Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে গড়িমসির অভিযোগ

কেন্দুয়ায় আ.লীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম

| প্রকাশের সময় : ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) উপজেলা সংবাদদাতা : নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার সিংহেরগাঁও গ্রামের তরুণ আ.লীগ নেতা ঠিকাদার আবু সায়েম তালুকদারকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে গড়িমসি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মামলার বাদী সোহানের ভাই জখমী আবু সায়েম তালুকদার এ অভিযোগ করেছেন। এদিকে গড়িমসির অভিযোগ অস্বীকার করে কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ সিরাজুল ইসলাম জানান, আদালতের নির্দেশ পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জখমীর মেডিকেল রিপোর্ট চাওয়া হয়। ইতোমধ্যে মেডিকেল রিপোর্ট পাওয়া গেছে। এখন এ ব্যাপারে আরো তদন্ত করে যতটুকু ঘটনা পাওয়া যাবে তা মামলার যোগ্য হলে মামলা নেয়া হবে। আদালতে দায়েরকৃত মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২২ জানুয়ারি উপজেলার চন্দপাড়া কলেজের উত্তর পার্শ্বে সায়েম তালুকদারকে একা পেয়ে সিংহেরগাঁও গ্রামের সুরুজ আলীর ছেলে জামাল মিয়া তার কাছে আড়াইলাখ টাকা চাঁদা চেয়ে বলে আগামীকালের মধ্যে না দিলে খুন করে ফেলব। পরদিন তিনি রামপুর বাজার থেকে মোটরসাইকেলে বাড়ি যাওয়ার পথে আবু ছাদেকের ইটখলা নামকস্থানে পথ আটকিয়ে টাকা দাবি করে। টাকা না দেয়ায় জামাল মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এ ঘটনায় গত ২৯ জানুয়ারি সায়েমের ছোট ভাই সোহান বাদী হয়ে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত নালিশী দরখাস্তের বিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কে ১৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আদালতকে অবহিত করতে কেন্দুয়া থানার অফিসারকে নির্দেশ দিয়েছেন। ধার্য্য দিবসের মাত্র দুই দিন বাকি। এদিকে জখমীর বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মেডিকেল রিপোর্ট প্রদানের খবর পেয়ে ছাত্রলীগের কয়েক নেতা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। হুমকির বিষয় অবগত হয়ে ঘটনার দিন বুধবারই কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মুতাসিমুল ইসলাম ও অফিসার ইনচার্জ সিরাজুল ইসলাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছুটে যান। এ বিষয়টি জানার পর বাদীপক্ষ ন্যায় বিচার না পাওয়ার আশঙ্কায় আরো উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। এর সত্যতা স্বীকার করে অফিসার ইনচার্জ সিরাজুল ইসলাম গত শুক্রবার বলেন, এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোন অভিযোগ করেননি। তবে এ ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা কমিটির সাধারন সভায় আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ