Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মাঝপথে সংস্কার কাজ থেমে যাওয়ায় বাড়ছে জনভোগান্তি

দুপচাঁচিয়া-মোলামগাড়ী সড়ক

| প্রকাশের সময় : ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মো. গোলাম ফারুক, দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) থেকে : বগুড়া-মোলামগাড়ী ভায়া দুপচাঁচিয়া সড়কটির সংস্কার কাজ শুরু হলেও মাঝপথে তা থেমে গেছে। সড়কটির উপরিভাগের খোয়া ভেঙে তা রোলার না করে কাজ বন্ধ রাখায় জনগণকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। দুপচাঁচিয়া উপজেলা সদর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার উত্তরে জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল উপজেলা। বগুড়া-মোলামগাড়ী ভায়া দুপচাঁচিয়া চলাচলের গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন বগুড়া থেকে বিভিন্ন যাত্রীবাহী বাস, ট্রাক, মাইক্রোসহ বিভিন্ন যানবাহন ক্ষেতলাল হয়ে জয়পুরহাট জেলা সদরসহ স্থলবন্দর হিলিতে যাতায়াত করে। এছাড়াও এই সড়কের পাশেই রয়েছে দুপচাঁচিয়া উপজেলা তথা উত্তরাঞ্চলের বৃহৎ ধাপ-সুলতানগঞ্জ হাট, স্কুল, কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ফলে সড়কটির গুরুত্ব অনেক বেশি। সড়কটি প্রায় ৩ থেকে ৪ বছর যাবত সংস্কার করা হয়নি। সংস্কারবিহীন এই সড়কের বিভিন্ন স্থানের পিচসহ কার্পেটিংয়ের পাথর ওঠে গর্ত সৃষ্টি হয়। সড়কটির গুরুত্ব বিবেচনা করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর থেকে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে পল্লী সড়ক ও কালভার্ট মেরামত কর্মসূচির আওতায় ৩টি চেইনেজে যথাক্রমে ৩৯৪৪ থেকে ৫৪৫০ মোট ১৫০৬ মিটার, ৫৪৫০ থেকে ৬৮০০ মোট ১৩৫০ মিটার ও ৬৮০০ থেকে ৮৩০০ মোট ১৫০০ মিটার সড়ক সংস্কারের জন্য দরপত্র আহ্বান করে। একটি প্যাকেজেই প্রায় ২ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে উক্ত ৩টি চেইনেজের ঠিকাদারও নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত ঠিকাদার কাজ শুরু করেন। সড়কটির উপরিভাগের পাথর ইট উত্তোলন করা হয়। পরে ইট ভেঙে তা রোলার না করেই ফেলে রাখে। প্রায় ১ মাসের অধিক সময় ধরে রোলারবিহীন সড়কটি পড়ে থাকায় খোয়ার গুড়ার প্রচ- ধুলায় স্কুলগামী ছাত্রছাত্রীসহ সাধারণ মানুষের শ^াস-প্রশ^াস নিতে চরম কষ্ট ভোগ করছে। এ ছাড়াও খোয়ার এই সড়কের উপর দিয়ে সাধারণ মানুষসহ যানবাহন চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী রবিউল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি “দৈনিক ইনকিলাব”-কে জানান, উক্ত দুপচাঁচিয়া-মোলামগাড়ী সড়কের একটি প্যাকেজে উক্ত প্রকল্পের নির্বাচিত ঠিকাদার কাজ শুরু করে সড়কের উপরিভাগের পাথর ইট উত্তোলন করে। পরে উত্তোলনকৃত ইটগুলো ভেঙেও ফেলে। অজ্ঞাত কারণে ভাঙা ইটের খোয়ার উপর রোলার না করেই ঠিকাদার প্রকল্পের কাজটি বন্ধ রেখেছে। এ ব্যাপারে ঠিকাদারের সাথে কাজটি দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি কাজটি শুরু না করে টালবাহানা করছেন। ফলে ওই সড়ক দিয়ে সাধারণ মানুষসহ যানবাহন চলাচলে মারাত্মক বিঘœ ঘটছে। একই সাথে তিনি জানান, সড়কটিতে পানি দিয়ে রোলার করার জন্য ৩ দিনের সময় বেঁধে দিয়ে ঠিকাদারকে লিখিতভাবে পত্র দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ