রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
নীলফামারী জেলা সংবাদদাতা : নীলফামারীর ডোমারে ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের অধীনে নির্মাণাধীন একটি ব্রিজ ঢালাইয়ের সময় ভেঙে গেছে। ওই ভাঙা ব্রিজটি নতুন করে শাটারিং না করেই তড়িঘড়ি করে ঢালাইয়ের কাজ শেষ করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের অধীনে জেলার ডোমার উপজেলার হরিনচড়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের তেলীপাড়ায় কলন্দর নালার উপর ৬০ ফুট দীর্ঘ একটি ব্রিজ নির্মাণ কাজ চলছে। ব্রিজটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ৫৬,৮৯,১০৬ টাকা। ব্রিজ নির্মাণ কাজ বর্ষা মৌসুমে শেষ হবার সিডিউল ছিল। কিন্তু যথাসময়ে নির্মাণ কাজ শুরু না হওয়ায় বর্ষায় নির্মাণ কাজ শুরুর করায় নালায় পানি বৃদ্ধির কারণে সে সময় নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখা হয়। এক পর্যায়ে বর্ষার সময় ব্রিজটির বেসলেটের নিচ দিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে এবং সে গর্ত দিয়ে অবিরাম পানি প্রবাহের ফলে গর্তটি দিন দিন বেড়ে যায়। এছাড়া দীর্ঘদিন খোলাভাবে পড়ে থাকায় ব্রিজ নির্মাণের ব্যবহৃত লোহার রডে ব্যাপকভাবে মরিচা পড়ে। মরিচার উপর নতুন করে ঢালাই ও সেতুটির বেসলেট’র এ অবস্থায় এর নির্মাণ কাজ শুরুর পূর্বে সেতুটির মানসম্মত নির্মাণ ও এর স্থায়ীত্বের প্রয়োজনে একটি সংশ্লিষ্ট বিষয়ের কারিগরি টিম ব্রিজের বাস্তব অবস্থা নিরূপণের মাধ্যমে সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করা প্রয়োজন ছিল। এছাড়া বিধি অনুযায়ী ইস্পাতের প্লেট, লোহা, কাঠের খুঁটি দ্বারা শাটারিং করতে হয়। কিন্তু তা না করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাঠের তক্তা ও বাঁশ দিয়ে শাটারিং করে কাজ পুনরায় শুরু করেছেন। এ অবস্থায় সব বিষয় উপেক্ষা করে ডোমার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় ওই অবস্থায় সেতুটির নির্মাণকাজ পুনরায় শুরু করেন। এরই অংশ হিসাবে বুধবার ব্রিজটি ঢালাই করা হয়। এ ঢালাইয়ের সময় ডোমার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবুল আসাদ (অতিরিক্ত দায়িত্ব), উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোহাইমিনুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। ব্রিজের ঢালাই অর্ধেক শেষ হবার পরে কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ব্রিজের মাঝের পাটাতনের শাটারিং খুলে গিয়ে ব্রিজটি হেলে পড়ে। পরে নির্মাণকাজ বন্ধ রেখে ওই অবস্থায় শাটারিংয়ের খুঁটি কোনমতে জোড়াতালি দিয়ে ঢালাই শেষ করা হয়। এর ফলে বর্তমানে ব্রিজটি নিচের দিকে বেঁকে যায়। যা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এ ব্যাপারে ওই ব্রিজের কারিগর ফকির শাহ শাটারিং খুলে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ওইভাবে ঠিকঠাক করে পরে ঢালাই দেয়া হয়েছে। এলাকাবাসী কালিপদ, মিস্টার আলীসহ অনেকেই জানান, ঢালাইয়ের সময় ব্রিজের শাটারিং খুলে ব্রিজটি হেলে পরে। পরে ওই অবস্থায় কোনমতে খুঁটি সোজা করে ঢালাই শেষ করা হলেও এখনো তা বাঁকা অবস্থায় রয়েছে তবে ব্রিজের বেসলেটের গর্ত এখনো মাটি দিয়ে ভরাট করা হয়নি। এ ব্যাপারে ডোমার উপজেলা প্রকল্প বস্তবায়ন কর্মকর্তা কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোহাইমিনুল ইসলাম ব্রিজ ঢালাইয়ের সময় শাটার খুলে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পরে খুঁটি সোজা করে ঢালাই দেয়া হয়েছে তবে এতে ব্রিজের কোনো ক্ষতি হবে না। এ ব্যাপারে ডোমার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবুল আসাদ (অতিরিক্ত দায়িত্ব) জানান, শাটারিং খুলে ব্রিজটি ১ ইঞ্চি পরিমাণ নিচে দেবে গিয়েছে যা আমরা পরে মেরামত করে ফেলব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।