Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কাফনের কাপড় পরে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ

৩৩ শিক্ষার্থীর নামে কৈফিয়তপত্র

| প্রকাশের সময় : ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) উপজেলা সংবাদদাতা : ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে পরীক্ষক কর্তৃক ডিগ্রি প্রথম বর্ষের ৩৩ শিক্ষার্থীর বহিষ্কার প্রত্যাহারের দাবিতে কাফনের কাপড় পড়ে মানববন্ধন, সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে কলেজের ছাত্রছাত্রীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কে ঈশ্বরগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সামনে ঘণ্টাব্যাপী ওই কর্মসূচি পালন করা হয়। জানা যায়, ঈশ্বরগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের ডিগ্রি প্রথম বর্ষ পরীক্ষায় ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে ৮৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। গত ৩১ জানুয়ারি ডিগ্রি প্রথম বর্ষের ফলাফল প্রকাশ করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু ফলাফল প্রকাশের আগে ২৩ জানুয়ারি ৩৩ পরীক্ষার্থীর নামে কৈফিয়তপত্র পাঠানো হয়। মার্কেটিং দ্বিতীয়পত্র বিষয়ের পরীক্ষায় শৃঙ্খলা পরিপন্থী আচরণ করায় পরীক্ষক কর্তৃক বহিষ্কৃত করা হয়। পরে অভিযোগের প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে না পত্র প্রাপ্তির ১০ দিনের মধ্যে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বরাবর লিখিতভাবে জানতে নির্দেশ দেয়া হয়। ওই চিঠি পাওয়ার পর শিক্ষার্থীরা নির্দোষ দাবি করে ২৮ জানুয়ারি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ বরাবর চিঠি পাঠায়। কিন্তু ৩১ জানুয়ারি ডিগ্রি প্রথম বর্ষের প্রকাশিত ফলাফলে ৩৩ শিক্ষার্থীর ফলাফল আসেনি। ওই অবস্থা দেখে ৩৩ শিক্ষার্থীর মধ্যে শুরু হয় চরম হতাশা ও অনিশ্চিয়তা। এরই প্রেক্ষিতে ৩৩ শিক্ষার্থীর বহিষ্কার প্রত্যাহার ও সঠিক বিচারের দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কে ঈশ্বরগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সামনে কাফনের কাপড় পরে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন, সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রছাত্রীরা। এ সময় ছাত্রছাত্রীরা ‘আমাদের দাবি মেনে নাও, নইলে মুখে বিষ দাও’ সেøাগানে কলেজ প্রাঙ্গণ এবং মহাসড়কে বিক্ষোভ করলে ঈশ্বরগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম খানের আশ্বাসে কর্মসূচি স্থগিত করে। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি স্মারক লিপি প্রদান করা হয়। ঈশ্বরগঞ্জ কলেজের অধ্যক্ষ মো. রফিকুল ইসলাম খান জানান, কলেজের পক্ষ থেকে একটি আবেদন করা হয়েছে। আগামি ১৩ ফেব্রুয়ারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এ বিষয়টি তদন্ত করে সুরাহা দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিব কুমার সরকার জানান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপিটি পাঠিয়ে দেয়া হবে। যাতে সঠিক তদন্ত করে এর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ