রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
রতন বৈষ্ণব ত্রিপুরা, রামগড় (খাগড়াছড়ি) থেকে : শীতের শুরুতে প্রতি বছরের মত পার্বত্য অঞ্চলে বিভিন্ন এলাকা থেকে গাছীরা খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করবে এটাই ছিল স্বাভাবিক। কিন্তু কেজি প্রতি ২৫-৩০ টাকা দিলেও খেজুর রস মিলছে না আগের মত। এ ব্যাপার স্থানীয়রা বলেন, গ্রামে গ্রামে খেজুর গাছ কেটে ফেলায় বিভিন্ন স্থানে জ্বালানী কাঠ হিসেবে ব্যবহার হয়ে যাওয়াতে বিগত ৫-৬ বছর খেজুর গাছ আশংকাজনক হারে কমতে শুরু করেছে। যার ফলে এখন উপজেলায় তিব্র শীতের মৌসুমেও খেজুর রসের চাহিদা থাকলেও রসের সংকট দেখা দিয়েছে। বিত্তবানরা অনেক কষ্টে অতিরিক্ত মূল্যে দিয়ে খেজুর রসের মৌসুমী স্বাদ গ্রহণ করতে পারলেও পাহাড়ী এলাকার গরীব ও হতদরিদ্র শ্রেণীর মানুষ সেই স্বাদ নিতে পারেন না আগের মত। এদিকে সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকায় পরিদর্শন করে দেখা গেছে, উপজেলার পাহাড়ী অঞ্চলগুলোতে দূর দূরান্তে ২-৪টি খেজুর গাছ থেকে গাছীরা রস সংগ্রহ করতে দেখা গেলেও রামগড় লেকের দু’পাশের খেজুর গাছগুলি গাছীর অভাবে খোল না হওয়াতে রামগড় সদর ও পৌরসভার সোনাইপুল-খাগড়াবিল সড়কের দু’পাশের ৪৫-৫০টি খেজুর গাছ প্রতি বছর এলাকাটির আশপাশের মানুষের রসের চাহিদা মিটিয়ে পার্শ্ববর্তী এলাকাও সরবরাহ করা হলেও চলতি বছর গাছগুলির মালিকানাসহ বিভিন্ন সমস্য থাকায় গাছীরা রস সংগ্রহ করতে না পারায় উপজেলার রামগড়, পাতাছড়া, হাফছড়ি এ তিন ইউনিয়ন ও পৌর এলাকাগুলোতে এখন উচ্চ মূল্যেও খেজুর রস খুজে পাওয়া যায় না যার ফলে তিব্র শীতেও ঘরে ঘরে মিলছেনা শীতের ভাঁপা পিঠা ও খেজুর রসে তৈরী নানা ধরনের পায়েস। রামগড় পৌর এলাকার গাছী মোঃ মোস্তফা জানান, প্রতি বছর শীতকালে নিয়মিত ৮০-৯০টি গাছে রসের জন্য প্রস্তুত করলেও এবছর গাছের মালিকানাসহ বিভিন্ন সমস্যাজনিত কারণে গাছগুলো রসের জন্য প্রস্তুত করতে দেয়া হচ্ছে না যার কারণে আশপাশের এলাকার ১৫-২০টি গাছ থেকে রস সংগ্রহ করে থাকি যা গ্রাহকদের চাহিদার তুলনায় অতি নগণ্য। তিনি আরো বলেন ১২-১৫ বছর ধরে শীতের সময় খেজুর গাছের খেজুর রস সংগ্রহ করে গ্রাহকদের মাঝে বিক্রয় করে আসছি। এক সময় প্রচুর রস পাওয়া যেত, এখন গাছও কম কিন্তু চাহিদা বেশি। অগ্রিম অর্ডার দিয়েও গ্রাহকদের পরিমাণ মত রস দিতে পারি না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।