাটি উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে চরম হুমকির মুখে রয়েছে খননকৃত জলাভূমির পাশে উপজেলার প্রধান সেতু ও ফসলি জমি। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের জন্য উক্ত নদীর মধ্যে থেকে ড্রেজার মেশিনে মাটি কেটে পাইপের মাধ্যমে নদীর পূর্ব পাড়ে মেইন সড়ক ঘেঁষে প্রায় ১০ শতাংশ জায়গাজুড়ে ভিটে বাঁধছেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। ঠিকাদার ফরিদপুর পৌর আ’লীগের সহসভাপতি জাহাঙ্গীর খান ওরফে বাবু খান ঠিকাদারি কাজের চুক্তিমতে অন্য জায়গা থেকে মাটি কিনে এনে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের ভিটে বাঁধার শর্ত থাকলেও তিনি তা না করে নির্মাণাধীন ভিটের পাশে নদীর মধ্যে থেকেই মাটি উত্তোলন করছেন বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। গত মঙ্গলবার সকাল ১১টায় উপজেলা সদর ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের মহিলা সংরক্ষিত সদস্য পদ্মা রানী শিং অভিযোগে জানান, “মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের জন্য সরকার প্রায় ২ কোটি ৬৯ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। এ কাজে অন্য জায়গা থেকে মাটি কিনে এনে ভবনের ভিটে গড়ার কথা। আর সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার অন্য জায়গা থেকে মাটি কিনে না এনে নদীর মধ্যে থেকে ড্রেজারে মাটি কেটে নদী পাড়ে ভিটে বাঁধছেন। এতে আশপাশের ইরি ও বোরো ধানী জমিগুলোতে এখনই ধস দেখা দিয়েছে। বর্ষা মৌসুমে নদীর ওপর ব্রিজের খুঁটির গোড়া থেকে মাটি সরে গিয়ে ব্রিজের বড় ক্ষতি হতে পারে। গত মঙ্গলবার সকালে ঠিকাদারি কাজের তদারকি দায়িত্বরত মো. সিদ্দিকুর রহমানকে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, “ভিটে বাঁধার মাটি আমরা ট্রাকে আনি, না পেলে আনি বা ড্রেজার মেশিনে কাটি সেটা আমাদের ব্যাপার। ইউএনও নদী পাড়ে আমাদের জমি বুঝিয়ে দেয়ার পর কাজ আরম্ভ করেছি। তিনি আরো বলেন, ঠিকাদার প্রশাসনের সাথে বোঝপড়া করেই ড্রেজার মেশিনে মাটি কেটে ভিটা বাঁধছেন”। উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার পারভেজ চৌধুরী বলেন, “অন্য জায়গা থেকে মাটি ট্রাকে বহন করে এনে ভিটে বাঁধা উচিত ছিল ঠিকাদারের। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ বলে আমি একটু নমনীয় ছিলাম”। আর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শফি উদ্দিন খালাসী বলেন, “উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণে সরকার প্রায় পৌনে ৩ কোটি টাকা বাজেট দিয়েছেন, এ ঠিকাদারি কাজে মাটি কিনে এনে ভিটে বাঁধার শর্ত থাকলেও নদী পাড়ে রাস্তা লেবেল করে ১০ শতাংশ জমির ভিটে বাঁধা অনেক মাটির দরকার। তাই কাজের সুবিধার্থে ঠিকাদার নদী থেকেই মাটি কাটছেন”।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ